alt

জাতীয়

কোটাবিরোধীরা ফের অবরোধের ঘোষণা দিয়ে রাস্তা ছাড়লেন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

আগামীকাল আবারও অবরোধ করা হবে—এমন ঘোষণা দিয়ে রাজধানীর শাহবাগ ছেড়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে আবারও সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা।

আগামীকাল সারাদেশে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে অবরোধ কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আাসিফ মাহমুদ বলেন, “আমাদের দাবি স্পষ্ট, সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে ঘোষণা আসতে হবে যে একটি কমিশন গঠন করে কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার করা হবে। যতদিন না আমাদের এ দাবি মেনে নেওয়া না হচ্ছে, ততদিন শিক্ষার্থীরা রাজপথে থাকবে।

“আগামীকাল বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে, প্রতিটি রাজপথে, প্রতিটি রেল লাইনে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।”

তিনি বলেন, “আজকে সারাদেশে শিক্ষার্থীরা ব্লকেড কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। আমাদের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচিকে অনেকে জনদুর্ভোগ বলে উল্লেখ করতে চান।

“আমরা বলতে চাই, এটি একটি অভিনব জনমত প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি। আমাদের ভলান্টিয়াররা যখন বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করতে যায়, তখন রিকশাওয়ালা, ভ্যানওয়ালাসহ সাধারণ মানুষ বলে আমাদের সন্তানদের জন্য এ আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।”

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার।

ওই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন।

গত ৫ জুন সেই আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাই কোর্ট বেঞ্চ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়। এরপর থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে আন্দোলনে নামেন চাকরিপ্রত্যাশী তরুণরা।

১ জুলাই থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে তারা কোটা বাতিলসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন।এর অংশ হিসেবে রবি ও সোমবার ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরোধ করে তারা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেন। তাদের অবরোধের কারণে শহরজুড়ে ব্যাপক যানজটে নাকাল হতে হয় নাগরিকদের।

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে এই আন্দোলন সমন্বয়ের জন্য ৬৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে তারা চার দফা দাবিকে এক দফায় নামিয়ে আনেন।

এখন তাদের দাবি হল- সকল গ্রেডে সকল প্রকার ‘অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক’ কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ‘ন্যূনতম পর্যায়ে’ এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে৷

এই দাবিতে বুধবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদেশে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা আসে ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার।

ওই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন।

এদিকে বুধবার সকালে আন্দোলনের মধ্যেই আপিল বিভাগ কোটা নিয়ে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করে।

কিছু পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা দিয়ে সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, কোটা নিয়ে এখন কোনো কথা বলা যাবে না। হাই কোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে আপিল বিভাগ আবার বিষয়টি শুনবে।

আপিল বিভাগের আদেশের প্রতিক্রিয়ায় আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম সন্ধ্যার ব্রিফিংয়ে বলেন, “আজকে যে রায় দিয়েছে, এটা অপূর্ণাঙ্গ সমাধান। এর পরিপূর্ণ সমাধান কেবল নির্বাহী বিভাগ তথা বাংলাদেশ সরকারই দিতে পারে। কারণ এখনো আমরা হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় পাইনি। পূর্ণাঙ্গ রায় দিলে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহালও থাকতে পারে কিংবা বাতিলও হতে পারে। তাই আমরা ওই একটি রায়ের উপর নির্ভর করতে পারি না। এটা আমাদের দাবি সঙ্গেও যায় না।

“একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের রিটের ভিত্তিতে মহামান্য হাই কোর্ট ২০১৮ সালের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছে। কোটা সংস্কার না হলে আবার যদি কোনো প্রতিবন্ধী বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোক সংক্ষুব্ধ হয়ে হাই কোর্টে এসে রিট করে এবং আবার সেই ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করা হয়, তাহলে আমরা কোন অবস্থার দিকে যাচ্ছি?”

