ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে সারাদেশে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ভোলা ও বরিশালে তিনজন করে এবং পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় একজন করে মারা গেছেন।
রোববার সন্ধ্যায় ১২০ কিলোমিটার বেগে সুন্দরবন দিয়ে উপকূলে আঘাত হানে রিমাল। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলাসহ কয়েকটি জেলার বিভিন্ন এলাকা। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
এছাড়া ঝড়ের তাণ্ডবে কুয়াকাটা ঝাউ বাগান, লেম্বুর বনাঞ্চল, চর গঙ্গামতিতে উপড়ে গেছে শত শত গাছ। শহরে সড়কে গাছ পড়ে ব্যাহত হয় যান চলাচল।
নোয়াখালীর হাতিয়ায় বেড়িবাঁধ না থাকায় নিঝুম দ্বীপের পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দ্বীপের অধিকাংশ কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় গৃহহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
বাগেরহাটের শরণখোলার বলেশ্বর নদের দুই কিলোমিটার রিংবাঁধ ভেঙে গেছে। প্লাবিত হয়েছে বাড়িঘরসহ পুকুর ও ঘেরের মাছ। এছাড়া গাবতলা এলাকায় বাঁধে ফাটল ধরায় প্লাবিত হওয়ার আশংকায় সাউথখালী ইউনিয়নবাসী।
মোংলায় রাত থেকে শুরু হওয়া ঝড়-বৃষ্টিতে আট হাজার কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা পড়ে গেছে। ১০ থেকে ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।
লক্ষ্মীপুরেও মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারের বেরিবাঁধ উপচে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে ভোলায় ঝড়ের সময় ঘর চাপায় এক নারী ও শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। চরফ্যাশনের বিভিন্ন চর ৪ থেকে ৫ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ২৫ হাজার মানুষ।
বরিশালে রূপাতলী এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে নিহত হয়েছেন হোটেল মালিক লোকমান ও কর্মী মোকসেদুর রহমান।
আর চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে হৃদয় নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
১৯ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় তৃতীয় ধাপের ১৯ উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তৃতীয় ধাপে নির্বাচন হওয়ার কথা ১০৯ উপজেলায়।
কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কোথাও পানি ঢুকেছে, কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তাই নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রিমালের তাণ্ডবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকা কয়েক ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে ডুবে গেছে উপকূলীয় জেলাগুলোর নীচু এলাকা।
ঝড়ের প্রভাবে বাড়িঘর, গবাদিপশু, মাঠের ফসল, ক্ষেতের ফল ও সবজি এবং প্রচুর গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল দুর্বল হয়ে এখন গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত ঝড়িয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে।
এ অবস্থায় সমুদ্রবন্দরগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সোমবার, ২৭ মে ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে সারাদেশে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ভোলা ও বরিশালে তিনজন করে এবং পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় একজন করে মারা গেছেন।
রোববার সন্ধ্যায় ১২০ কিলোমিটার বেগে সুন্দরবন দিয়ে উপকূলে আঘাত হানে রিমাল। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলাসহ কয়েকটি জেলার বিভিন্ন এলাকা। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
এছাড়া ঝড়ের তাণ্ডবে কুয়াকাটা ঝাউ বাগান, লেম্বুর বনাঞ্চল, চর গঙ্গামতিতে উপড়ে গেছে শত শত গাছ। শহরে সড়কে গাছ পড়ে ব্যাহত হয় যান চলাচল।
নোয়াখালীর হাতিয়ায় বেড়িবাঁধ না থাকায় নিঝুম দ্বীপের পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দ্বীপের অধিকাংশ কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় গৃহহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
বাগেরহাটের শরণখোলার বলেশ্বর নদের দুই কিলোমিটার রিংবাঁধ ভেঙে গেছে। প্লাবিত হয়েছে বাড়িঘরসহ পুকুর ও ঘেরের মাছ। এছাড়া গাবতলা এলাকায় বাঁধে ফাটল ধরায় প্লাবিত হওয়ার আশংকায় সাউথখালী ইউনিয়নবাসী।
মোংলায় রাত থেকে শুরু হওয়া ঝড়-বৃষ্টিতে আট হাজার কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা পড়ে গেছে। ১০ থেকে ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।
লক্ষ্মীপুরেও মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারের বেরিবাঁধ উপচে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে ভোলায় ঝড়ের সময় ঘর চাপায় এক নারী ও শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। চরফ্যাশনের বিভিন্ন চর ৪ থেকে ৫ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ২৫ হাজার মানুষ।
বরিশালে রূপাতলী এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে নিহত হয়েছেন হোটেল মালিক লোকমান ও কর্মী মোকসেদুর রহমান।
আর চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে হৃদয় নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
১৯ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় তৃতীয় ধাপের ১৯ উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তৃতীয় ধাপে নির্বাচন হওয়ার কথা ১০৯ উপজেলায়।
কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কোথাও পানি ঢুকেছে, কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তাই নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রিমালের তাণ্ডবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকা কয়েক ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে ডুবে গেছে উপকূলীয় জেলাগুলোর নীচু এলাকা।
ঝড়ের প্রভাবে বাড়িঘর, গবাদিপশু, মাঠের ফসল, ক্ষেতের ফল ও সবজি এবং প্রচুর গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল দুর্বল হয়ে এখন গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত ঝড়িয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে।
এ অবস্থায় সমুদ্রবন্দরগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।