alt

চট্টগ্রাম-মায়ানমার নিয়ে খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

https://sangbad.net.bd/images/2024/May/23May24/news/PM%201.jpg

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং মায়ানমারকে নিয়ে একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় গণভবনে ক্ষমতাসীন জোটের শরিক ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘চক্রান্ত এখনো আছে। পূর্ব তিমুরের (ইন্দোনেশিয়া ভেঙে গড়ে ওঠা) মতো বাংলাদেশের একটা অংশ নিয়ে, তারপরে চিটাগাং (পার্বত্য চট্টগ্রাম), মিয়ানমার মিলে একটা খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানাবে। বঙ্গোপসাগরে একটা ঘাঁটি করবে। ’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘ষড়যন্ত্র ছিল বাংলাদেশের নির্বাচনই হতে দেবে না। তবে দেবে, আর আমারও ক্ষমতায় আসতে অসুবিধা হবে না; যদি আমি বাংলাদেশে কারও এয়ার বেজ করতে দেই, ঘাঁটি করতে দেই, তাহলে আমার কোনো অসুবিধা নেই। কোনো এক সাদা চামড়ারই প্রস্তাব। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি স্পষ্ট জবাব দিয়েছি, আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আমরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করে দেশ স্বাধীন করেছি। দেশের অংশ ভাড়া দিয়ে বা কারও হাতে তুলে দিয়ে আমি ক্ষমতায় যেতে চাই না। আমার ক্ষমতার দরকার নেই। জনগণ যদি চায় ক্ষমতায় আসবো নইলে আসবো না। ’

তিনি বলেন, ‘এই কথাগুলো সবার জানা উচিত। আমার যেটা যুদ্ধ সেটা ঘরে বাইরে সব জায়গায়। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগর, এখানে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য চলে। আর এই জায়গায় কোনো বিতর্ক নেই, এখানে কারও কোনো দ্বন্দ্ব নেই। এই জায়গার ওপর অনেকের নজর। সেটা আমি হতে দিচ্ছি না। এটা আমার একটা অপরাধ। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে এয়ার বেজ করে কার ওপর হামলা করবে। যদিও একটা দেশকে দেখানো হয় কিন্তু সেটা তো না। আমিতো জানি আরও কোথায় যাবে। যে কারণে আমাদের সব সময় কিছু সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, হবে আমি জানি। কিন্তু আমি ওটা পাত্তা দেই না সোজা কথা। আমার শক্তিই দেশের মানুষ, যদি ঠিক থাকে...। আর দেশটা যে উন্নত হচ্ছে এটা অনেকের পছন্দ না। ’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর ১৪ দলীয় জোটের শীরক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এই জোটের প্রধান।

https://sangbad.net.bd/images/2024/May/23May24/news/PM%202.jpg

নিজের সরকারি বাসভবনে(গণভবন) জোটের নেতাদের উদ্দেশ্য শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের মতামত শুনব, আলোচনা করব। ভবিষ্যতে আমরা কিভাবে এগোতে পারি এটাই আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ছাড়া দেশের মানুষের কোনও কল্যাণ হবে না। গ্রেনেড হামলাকারী, দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, দুর্নীতিবাজ যদি বিদেশের মাটিতে রোজই আন্দোলন, সরকার উৎখাতের নানা রকম হুমকি-ধমকি দেয়, যতক্ষণ জনগণ সঙ্গে আছে ততক্ষণ ওইটা কেয়ার করি না। তারপরও দেশে জ্বালাও-পোড়াও অগ্নিসংযোগ যেন না করতে পারে, যারা করবে তাদের ছাড় নেই। যতই মুরব্বি ধরুক, যাকেই ধরুক এদের আমরা ছাড়ব না। মানুষের ক্ষতি যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশের উন্নতি কারও পছন্দ হচ্ছে না বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে খাদ্য উৎপাদন করি, খোদ এক বড় দেশ বলে ফেলল, এত খাদ্য উৎপাদনের দরকার কি? আমাদের তো যথেষ্ট আছে, আমরা তো দিতে পারি। আমি বললাম হ্যাঁ ওই আশায় আমি বসে থাকব! আমরা বলেছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলে গিয়েছে নিজের মাটি মানুষ দিয়ে দেশ গড়ব। আমরা সেটাই করব। নিজেদের মানুষের খাবার এখানেই যতটুকু পারি উৎপাদন করে খাদ্য নিরাপত্তা দেব। আমরা দিয়েছিও সেটা। এই ধরনের কথা আছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে ৪৪টি টেলিভিশনের মধ্যে প্রায় ৩৪টি চালু আছে। সবাই কথা বলে, টকশোতেও কথা বলে, সারা দিন সমালোচনা করে, এতগুলো সংবাদপত্র, এত কথা বলার পরে, সব কথার শেষ কথা, কথা বলতে দেওয়া হয় না। টেলিভিশনে সবাই যখন এইভাবে কথা বলে আমরা তো গলা টিপে ধরি না। কেউ বাধা দেয় না। যার যা খুশি বলে যাচ্ছে। তা সত্য-মিথ্যা যা হোক।’