কোটা ব্যবস্থার একটি স্থায়ী সমাধান চেয়ে তিনি বলেন, “সংবিধানে অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীকে একটি সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমরা এটি বিশ্বাস করি বলেই কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চাচ্ছি। ২০১৮ সালের পরিপত্রে কোনো কোটাই রাখা হয়নি। আমরা চাই, প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ অনগ্রসর লোকদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রাখা হোক।”

ছবি

অধ্যাপক ইউনূসকে ‘জঙ্গি নেতা’ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা, জড়িত ভারতীয় গণমাধ্যম: প্রেস সচিব

ছবি

সারাদেশে যৌথবাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু

ছবি

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের, বাংলাদেশ ৯৩তম

ছবি

ফার্মগেটে ৩ ককটেল উদ্ধার, নিষ্ক্রিয় করলো সিটিটিসি

ছবি

গাজীপুরে মোজাম্মেলের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর: আহত ৭ জন ঢাকা মেডিকেলে

ছবি

গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

গাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে আহতের দেখতে রাতেই হাসপাতালে হাসনাত-সারজিস

শেখ হাসিনার বক্তব্য হঠাৎ নয়: ফরহাদ মজহার

ছবি

গাজীপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ছবি

দিল্লির কড়া বার্তা: ইউনূস সরকারের ওপর পাল্টা অভিযোগ

‘সরকারের ব্যর্থতায় উগ্র নৈরাজ্যবাদী ও ফ্যাসিস্টদের’ পুনরুত্থানের আশঙ্কা বিএনপির

‘সরকারের ব্যর্থতায় উগ্র নৈরাজ্যবাদী ও ফ্যাসিস্টদের’ পুনরুত্থানের আশঙ্কা বিএনপির

প্রবাসে এনআইডি সেবা: ৪ দেশে যাচ্ছেন ইসি কর্মকর্তারা

সারাদেশে দলীয় কার্যালয়সহ আ’লীগের স্থাপনায় ভাঙচুর

আবারও শুরু হচ্ছে যৌথবাহিনীর অভিযান: উপদেষ্টা আসিফ

ছবি

পুলিশ কথা রাখল না, শিক্ষক প্রার্থীদের ছত্রভঙ্গে লাঠিচার্জ

ছবি

মে-জুন মাসের দিকে বাংলাদেশের রোগীদের কুনমিং শহরের তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবে : চীনা রাষ্ট্রদূত

ছবি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে শিগগিরই পদক্ষেপ: আসিফ মাহমুদ

ছবি

‘এটা দীর্ঘমেয়াদী লড়াই, প্রস্তুতি নিন, হঠকারিতা করবেন না’: উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

ছবি

আবারও শুরু হচ্ছে যৌথবাহিনীর অভিযান, জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

ছবি

ফের কমবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা

ছবি

বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি

ছবি

যাত্রীর হার্ট অ্যাটাক, চট্টগ্রামে থাই এয়ারওয়েজের জরুরি অবতরণ

ছবি

এই বছরের শেষের দিকে নির্বাচন হতে পারে, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের চেষ্টা ‘শক্তভাবে প্রতিহত’ করা হবে, বিবৃতিতে জানালো অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

বাংলাদেশের অনুরোধের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত মত দেয়নি দিল্লি

৭৬৪ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি অনুমোদন, ১১৯ জনকে সচিব পদে

ছবি

অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন আটক

ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনারকে তলব, শেখ হাসিনার বক্তব্যকে ‘মিথ্যা ও উস্কানিমূলক’ অভিহিত

ছবি

একুশে পদক ২০২৫: ১৪ বিশিষ্ট নাগরিক ও নারী ফুটবল দল মনোনীত

ছবি

সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর ও তৌফিকা আফতাবের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

৩২ নম্বরে ভাঙচুর: শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য দায়ী

ছবি

শেখ হাসিনার বিদেশ সফর ও ডিগ্রি নিয়ে দুদকের তদন্ত

ছবি

শেখ হাসিনাকে থামাতে ঢাকায় ভারতীয় দূতকে তলব

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি : ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত।

tab

জাতীয়

কোটাবিরোধীরা ফের অবরোধের ঘোষণা দিয়ে রাস্তা ছাড়লেন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

