গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক মুক্তি পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুপুর দেড়টার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের বাবা বদরুল ইসলাম।
মুক্তিপ্রাপ্ত সমন্বয়করা হলেন:
১. নাহিদ ইসলাম
২. সারজিস আলম
৩. হাসনাত আব্দুল্লাহ
৪. আবু বাকের মজুমদার
৫. আসিফ মাহমুদ
৬. নুসরাত তাবাসসুম
মুক্তি ও প্রত্যাবর্তন:বদরুল ইসলাম জানান, “দুপুরে ডিবির নিজস্ব গাড়ি দিয়ে সবাইকে নিজ নিজ বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তারা ডিবি হেফাজতে ৩২ ঘণ্টা অনশন করেছিল। এখন তারা খুবই ক্লান্ত, তাই আপাতত গণমাধ্যমে কথা বলছে না।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আমাদের ছয়জনকে একসঙ্গে ছাড়া হয়নি। আলাদাভাবে একজন করে পুলিশের গাড়িতে করে আমাদের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের ছাড়ার মাঝে সময়ের ব্যবধান ছিল ১০ মিনিট। আমরা শিগগির আমাদের অবস্থান সম্পর্কে জানাব।”
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সচিবালয়ে বলেন, “ছয় সমন্বয়ককে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার কারণে সেটাকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্ট ডিভিশনে একটি মামলা করা হয়েছিল। গতকাল শুনলাম মামলা চলাকালীন সময়ে একজন বিচারপতি অসুস্থতার কারণে ছুটি নিয়েছেন। এটাও ঠিক যে তারা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য জিডি করেছিল। আজকে যখন তারা বলেছে যে তাদের আর নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই, তারা চলে যেতে চেয়েছে; আমরা তাদের বাধা দেইনি, তারা চলে গেছে।”
গত শুক্রবার দুপুরে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে আনা হয়। তাদের বিষয়ে কয়েক ঘণ্টা কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি সরকারের পক্ষ থেকে।
ওইদিন সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এরপর শনিবার সন্ধ্যায় আরও দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে এবং রোববার নুসরাত তাবাসসুমকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর ক্যাম্পাসজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার, ০১ আগস্ট ২০২৪
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক মুক্তি পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুপুর দেড়টার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের বাবা বদরুল ইসলাম।
মুক্তিপ্রাপ্ত সমন্বয়করা হলেন:
১. নাহিদ ইসলাম
২. সারজিস আলম
৩. হাসনাত আব্দুল্লাহ
৪. আবু বাকের মজুমদার
৫. আসিফ মাহমুদ
৬. নুসরাত তাবাসসুম
মুক্তি ও প্রত্যাবর্তন:বদরুল ইসলাম জানান, “দুপুরে ডিবির নিজস্ব গাড়ি দিয়ে সবাইকে নিজ নিজ বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তারা ডিবি হেফাজতে ৩২ ঘণ্টা অনশন করেছিল। এখন তারা খুবই ক্লান্ত, তাই আপাতত গণমাধ্যমে কথা বলছে না।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আমাদের ছয়জনকে একসঙ্গে ছাড়া হয়নি। আলাদাভাবে একজন করে পুলিশের গাড়িতে করে আমাদের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের ছাড়ার মাঝে সময়ের ব্যবধান ছিল ১০ মিনিট। আমরা শিগগির আমাদের অবস্থান সম্পর্কে জানাব।”
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সচিবালয়ে বলেন, “ছয় সমন্বয়ককে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার কারণে সেটাকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্ট ডিভিশনে একটি মামলা করা হয়েছিল। গতকাল শুনলাম মামলা চলাকালীন সময়ে একজন বিচারপতি অসুস্থতার কারণে ছুটি নিয়েছেন। এটাও ঠিক যে তারা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য জিডি করেছিল। আজকে যখন তারা বলেছে যে তাদের আর নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই, তারা চলে যেতে চেয়েছে; আমরা তাদের বাধা দেইনি, তারা চলে গেছে।”
গত শুক্রবার দুপুরে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে আনা হয়। তাদের বিষয়ে কয়েক ঘণ্টা কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি সরকারের পক্ষ থেকে।
ওইদিন সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এরপর শনিবার সন্ধ্যায় আরও দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে এবং রোববার নুসরাত তাবাসসুমকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর ক্যাম্পাসজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।