ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমি যতটুকু জানি, অনুমানভিত্তিক কথাবার্তা চলছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
সাবেক আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের সম্পদ নিয়ে আলোচনা চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যখন অবসরে চলে যাচ্ছেন, তখন তাদের অবৈধ সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। যখন চাকরিতে থাকেন, তখন এগুলো নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আপনি এর দায় এড়াতে পারেন কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আপনি যেগুলো বলেছেন, এখন পর্যন্ত কোনো মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, কোনো রায় আমাদের কাছে আসেনি।
‘আমি যতটুকু জানি, অনুমানভিত্তিক কথাবার্তা চলছে। এখনো তার বিরুদ্ধে সঠিকভাবে কোনো অভিযোগ উত্থাপন হয়নি। যেগুলো শুনেছি, তার অবৈধ সম্পত্তির কথা, তাকে তো ডাকা হয়নি, তাকে ডাকা হলে বুঝতে পারবো, নিশ্চয়ই তার কোনো ব্যাখ্যা আছে।’
আছাদুজ্জামান মিয়ার আয়ের উৎসের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিশ্চয়ই তার আয়ের কোনো সোর্স আছে। না হলে সে-ই বা এ রকম অপকর্ম করবে! তাকে সুযোগ দিতে হবে, সে সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই আসবে, কথা বলবেন। তাহলে বোঝা যাবে তার কত টাকা অবৈধ, কতখানি নিজের সম্পদ দিয়ে ব্যয়বৃদ্ধি করেছেন।
ডিএমপির সাবেক কমিশনারকে ব্যাখ্যা দেয়ার সুযোগ দিতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একটা কথা বলতে হয়, আজ থেকে ১০ বছর আগে যেই জমির দাম ১০ লাখ টাকা ছিল, এখন দেখেন সেই জমির দাম দুই থেকে চার কোটি টাকা। এ রকমভাবে সম্পদের মূল্য বহুগুণে বেড়েছে। অনেক কিছুই হতে পারে।
সেজন্য যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাকে এসে জবাব দিতে হবে। যদি সে তার ব্যাখ্যা দিতে পারে, তাহলে আপনাদের এই প্রশ্নের সবই মিটমাট হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তিনি এর জবাব দেবেন। যদি জবাব দিতে না পারেন, তখন বলবো তিনি অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন, তিনি দুর্নীতিবাজ। এর আগে বলার সময় আসেনি।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ আগামী রোববার দুর্নী?তি দমন কমিশনে (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির না হলে তাকে আর সময় দেয়া হবে না। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন দুদকের প্রধান আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
তিনি বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান জোরেশোরে চলছে। তার বিরুদ্ধে আরও অপরাধলব্ধ সম্পদের প্রমাণ মিলেছে। এর আগে তিনি উপস্থিত হওয়ার জন্য একবার সময় নিয়েছেন। তবে দুদক আইন ও বিধিতে দ্বিতীয়বার সময় দেয়ার এখতিয়ার নেই।
গত ২৮ মে বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠানো হয়। সেই নোটিশে বেনজীরকে ৬ জুন এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের ৯ জুন দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ৫ জুন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে বেনজীরের পক্ষে তার আইনজীবী আরও ১৫ দিনের সময় চান। দুদকের উপপরিচালক বরাবর সময় চেয়ে আবেদনটি করা হয়। এরপর নতুন তারিখ দেয়া হয়।
পরে দুদক সচিব ব?লেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকে দুদক তলব করলেও শুনানিতে অনুপস্থিত থাকায় ২৩ জুন নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে দুদক। বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় ৬২১ বিঘা জমি, ঢাকার গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব, ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ৩টি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসা করার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) এবং ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের সন্ধান পেয়েছে দুদক। দুদকের আবেদনের পর এসব সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমি যতটুকু জানি, অনুমানভিত্তিক কথাবার্তা চলছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
সাবেক আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের সম্পদ নিয়ে আলোচনা চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যখন অবসরে চলে যাচ্ছেন, তখন তাদের অবৈধ সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। যখন চাকরিতে থাকেন, তখন এগুলো নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আপনি এর দায় এড়াতে পারেন কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আপনি যেগুলো বলেছেন, এখন পর্যন্ত কোনো মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, কোনো রায় আমাদের কাছে আসেনি।
‘আমি যতটুকু জানি, অনুমানভিত্তিক কথাবার্তা চলছে। এখনো তার বিরুদ্ধে সঠিকভাবে কোনো অভিযোগ উত্থাপন হয়নি। যেগুলো শুনেছি, তার অবৈধ সম্পত্তির কথা, তাকে তো ডাকা হয়নি, তাকে ডাকা হলে বুঝতে পারবো, নিশ্চয়ই তার কোনো ব্যাখ্যা আছে।’
আছাদুজ্জামান মিয়ার আয়ের উৎসের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিশ্চয়ই তার আয়ের কোনো সোর্স আছে। না হলে সে-ই বা এ রকম অপকর্ম করবে! তাকে সুযোগ দিতে হবে, সে সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই আসবে, কথা বলবেন। তাহলে বোঝা যাবে তার কত টাকা অবৈধ, কতখানি নিজের সম্পদ দিয়ে ব্যয়বৃদ্ধি করেছেন।
ডিএমপির সাবেক কমিশনারকে ব্যাখ্যা দেয়ার সুযোগ দিতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একটা কথা বলতে হয়, আজ থেকে ১০ বছর আগে যেই জমির দাম ১০ লাখ টাকা ছিল, এখন দেখেন সেই জমির দাম দুই থেকে চার কোটি টাকা। এ রকমভাবে সম্পদের মূল্য বহুগুণে বেড়েছে। অনেক কিছুই হতে পারে।
সেজন্য যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাকে এসে জবাব দিতে হবে। যদি সে তার ব্যাখ্যা দিতে পারে, তাহলে আপনাদের এই প্রশ্নের সবই মিটমাট হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তিনি এর জবাব দেবেন। যদি জবাব দিতে না পারেন, তখন বলবো তিনি অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন, তিনি দুর্নীতিবাজ। এর আগে বলার সময় আসেনি।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ আগামী রোববার দুর্নী?তি দমন কমিশনে (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির না হলে তাকে আর সময় দেয়া হবে না। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন দুদকের প্রধান আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
তিনি বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান জোরেশোরে চলছে। তার বিরুদ্ধে আরও অপরাধলব্ধ সম্পদের প্রমাণ মিলেছে। এর আগে তিনি উপস্থিত হওয়ার জন্য একবার সময় নিয়েছেন। তবে দুদক আইন ও বিধিতে দ্বিতীয়বার সময় দেয়ার এখতিয়ার নেই।
গত ২৮ মে বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠানো হয়। সেই নোটিশে বেনজীরকে ৬ জুন এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের ৯ জুন দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ৫ জুন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে বেনজীরের পক্ষে তার আইনজীবী আরও ১৫ দিনের সময় চান। দুদকের উপপরিচালক বরাবর সময় চেয়ে আবেদনটি করা হয়। এরপর নতুন তারিখ দেয়া হয়।
পরে দুদক সচিব ব?লেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকে দুদক তলব করলেও শুনানিতে অনুপস্থিত থাকায় ২৩ জুন নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে দুদক। বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় ৬২১ বিঘা জমি, ঢাকার গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব, ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ৩টি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসা করার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) এবং ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের সন্ধান পেয়েছে দুদক। দুদকের আবেদনের পর এসব সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।