দেশের অর্জন ধরে রেখে সামনের দিকে এগোতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশটাকে গড়ে তুলতে হবে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা না নিলে দেশটাকে আগাতে পারব না। এখানে যে বাধাগুলো আসে, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা আমাদের বিরোধী ছিল, এখনো তারা একটুও বদলায়নি। এটা হচ্ছে বাস্তবতা এটা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।’

ছবি

পূর্বাচল প্লট দুর্নীতি মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও টিউলিপ সিদ্দিক দণ্ডিত

পোস্টাল ভোট: প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন এক লাখ ছাড়ালো

ছবি

কামালকে দিয়ে প্রত্যর্পণ শুরুর তথ্য নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সরকারি এলপি গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব যথাযথ নয়: বিইআরসি

১২২ বার পেছালো প্রতিবেদন জমার সময়

ছবি

বিডিআর বিদ্রোহ: হত্যাকাণ্ডে ‘হাসিনার সায়, জড়িত আওয়ামী লীগ, মূল সমন্বয়কারী তাপস’, বলছে তদন্ত কমিশন

ছবি

ডেঙ্গু: একদিনে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬৩৬ জন

ছবি

খালেদা জিয়া: কিডনির কার্যক্ষমতায় স্থিতিশীলতা ছাড়া পরিস্থিতিকে ‘গুরুতর’ বলছেন চিকিৎসকরা

ছবি

তারেক ফিরতে চাইলে একদিনে ট্রাভেল পাস: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে ট্রাইব্যুনালে তলব

ছবি

কামালকে প্রত্যর্পণের অফিসিয়াল তথ্য নেই : পররাষ্ট্র উপ‌দেষ্টা

ছবি

উপদেষ্টা পরিষদের সভা: এনজিও নিবন্ধনের নিয়ম ও অনুদান অবমুক্তির শর্ত সহজ হচ্ছে

সমালোচনামূলক কনটেন্ট সরাতে গুগলকে অনুরোধের যে ব্যাখ্যা দিলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

ছবি

বিপর্যয় ঠেকাতে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে

ইন্টারপোলের সম্মেলন শেষে দেশে ফিরলেন আইজিপি

ছবি

ডেঙ্গু: নভেম্বর মাসে হাসপাতালে ২৩,৮৯৪ জন, মৃত্যু ৯৪

ছবি

তফসিল ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে, ভোটের প্রস্তুতি মোটামুটি শেষ: সিইসি

ছবি

তারেকের দেশে ফেরা ‘নিজের নিয়ন্ত্রণে নেই’, সরকারের কোনো নিষেধ নেই, বললেন প্রেস সচিব

ছবি

খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘সংকটাপন্ন’, বিদেশে নেয়ার পরিস্থিতি নেই

ছবি

তারেক রহমানের দেশে ফেরায় সরকারের কোনো বাধা নেই: প্রেস সচিব

ছবি

আরব আমিরাতে আরও ২৪ বন্দীকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে: আসিফ নজরুল

ছবি

ত্বকী হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দ্রুত দাখিলে তদন্ত কর্মকর্তাকে তাগিদ আদালতের

ছবি

‘চাপের মুখে’ প্রশাসন, স্বাধীন ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস কমিশন’ চায় বিএএসএ

পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে ৭০ হাজারের বেশি প্রবাসীর নিবন্ধন

ছবি

আরও ৩৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র

এমপিওভুক্তির দাবিতে ৩৩তম দিনে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবস্থান

নবম গ্রেডে বেতন নির্ধারণসহ চার দাবিতে ‘শিক্ষা ভবন’ চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি মাধ্যমিক শিক্ষকদের

৪৫তম বিসিএসের নন-ক্যাডারের ফল প্রকাশ: সুপারিশ পেলেন ৫৬৫ জন

ছবি

বিমানবাহিনী একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

‘ঘুষ-দুর্নীতি’: ঢাকা উত্তরের প্রশাসক এজাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

সাগরে গভীর নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা

বাউলদের ওপর হামলা: সাঁড়াশি অভিযান চলছে, বললেন প্রেস সচিব

প্রবাসী ভোটার: পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না দিলে ব্যালট যাবে না

ভবন ও নির্মাণ কাজ অনুমোদনে আলাদা কর্তৃপক্ষ গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

