alt

জাতীয়

আ.লীগকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এমন কিছু করবেন না যাতে জীবন বিপন্ন হয়

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : সোমবার, ১২ আগস্ট ২০২৪

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সংগঠিত বা জড়ো যাই হোন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) এমন কিছু করবেন না যে আপনাদের জীবন আবারো বিপন্ন হয়। এ দেশের মানুষ এখনো আপনাদের গ্রহণ করতে আসেনি। অস্বীকারের উপায় নেই, বাংলাদেশের জন্য অনেক অবদান আছে দলটির। আপনারা পার্টির রিকগনাইজ করেন কিন্তু অবশ্যই রাজনৈতিক দলের মত।

সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে আন্দোলনে আহত আনসার সদস্যদের দেখতে গিয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি একথা বলেন।

ক্ষমতাচ্যুতরা নানাভাবে আবারো সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জীবন বিপন্ন করার মতো কিছু করবেন না। এদেশের মানুষ এখনো আপনাদের গ্রহণ করতে আসেনি। পার্টিকে রিকগনাইজ করেন, রাজনৈতিক দলের মত। নির্বাচন এলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, জনগণ চাইলে ভোটে যাবেন।

আপনারা (আ.লীগ) যদি এই স্বপ্নই দেখেন তাহলে কি অন্যের হাতে দেশটা তুলে দেবেন? এমন প্রশ্ন রেখে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাহলে আমরা বা পূর্ব পুরুষরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করলাম, ৩০ লাখ মানুষ মারা গেল, সেই ৩০ লাখ মানুষের উপরে দাঁড়িয়ে এই দেশকে আপনি আরেকজনের হাতে তুলে দেবেন? আমি শুধু অনুরোধ করবো, আর যাই করেন এটা অন্তত করবেন না।

এদেশের মানুষ সবকিছু এত তাড়াতাড়ি ভুলে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষকে সময় দেন হয়তো ভুলে যাবে। এত তাড়াতাড়ি ভোলে না, কারণ যাকে ধরছিলেন নেতা সেই নেতারা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। যাকে ধরা হচ্ছে, সেই নেতাকেও বাঁচাতে পারছি না। অনেক নেতাকে অনেকে বাঁচিয়েছে। আমরা জানি কে কোথায় আছেন। সুতরাং এই আওয়ামী লীগ অনেক বড় পার্টি। তাদের প্রতি আমাদের যথেষ্ট সম্মান রয়েছে। একসময় এ দেশে আমাদের মতো বাঙালিদের ভরসার জায়গা ছিল আওয়ামী লীগ। ১৯৫২ ভাষার আন্দোলন, ৬৯ গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা এসব ব্যক্তিগত কোনো কারণে নষ্ট করবেন না। জাতীয় সম্পদ, এটাকে নষ্ট করবেন না। আপনারা আসেন যারা রেগুলার রাজনীতি করতে চান, আসেন। কিন্তু মারামারি করে কোনো লাভ নেই।

আর কোনো লোকের মৃত্যু চাই না উল্লেখ করে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ৪০০ থেকে ৫০০ হয়তো তার চেয়েও বেশি মানুষ মারা গেছে। উভয় পক্ষের আর পুলিশের কি অবস্থা হয়েছে, দেখা যাচ্ছে। আনসারেরও অবস্থা খারাপ হয়েছে। আমরা যদি উসকানি দিতাম তাহলে আপনারা (আ.লীগ) টিকতে পারতেন না, আর্মির ফায়ারে। আমরা বলেছি, ডোন্ট ওপেন ফায়ার। কারণ কাকে মারবেন আপনি? এই পুলিশকে দিয়ে তো আপনি মেরেছেন আপনার সন্তানকে।

তিনি অনুরোধ করে বলেন, এসব করবেন না, ব্যক্তিগত স্বার্থের প্ররোচনায় জড়াবেন না। ব্যক্তিস্বার্থে এই দলকে নষ্ট করবেন না। এটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, নষ্ট করার কোনো অধিকার আপনাদের নাই। এটা বাংলাদেশের সম্পত্তি। আর কেউ যদি মনে করেন যে, কাউন্টার রেভ্যুলেশন করে আসবেন, তাহলে হাজার হাজার লোকের রক্ত ঝরাতে হবে। যদি সেই দায়িত্ব নিতে চান, তাহলে নেন। আমার কিছু করণীয় নাই।

