প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় তৃতীয় ধাপের ১৯ উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তৃতীয় ধাপে নির্বাচন হওয়ার কথা ১০৯ উপজেলায়। এর মধ্যে যে ১৯ জেলায় ভোট স্থগিত করা হয়েছে, সেগুলোর প্রায় সবই উপকূলীয় জেলাতে অবস্থিত। একটি উপজেলা পার্বত্য চট্টগ্রামে।
কমিশন সচিব জাহাংগীর বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কোথাও পানি ঢুকেছে, কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তাই নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মাঠ পর্যায় থেকে জেলা প্রশাসকদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
যদি ভোটের আগে আরো কোনো উপজেলার তথ্য আসে তাহলে সেগুলোতেও নির্বাচন স্থগিত করা হবে বলে জানান জাহাংগীর।
স্থগিত হওয়া উপজেলাগুলো হলো- বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া।
পটুয়াখালী জেলার সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া; ভোলার লালমোহন, তজুমদ্দিন; ঝালকাঠির রাজাপুর, কাঠালিয়া; বরগুনার বামনা, পাথরঘাটা ও রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোট হবে আগামী ২৯ মে। কিন্তু এর মাত্র দুদিন আগেই বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল।
রোববার সন্ধ্যায় ১২০ কিলোমিটার বেগে সুন্দরবন দিয়ে উপকূলে আঘাত হানে রিমাল। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলাসহ কয়েকটি জেলার বিভিন্ন এলাকা।
রিমালের তাণ্ডবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকা কয়েক ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে ডুবে গেছে উপকূলীয় জেলাগুলোর নীচু এলাকা।
ঝড়ের প্রভাবে বাড়িঘর, গবাদিপশু, মাঠের ফসল, ক্ষেতের ফল ও সবজি এবং প্রচুর গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মৃত্যুর খবর এসেছে কয়েকজনের।
এদিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত ঝড়িয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে।
এ অবস্থায় সমুদ্রবন্দরগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সোমবার, ২৭ মে ২০২৪
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় তৃতীয় ধাপের ১৯ উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তৃতীয় ধাপে নির্বাচন হওয়ার কথা ১০৯ উপজেলায়। এর মধ্যে যে ১৯ জেলায় ভোট স্থগিত করা হয়েছে, সেগুলোর প্রায় সবই উপকূলীয় জেলাতে অবস্থিত। একটি উপজেলা পার্বত্য চট্টগ্রামে।
কমিশন সচিব জাহাংগীর বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কোথাও পানি ঢুকেছে, কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তাই নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মাঠ পর্যায় থেকে জেলা প্রশাসকদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
যদি ভোটের আগে আরো কোনো উপজেলার তথ্য আসে তাহলে সেগুলোতেও নির্বাচন স্থগিত করা হবে বলে জানান জাহাংগীর।
স্থগিত হওয়া উপজেলাগুলো হলো- বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া।
পটুয়াখালী জেলার সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া; ভোলার লালমোহন, তজুমদ্দিন; ঝালকাঠির রাজাপুর, কাঠালিয়া; বরগুনার বামনা, পাথরঘাটা ও রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোট হবে আগামী ২৯ মে। কিন্তু এর মাত্র দুদিন আগেই বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল।
রোববার সন্ধ্যায় ১২০ কিলোমিটার বেগে সুন্দরবন দিয়ে উপকূলে আঘাত হানে রিমাল। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলাসহ কয়েকটি জেলার বিভিন্ন এলাকা।
রিমালের তাণ্ডবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকা কয়েক ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে ডুবে গেছে উপকূলীয় জেলাগুলোর নীচু এলাকা।
ঝড়ের প্রভাবে বাড়িঘর, গবাদিপশু, মাঠের ফসল, ক্ষেতের ফল ও সবজি এবং প্রচুর গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মৃত্যুর খবর এসেছে কয়েকজনের।
এদিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত ঝড়িয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে।
এ অবস্থায় সমুদ্রবন্দরগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।