আরাকান আর্মির হাতে আটক ১২ জেলে

ট্রাইব্যুনালে হাসিনার পক্ষে লড়বেন না জেড আই খান পান্না

tab

চট্টগ্রাম-মায়ানমার নিয়ে খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

https://sangbad.net.bd/images/2024/May/23May24/news/PM%201.jpg

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং মায়ানমারকে নিয়ে একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় গণভবনে ক্ষমতাসীন জোটের শরিক ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘চক্রান্ত এখনো আছে। পূর্ব তিমুরের (ইন্দোনেশিয়া ভেঙে গড়ে ওঠা) মতো বাংলাদেশের একটা অংশ নিয়ে, তারপরে চিটাগাং (পার্বত্য চট্টগ্রাম), মিয়ানমার মিলে একটা খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানাবে। বঙ্গোপসাগরে একটা ঘাঁটি করবে। ’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘ষড়যন্ত্র ছিল বাংলাদেশের নির্বাচনই হতে দেবে না। তবে দেবে, আর আমারও ক্ষমতায় আসতে অসুবিধা হবে না; যদি আমি বাংলাদেশে কারও এয়ার বেজ করতে দেই, ঘাঁটি করতে দেই, তাহলে আমার কোনো অসুবিধা নেই। কোনো এক সাদা চামড়ারই প্রস্তাব। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি স্পষ্ট জবাব দিয়েছি, আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আমরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করে দেশ স্বাধীন করেছি। দেশের অংশ ভাড়া দিয়ে বা কারও হাতে তুলে দিয়ে আমি ক্ষমতায় যেতে চাই না। আমার ক্ষমতার দরকার নেই। জনগণ যদি চায় ক্ষমতায় আসবো নইলে আসবো না। ’

তিনি বলেন, ‘এই কথাগুলো সবার জানা উচিত। আমার যেটা যুদ্ধ সেটা ঘরে বাইরে সব জায়গায়। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগর, এখানে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য চলে। আর এই জায়গায় কোনো বিতর্ক নেই, এখানে কারও কোনো দ্বন্দ্ব নেই। এই জায়গার ওপর অনেকের নজর। সেটা আমি হতে দিচ্ছি না। এটা আমার একটা অপরাধ। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে এয়ার বেজ করে কার ওপর হামলা করবে। যদিও একটা দেশকে দেখানো হয় কিন্তু সেটা তো না। আমিতো জানি আরও কোথায় যাবে। যে কারণে আমাদের সব সময় কিছু সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, হবে আমি জানি। কিন্তু আমি ওটা পাত্তা দেই না সোজা কথা। আমার শক্তিই দেশের মানুষ, যদি ঠিক থাকে...। আর দেশটা যে উন্নত হচ্ছে এটা অনেকের পছন্দ না। ’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর ১৪ দলীয় জোটের শীরক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এই জোটের প্রধান।

https://sangbad.net.bd/images/2024/May/23May24/news/PM%202.jpg

নিজের সরকারি বাসভবনে(গণভবন) জোটের নেতাদের উদ্দেশ্য শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের মতামত শুনব, আলোচনা করব। ভবিষ্যতে আমরা কিভাবে এগোতে পারি এটাই আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ছাড়া দেশের মানুষের কোনও কল্যাণ হবে না। গ্রেনেড হামলাকারী, দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, দুর্নীতিবাজ যদি বিদেশের মাটিতে রোজই আন্দোলন, সরকার উৎখাতের নানা রকম হুমকি-ধমকি দেয়, যতক্ষণ জনগণ সঙ্গে আছে ততক্ষণ ওইটা কেয়ার করি না। তারপরও দেশে জ্বালাও-পোড়াও অগ্নিসংযোগ যেন না করতে পারে, যারা করবে তাদের ছাড় নেই। যতই মুরব্বি ধরুক, যাকেই ধরুক এদের আমরা ছাড়ব না। মানুষের ক্ষতি যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশের উন্নতি কারও পছন্দ হচ্ছে না বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে খাদ্য উৎপাদন করি, খোদ এক বড় দেশ বলে ফেলল, এত খাদ্য উৎপাদনের দরকার কি? আমাদের তো যথেষ্ট আছে, আমরা তো দিতে পারি। আমি বললাম হ্যাঁ ওই আশায় আমি বসে থাকব! আমরা বলেছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলে গিয়েছে নিজের মাটি মানুষ দিয়ে দেশ গড়ব। আমরা সেটাই করব। নিজেদের মানুষের খাবার এখানেই যতটুকু পারি উৎপাদন করে খাদ্য নিরাপত্তা দেব। আমরা দিয়েছিও সেটা। এই ধরনের কথা আছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে ৪৪টি টেলিভিশনের মধ্যে প্রায় ৩৪টি চালু আছে। সবাই কথা বলে, টকশোতেও কথা বলে, সারা দিন সমালোচনা করে, এতগুলো সংবাদপত্র, এত কথা বলার পরে, সব কথার শেষ কথা, কথা বলতে দেওয়া হয় না। টেলিভিশনে সবাই যখন এইভাবে কথা বলে আমরা তো গলা টিপে ধরি না। কেউ বাধা দেয় না। যার যা খুশি বলে যাচ্ছে। তা সত্য-মিথ্যা যা হোক।’

দেশের অর্জন ধরে রেখে সামনের দিকে এগোতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশটাকে গড়ে তুলতে হবে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা না নিলে দেশটাকে আগাতে পারব না। এখানে যে বাধাগুলো আসে, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা আমাদের বিরোধী ছিল, এখনো তারা একটুও বদলায়নি। এটা হচ্ছে বাস্তবতা এটা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।’

back to top