৪, ৫ ও ৬ আগস্ট তিন দিনে পুলিশসহ প্রায় সাড়ে ৩শ মানুষ মারা গেছে। এই মৃত্যুকি সব শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে গতকাল নিজের একটি মন্তব্যে দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি গতকাল একটি কথা বলেছিলাম সেজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি রাগের মাথায় বলছিলাম যে আবার চাটুকারিতা করলে বন্ধ করে দেবো। এটা আসলে আমার কাজ না। তবে একসেপ্ট যমুনা টেলিভিশন। যমুনা কিছু দেখাচ্ছিল তারপর বন্ধ হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আমি আশা করি এটা বন্ধ হবে। আমরা থাকি আর না থাকি যারা রাজনীতি করবেন, তারা যদি এটা করেন তাহলে আপনারা (মিডিয়া) স্ট্রাইকে চলে যাবেন। কি হবে, এক মাস না খেয়ে থাকলে। মরে তো যাবেন না। যমুনা টেলিভিশন দেখাচ্ছিল, অন্যরা প্রতিযোগিতা করে দেখাতো। দেখালে অন্তত মানুষ দেখতে পারতো যে কি ভয়ংকর সব ব্যাপার। আমরা তো ইউটিউবে দেখেছি। আমি সব মিডিয়ায় গেছি, সবাইকে চিনি, কোনো মিডিয়া বন্ধ করার পক্ষপাতী আমি না।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই একটি কমিটি হবে। না হলে আমরা এখানে কি জন্য এসেছি। শুধু কমিটি না, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আমাদের সাহায্য চাইতে হবে। এই ঘটনাটা (গণহত্যা) কেন ঘটল বাংলাদেশে। আমি তো ইতোমধ্যে বিষয়টি দিয়ে রিকমেন্ড করেছি। পরবর্তী সময়ে মিটিংয়ে আমি এই বিষয়টি জোরালোভাবে বলবো। এটার জন্য কমিটি করা হোক, কারা হুকুমদাতা, কেন হয়েছিল।

তরুণ প্রজন্মের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই ইয়াং জেনারেশন, এরাই করেছে, কোনো রাজনৈতিক দল করে নাই। তারা তাদের জীবন দিয়েছে। বুকফুলিয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের গুলি খাওয়ার জন্য। দে অল স্মাইলিং৷ এই ইয়াং জেনারেশন যতোদিন আছে, মুখে যতোদিন হাসি আছে, এরা তদ্দিন দৌড়াবে না। আমরা হয়তো দৌড় দেবো। এরা দৌড়াবে না। আমি জানি রাজনৈতিক দলগুলো আমাকে পছন্দ করেন না। তবে সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে বলবো, দয়া করে দেশটাকে স্বাধীন রাখেন।

পুলিশের পোশাক পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশের লোগো-ড্রেস চেঞ্জ হবে। এটা পুলিশ নিজেরাই বলেছে, এটা কলঙ্কিত করেছে। সবাই যে খারাপ তা তো না। সবাই দানব হয়েছিল, তাতো বলা যায় না। এই পোশাক পরে একদিনও বের হতে চান না। পরে আইজিসহ বললাম, এরা চাইলেও করা যায় না সময় লাগবে। পুলিশের মধ্যে একটা উপলব্ধি হয়েছে তারা তো এখন দেখছে, হোয়াট দে হ্যাভ ডান! ডে হ্যাভ নট ডান। তাদের দিয়ে করানো হয়েছে। কি করানো হয়েছে। দয়া করে দেশটাকে ভাগ করবেন না, নষ্ট করবেন না। অনেক কষ্ট করে স্বাধীনতা হয়েছে। স্বাধীনতা ধরে রাখা খুবই কঠিন। আমি নাম বলতে চাই না, আশেপাশে দেখেন কি অবস্থা।

