ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে গড়ে ভোট পড়েছে ৩৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এই হার যা প্রথম ধাপের চেয়ে সামান্য বেশি।
মঙ্গলবার দেশের ১৫৬ উপজেলায় ব্যালট পেপার ও ইভিএমে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দ্বিতীয় ধাপের ভোট হয়। বুধবার একীভূত ফলাফল বিশ্লেষণে ভোটের হারের এই তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।
এর আগে ৮ মে প্রথম ধাপে ভোট হয়েছিল ১৩৯ উপজেলায়। সেবার ভোটের হার ছিল ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ, যা গত দেড় দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম।
দ্বিতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে সাতটি উপজেলায় একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এরমধ্যে দুই উপজেলায় তিনটি পদেই প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম বলেন, তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদের একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ায় ওই তিনটির ফলাফল ইসি থেকে সমন্বয় করা হয়নি।
দ্বিতীয় ধাপে ১৫৩টি উপজেলার চেয়ারম্যান পদের ফলাফল সমন্বয় করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ব্যালটে অনুষ্ঠিত ১২৯টি উপজেলায় গড়ে ভোট পড়েছে ৩৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আর ইভিএমের ২৩ উপজেলায় গড়ে ভোট পড়েছে ৩২ দশমিক ১৭ শতাংশ।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, ১৫৩টি উপজেলায় ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬২০ ভোটারের মধ্যে এক কোটি ২৫ লাখ ৮৩ হাজার ৯৪৭ জন তাদের ভোটাধিকর প্রয়োগ করেছেন।
মঙ্গলবার দ্বিতীয়ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন ভোটের হার ৩০ শতাংশের বেশি হয়েছে। তার আগে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম দুপুরে জানিয়েছিলেন, তাদের হিসাবে প্রথম চার ঘণ্টায় গড়ে ১৭ শতাংশের মত ভোট পড়েছে। দিন শেষে এ হার দ্বিগুণের বেশি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছিলেন তিনি।
সবশেষ ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে গড়ে ৪১ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনে ৬১ শতাংশ এবং ২০০৯ সালে তৃতীয় উপজেলা নির্বাচনে ৬৭.৬৯ শতাংশ ভোট পড়ে।
দেশের ৪৯৫টি উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে। ২৯ মে তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় এবং ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা আছে।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের মতে, “কম ভোটার উপস্থিতির একটা বড় কারণ হতে পারে একটা বড় রাজনৈতিক দল প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে ভোট বর্জন করেছে এবং জনগণকে ভোটদানে নিরুৎসাহিত করেছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এ ধরনের পক্ষ-বিপক্ষ থাকতে পারে।”
তবে ভোট নিয়ে কোনো সংকট নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সিইসি বলেন, “সংকটটা রাজনীতিতে। আমি মনে করি, রাজনীতিতে যে সংকটটা রয়েছে, অবশ্যই একটা সময় কাটিয়ে ওঠা যাবে। সুস্থ ধারায় সামগ্রিক রাজনীতি প্রবাহিত হবে, ভোটাররা উৎসাহিত হবে।”
প্রথম ধাপের মত দ্বিতীয় ধাপেও সিংহভাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারাই নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া বিএনপি ও স্থানীয় পার্বত্য সংগঠনের কয়েকজনও জয়ী হতে পেরেছেন।
বুধবার, ২২ মে ২০২৪
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে গড়ে ভোট পড়েছে ৩৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এই হার যা প্রথম ধাপের চেয়ে সামান্য বেশি।
মঙ্গলবার দেশের ১৫৬ উপজেলায় ব্যালট পেপার ও ইভিএমে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দ্বিতীয় ধাপের ভোট হয়। বুধবার একীভূত ফলাফল বিশ্লেষণে ভোটের হারের এই তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।
এর আগে ৮ মে প্রথম ধাপে ভোট হয়েছিল ১৩৯ উপজেলায়। সেবার ভোটের হার ছিল ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ, যা গত দেড় দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম।
দ্বিতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে সাতটি উপজেলায় একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এরমধ্যে দুই উপজেলায় তিনটি পদেই প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম বলেন, তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদের একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ায় ওই তিনটির ফলাফল ইসি থেকে সমন্বয় করা হয়নি।
দ্বিতীয় ধাপে ১৫৩টি উপজেলার চেয়ারম্যান পদের ফলাফল সমন্বয় করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ব্যালটে অনুষ্ঠিত ১২৯টি উপজেলায় গড়ে ভোট পড়েছে ৩৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আর ইভিএমের ২৩ উপজেলায় গড়ে ভোট পড়েছে ৩২ দশমিক ১৭ শতাংশ।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, ১৫৩টি উপজেলায় ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬২০ ভোটারের মধ্যে এক কোটি ২৫ লাখ ৮৩ হাজার ৯৪৭ জন তাদের ভোটাধিকর প্রয়োগ করেছেন।
মঙ্গলবার দ্বিতীয়ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন ভোটের হার ৩০ শতাংশের বেশি হয়েছে। তার আগে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম দুপুরে জানিয়েছিলেন, তাদের হিসাবে প্রথম চার ঘণ্টায় গড়ে ১৭ শতাংশের মত ভোট পড়েছে। দিন শেষে এ হার দ্বিগুণের বেশি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছিলেন তিনি।
সবশেষ ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে গড়ে ৪১ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনে ৬১ শতাংশ এবং ২০০৯ সালে তৃতীয় উপজেলা নির্বাচনে ৬৭.৬৯ শতাংশ ভোট পড়ে।
দেশের ৪৯৫টি উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে। ২৯ মে তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় এবং ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা আছে।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের মতে, “কম ভোটার উপস্থিতির একটা বড় কারণ হতে পারে একটা বড় রাজনৈতিক দল প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে ভোট বর্জন করেছে এবং জনগণকে ভোটদানে নিরুৎসাহিত করেছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এ ধরনের পক্ষ-বিপক্ষ থাকতে পারে।”
তবে ভোট নিয়ে কোনো সংকট নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সিইসি বলেন, “সংকটটা রাজনীতিতে। আমি মনে করি, রাজনীতিতে যে সংকটটা রয়েছে, অবশ্যই একটা সময় কাটিয়ে ওঠা যাবে। সুস্থ ধারায় সামগ্রিক রাজনীতি প্রবাহিত হবে, ভোটাররা উৎসাহিত হবে।”
প্রথম ধাপের মত দ্বিতীয় ধাপেও সিংহভাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারাই নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া বিএনপি ও স্থানীয় পার্বত্য সংগঠনের কয়েকজনও জয়ী হতে পেরেছেন।