সারাদেশে ৬৩৯টি থানার মধ্যে ৫৯৯ থানার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এরমধ্যে মেট্রোপলিটনের ১১০টি থানার মধ্যে ৯৭টি এবং জেলা পর্যায়ের ৫২৯টি থানার মধ্যে ৫০২টি থানার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। রোববার (১১ আগস্ট) পুলিশের অপারেশনাল কার্যক্রম সম্পর্কে হেডকোয়াটার্স থেকে এই সব তথ্য জানিয়েছেন।
অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, থানার কার্যক্রম শুরু করা হলেও এখনো পুরোদমে কাজ হচ্ছে না। জনগণ কম যাচ্ছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর পল্টন থানায় ৪টি জিডি করা হয়েছে। আর যানবাহন না থাকায় টহল কমে গেছে।
পুলিশ সূত্রগুলো জানিয়েছেন, সারাদেশে মাঠ পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা থানা পর্যায়ে কাজ করছেন। আস্তে আস্তে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ছে। প্রতিদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে।
তবে রোববার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে পুলিশের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। দেখা গেছে সেনাবাহিনীর টহল ও আনসারদের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে। পল্টন, মৎস্য ভবন, শাহবাগ, বিজয়নগরসহ বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেও পোশাকধারী পুলিশ দেখা যায়নি।
রাজধানীর পল্টন থানার ডিউটি অফিসার এসআই রেজাউল রোববার রাত ৮টার দিকে সংবাদকে জানান, রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু করে রাত ৮টা পর্যন্ত থানায় এনআইডি ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত ৪টি জিডি হয়েছে। পৃথক ৪জন ব্যক্তি থানায় গেছেন। থানার কার্যক্রম শতভাগ চালু করা হলেও এখনও গাড়ি সংকট রয়েছে। থানার মেসগুলো এখনও চালু হয়নি।
রাজধানীর তেজগাঁও থানার ওসি জানান, ফোর্স আসছে। কাল থেকে আশা করি পুরো কার্যক্রম চলবে। অস্ত্র ,সরঞ্জাম সবই আছে।
যাত্রাবাড়ী থানায় ডিউটি অফিসার থেকে ওসি পর্যন্ত মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। থানায় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখন তা চালু করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার ওসি মো. সোলায়মান মুঠোফোনে সংবাদকে জানান, থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে মামলা ও জিডি এখনও হয়ানি। পুলিশের মেসগুলো চালু হয়নি। বাইরে খেতে হচ্ছে। আজ থেকে মেস চালু করার চেষ্টা করা হবে। তবে অধিকাংশ যানবাহন পুড়ে ফেলায় এলাকা ভিত্তিক পুলিশ টহল দিচ্ছে না। থানায় উপস্থিতি বাড়ছে।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান বলেছেন, মহাসড়কে হাইওয়ে ইউনিটের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। উপস্থিতি আছে। এখন সমন্বয় করে কাজ শুরু করা হয়েছে। যানবাহন এখন কিছুটা সংকট আছে। আবার অনেক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার জন্য কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এরপরও ফোর্স কাজ করার চেষ্টা করছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ সারাদেশের মহাসড়কগুলো হাইওয়ে পুলিশের টহল ছিল। এখন যানবাহন সংকটের কারণে টহল দেয়া কষ্টকর হচ্ছে। ওই সড়কে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য আনা-নেয়া হয়।
পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে থানার কার্যক্রম শুরুর কথা জানালেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। যেসব থানায় হামলা ও ভাঙচুর ও আগুন দেয়া হয়েছে ওইগুলো এখনও পুরোপুরি চালু করা কষ্টকর। অনেক থানায় যানবাহনও নেই। জোড়াতালি দিয়ে কাজ চালানোর চেষ্টা চলছে। সূত্রগুলো দাবি করছে, ক্ষতিগ্রস্ত পুলিশি স্থাপনাগুলো সংস্কার করলে আস্তে আস্তে পরিস্থিতির কিছুটা হলেও উন্নতি হবে।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও সংঘর্ষের সময় সারাদেশে সাড়ে ৪শ’র বেশি পুলিশি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। থানার প্রায় এক হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
এদিকে ১১ দফা দাবি আদায়ে মাঠি পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের বার বার কর্মস্থলে যোগদান করার কথা বলা হয়েছে। তারা দাবি করছেন, তারা স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন, পুলিশ বাহিনীকে সংস্কার করা, ১৮৬১ সালের (ব্রিটিশ আমলের) পুলিশি আইন পরিবর্তন করে নতুন করে ঢেলে সাজানোর দাবি করেছেন। তারা জনতার পুলিশ হতে চায়। জনতার বিপক্ষে নয়।
এদিকে পুলিশের একাধিক সূত্র দাবি করছেন, পুলিশি কার্যক্রম পুরো শুরু হতে আরও কিছু সময় লাগবে। পুরো ব্যবস্থাপনা এখন ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরপর জনগণ থানায় গিয়ে যাতে সেবা পায় সেই জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, মেট্রোপলিটন পুলিশসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটগুলো কাজ করছে। বর্তমান সরকার পুলিশকে আরও আধুনিক করতে কাজ করবেন এমনটা আশাবাদ ব্যক্ত করছেন।