আগামীকাল আবারও অবরোধ করা হবে—এমন ঘোষণা দিয়ে রাজধানীর শাহবাগ ছেড়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে আবারও সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা।

আগামীকাল সারাদেশে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে অবরোধ কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আাসিফ মাহমুদ বলেন, “আমাদের দাবি স্পষ্ট, সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে ঘোষণা আসতে হবে যে একটি কমিশন গঠন করে কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার করা হবে। যতদিন না আমাদের এ দাবি মেনে নেওয়া না হচ্ছে, ততদিন শিক্ষার্থীরা রাজপথে থাকবে।

“আগামীকাল বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে, প্রতিটি রাজপথে, প্রতিটি রেল লাইনে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।”

তিনি বলেন, “আজকে সারাদেশে শিক্ষার্থীরা ব্লকেড কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। আমাদের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচিকে অনেকে জনদুর্ভোগ বলে উল্লেখ করতে চান।

“আমরা বলতে চাই, এটি একটি অভিনব জনমত প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি। আমাদের ভলান্টিয়াররা যখন বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করতে যায়, তখন রিকশাওয়ালা, ভ্যানওয়ালাসহ সাধারণ মানুষ বলে আমাদের সন্তানদের জন্য এ আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।”

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার।

ওই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন।

গত ৫ জুন সেই আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাই কোর্ট বেঞ্চ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়। এরপর থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে আন্দোলনে নামেন চাকরিপ্রত্যাশী তরুণরা।

১ জুলাই থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে তারা কোটা বাতিলসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন।এর অংশ হিসেবে রবি ও সোমবার ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরোধ করে তারা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেন। তাদের অবরোধের কারণে শহরজুড়ে ব্যাপক যানজটে নাকাল হতে হয় নাগরিকদের।

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে এই আন্দোলন সমন্বয়ের জন্য ৬৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে তারা চার দফা দাবিকে এক দফায় নামিয়ে আনেন।

এখন তাদের দাবি হল- সকল গ্রেডে সকল প্রকার ‘অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক’ কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ‘ন্যূনতম পর্যায়ে’ এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে৷

এই দাবিতে বুধবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদেশে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা আসে ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার।

ওই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন।

এদিকে বুধবার সকালে আন্দোলনের মধ্যেই আপিল বিভাগ কোটা নিয়ে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করে।

কিছু পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা দিয়ে সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, কোটা নিয়ে এখন কোনো কথা বলা যাবে না। হাই কোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে আপিল বিভাগ আবার বিষয়টি শুনবে।

আপিল বিভাগের আদেশের প্রতিক্রিয়ায় আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম সন্ধ্যার ব্রিফিংয়ে বলেন, “আজকে যে রায় দিয়েছে, এটা অপূর্ণাঙ্গ সমাধান। এর পরিপূর্ণ সমাধান কেবল নির্বাহী বিভাগ তথা বাংলাদেশ সরকারই দিতে পারে। কারণ এখনো আমরা হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় পাইনি। পূর্ণাঙ্গ রায় দিলে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহালও থাকতে পারে কিংবা বাতিলও হতে পারে। তাই আমরা ওই একটি রায়ের উপর নির্ভর করতে পারি না। এটা আমাদের দাবি সঙ্গেও যায় না।

“একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের রিটের ভিত্তিতে মহামান্য হাই কোর্ট ২০১৮ সালের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছে। কোটা সংস্কার না হলে আবার যদি কোনো প্রতিবন্ধী বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোক সংক্ষুব্ধ হয়ে হাই কোর্টে এসে রিট করে এবং আবার সেই ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করা হয়, তাহলে আমরা কোন অবস্থার দিকে যাচ্ছি?”

কোটা ব্যবস্থার একটি স্থায়ী সমাধান চেয়ে তিনি বলেন, “সংবিধানে অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীকে একটি সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমরা এটি বিশ্বাস করি বলেই কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চাচ্ছি। ২০১৮ সালের পরিপত্রে কোনো কোটাই রাখা হয়নি। আমরা চাই, প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ অনগ্রসর লোকদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রাখা হোক।”

back to top