ফ্যাসিবাদীদের দোসর-সমর্থক কেউ এই জাতীয় সরকারে থাকতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সোমবার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর পদ পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এদিন সন্ধ্যায় প্রথম একটি বেসরকারি টেলিভিশনে কথা বলেন নাহিদ ইসলামসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ জন সমন্বয়ক।
তিনি জানান, ছাত্র-জনতা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি রূপরেখা জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। সেখানে ফ্যাসিবাদীদের দোসর–সমর্থক কেউ এই জাতীয় সরকারে থাকতে পারবেন না।
নাহিদ ইসলাম বলেন, সমন্বয়কেরা বাংলাদেশের সামগ্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন চান। বাংলাদেশে যাতে আর কখনো ফ্যাসিবাদী, স্বৈরতান্ত্রিক বা আরেকটি শেখ হাসিনার জন্ম না হয়, সেই ব্যবস্থা তাঁরা প্রতিষ্ঠা করতে চান।
এসময় আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেমন হবে, সে বিষয়ে রাত আটায় কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারায় সংবাদ সম্মেলন করে একটি রূপরেখা তাঁরা তুলে ধরবেন। গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় যেদিন এক দফার ঘোষণা দেওয়া হয়, সেদিনই তাঁরা বিজয় সুনিশ্চিত ভেবেছিলেন। যত দিন তাঁদের সব দাবি পূরণ না হবে, তত দিন তাঁরা রাজপথে থাকবেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই গত ১৬ বছরে যত রাজনৈতিক নেতা–কর্মীকে কারান্তরিণ করা হয়েছে, তাঁদের মুক্তি দিতে হবে। এ ছাড়া সব রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সমন্বয়কেরা জানান, তাঁরা দেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে চান। সবকিছুর পুনর্গঠন করা হবে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করে গণতান্ত্রিক সরকার উপহার দিতে হবে।
সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমরা হয়তো শুরু করেছিলাম, কিন্তু সাধারণ মানুষের উপস্থিতি না হলে এটা সম্ভব হতো না।
সোমবার, ০৫ আগস্ট ২০২৪
ফ্যাসিবাদীদের দোসর-সমর্থক কেউ এই জাতীয় সরকারে থাকতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সোমবার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর পদ পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এদিন সন্ধ্যায় প্রথম একটি বেসরকারি টেলিভিশনে কথা বলেন নাহিদ ইসলামসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ জন সমন্বয়ক।
তিনি জানান, ছাত্র-জনতা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি রূপরেখা জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। সেখানে ফ্যাসিবাদীদের দোসর–সমর্থক কেউ এই জাতীয় সরকারে থাকতে পারবেন না।
নাহিদ ইসলাম বলেন, সমন্বয়কেরা বাংলাদেশের সামগ্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন চান। বাংলাদেশে যাতে আর কখনো ফ্যাসিবাদী, স্বৈরতান্ত্রিক বা আরেকটি শেখ হাসিনার জন্ম না হয়, সেই ব্যবস্থা তাঁরা প্রতিষ্ঠা করতে চান।
এসময় আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেমন হবে, সে বিষয়ে রাত আটায় কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারায় সংবাদ সম্মেলন করে একটি রূপরেখা তাঁরা তুলে ধরবেন। গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় যেদিন এক দফার ঘোষণা দেওয়া হয়, সেদিনই তাঁরা বিজয় সুনিশ্চিত ভেবেছিলেন। যত দিন তাঁদের সব দাবি পূরণ না হবে, তত দিন তাঁরা রাজপথে থাকবেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই গত ১৬ বছরে যত রাজনৈতিক নেতা–কর্মীকে কারান্তরিণ করা হয়েছে, তাঁদের মুক্তি দিতে হবে। এ ছাড়া সব রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সমন্বয়কেরা জানান, তাঁরা দেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে চান। সবকিছুর পুনর্গঠন করা হবে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করে গণতান্ত্রিক সরকার উপহার দিতে হবে।
সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমরা হয়তো শুরু করেছিলাম, কিন্তু সাধারণ মানুষের উপস্থিতি না হলে এটা সম্ভব হতো না।