সোমবার, ১২ আগস্ট ২০২৪
সারাদেশে ৬৩৯টি থানার মধ্যে ৫৯৯ থানার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এরমধ্যে মেট্রোপলিটনের ১১০টি থানার মধ্যে ৯৭টি এবং জেলা পর্যায়ের ৫২৯টি থানার মধ্যে ৫০২টি থানার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। রোববার (১১ আগস্ট) পুলিশের অপারেশনাল কার্যক্রম সম্পর্কে হেডকোয়াটার্স থেকে এই সব তথ্য জানিয়েছেন।
অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, থানার কার্যক্রম শুরু করা হলেও এখনো পুরোদমে কাজ হচ্ছে না। জনগণ কম যাচ্ছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর পল্টন থানায় ৪টি জিডি করা হয়েছে। আর যানবাহন না থাকায় টহল কমে গেছে।
পুলিশ সূত্রগুলো জানিয়েছেন, সারাদেশে মাঠ পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা থানা পর্যায়ে কাজ করছেন। আস্তে আস্তে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ছে। প্রতিদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে।
তবে রোববার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে পুলিশের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। দেখা গেছে সেনাবাহিনীর টহল ও আনসারদের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে। পল্টন, মৎস্য ভবন, শাহবাগ, বিজয়নগরসহ বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেও পোশাকধারী পুলিশ দেখা যায়নি।
রাজধানীর পল্টন থানার ডিউটি অফিসার এসআই রেজাউল রোববার রাত ৮টার দিকে সংবাদকে জানান, রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু করে রাত ৮টা পর্যন্ত থানায় এনআইডি ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত ৪টি জিডি হয়েছে। পৃথক ৪জন ব্যক্তি থানায় গেছেন। থানার কার্যক্রম শতভাগ চালু করা হলেও এখনও গাড়ি সংকট রয়েছে। থানার মেসগুলো এখনও চালু হয়নি।
রাজধানীর তেজগাঁও থানার ওসি জানান, ফোর্স আসছে। কাল থেকে আশা করি পুরো কার্যক্রম চলবে। অস্ত্র ,সরঞ্জাম সবই আছে।
যাত্রাবাড়ী থানায় ডিউটি অফিসার থেকে ওসি পর্যন্ত মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। থানায় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখন তা চালু করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার ওসি মো. সোলায়মান মুঠোফোনে সংবাদকে জানান, থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে মামলা ও জিডি এখনও হয়ানি। পুলিশের মেসগুলো চালু হয়নি। বাইরে খেতে হচ্ছে। আজ থেকে মেস চালু করার চেষ্টা করা হবে। তবে অধিকাংশ যানবাহন পুড়ে ফেলায় এলাকা ভিত্তিক পুলিশ টহল দিচ্ছে না। থানায় উপস্থিতি বাড়ছে।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান বলেছেন, মহাসড়কে হাইওয়ে ইউনিটের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। উপস্থিতি আছে। এখন সমন্বয় করে কাজ শুরু করা হয়েছে। যানবাহন এখন কিছুটা সংকট আছে। আবার অনেক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার জন্য কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এরপরও ফোর্স কাজ করার চেষ্টা করছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ সারাদেশের মহাসড়কগুলো হাইওয়ে পুলিশের টহল ছিল। এখন যানবাহন সংকটের কারণে টহল দেয়া কষ্টকর হচ্ছে। ওই সড়কে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য আনা-নেয়া হয়।
পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে থানার কার্যক্রম শুরুর কথা জানালেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। যেসব থানায় হামলা ও ভাঙচুর ও আগুন দেয়া হয়েছে ওইগুলো এখনও পুরোপুরি চালু করা কষ্টকর। অনেক থানায় যানবাহনও নেই। জোড়াতালি দিয়ে কাজ চালানোর চেষ্টা চলছে। সূত্রগুলো দাবি করছে, ক্ষতিগ্রস্ত পুলিশি স্থাপনাগুলো সংস্কার করলে আস্তে আস্তে পরিস্থিতির কিছুটা হলেও উন্নতি হবে।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও সংঘর্ষের সময় সারাদেশে সাড়ে ৪শ’র বেশি পুলিশি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। থানার প্রায় এক হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
এদিকে ১১ দফা দাবি আদায়ে মাঠি পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের বার বার কর্মস্থলে যোগদান করার কথা বলা হয়েছে। তারা দাবি করছেন, তারা স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন, পুলিশ বাহিনীকে সংস্কার করা, ১৮৬১ সালের (ব্রিটিশ আমলের) পুলিশি আইন পরিবর্তন করে নতুন করে ঢেলে সাজানোর দাবি করেছেন। তারা জনতার পুলিশ হতে চায়। জনতার বিপক্ষে নয়।
এদিকে পুলিশের একাধিক সূত্র দাবি করছেন, পুলিশি কার্যক্রম পুরো শুরু হতে আরও কিছু সময় লাগবে। পুরো ব্যবস্থাপনা এখন ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরপর জনগণ থানায় গিয়ে যাতে সেবা পায় সেই জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, মেট্রোপলিটন পুলিশসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটগুলো কাজ করছে। বর্তমান সরকার পুলিশকে আরও আধুনিক করতে কাজ করবেন এমনটা আশাবাদ ব্যক্ত করছেন।