পুলিশ সদস্যদের ১১ দফা দাবির মধ্যে ছিল সিনিয়র দোষীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সেটা আমরা দেখবো অবশ্যই দেখবো তবে পরে। একজন বললেই কি আমরা তাকে জাপটে ধরবো? তদন্ত লাগবে।

তাদের অবস্থান আপনাদের জানা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বের হবে সময় হলে অবশ্যই বের হবে।

দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কর্মক্ষম: ইউএনএফপিএ

ছবি

উপজেলা পর্যায়ে আদালত স্থাপনে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত

শেখ হাসিনার সাবেক এপিএস লিকুর জমি ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে যুবককে মধ্যযুগীয় নির্যাতন

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কক্সবাজারে সুপেয় পানির সংকট মেটাতে নতুন প্রকল্প

সাগরে লঘুচাপ, বাড়তে পারে বৃষ্টি

১০ জুলাই এসএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামার বিরুদ্ধে মামলা

৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতি জুনে

নির্বাচনে শীর্ষে বিএনপি, পরে জামায়াত ও এনসিপি

ছবি

জুলাই ঘোষণা ও সনদ দিতে ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবে না: নাহিদ

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনালের দায়িত্ব নিলো নৌবাহিনীর ড্রাই ডক

ছবি

ঢাকা শিশু হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর চাপ

বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের বেঞ্চ নয়, আইনজীবীদের বিক্ষোভ

ছবি

চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের আন্দোলন, ছত্রভঙ্গে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড

‘জুলাই গণহত্যা’: শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১০ জুলাই

মুজিবুল হক চুন্নু বহিষ্কার, জাতীয় পার্টির নতুন মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী

নির্বাচন যত দেরি হবে, বাংলাদেশ ততই পেছাবে: সিলেটে মির্জা ফখরুল

যশোরে ‘ওসিসহ নারীকে আটকে চাঁদাবাজির’ অভিযোগ, ভিডিও ফাঁসে তোলপাড়

ব্যাংক খাত নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, জানালেন গভর্নর

দুদক আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা, সরকার বলছে অনুসন্ধান চলবে

ছবি

‘২৯ নম্বর সুপারিশ’ নিয়ে বিএনপির অবস্থান ‘বিভ্রান্তিকর ও স্ববিরোধী’: দুদক সংস্কার কমিশন

ছবি

প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

উপজেলা আদালতে সব দল একমত, জরুরি অবস্থা ইস্যুতে সংসদে আলোচনা চায় বিএনপি

ছবি

‘দেশীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষতি হবে’ — নতুন নীতিমালাকে নিয়ে দাবি ‘ভিত্তিহীন’ বলে ব্যাখ্যা

ছবি

চলতি বছরে এক দিনের সর্বোচ্চ সংক্রমণ,৪৯২ জন

ছবি

ঐকমত্যের জন্য কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না কমিশন: আলী রীয়াজ

ছবি

কাকরাইলে পুলিশের লাঠিচার্জ, ছত্রভঙ্গ চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ বৃহস্পতিবার

ছবি

দেশে ফিরেছেন ৭৩ হাজার হাজি, মৃত্যু ৪৪

ছবি

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নেই, সবার সহযোগিতায় নির্মূল সম্ভব হয়েছে: জাহাঙ্গীর আলম

ছবি

নির্বাচনের ‘সময় আছে পাঁচ-ছয় মাসের মত’, সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ, জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

বাংলাদেশে এখন কোনো জঙ্গি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

আশুরার তাজিয়া মিছিলে কারবালার শোক স্মরণে শিয়া সম্প্রদায়ের ঢল

ছবি

টানা বৃষ্টিতে বাড়তে পারে পারে নদ-নদীর পানি

পুলিশ সংস্কার বাস্তবায়নে দুটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন

tab

জাতীয়

আ.লীগকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এমন কিছু করবেন না যাতে জীবন বিপন্ন হয়

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সোমবার, ১২ আগস্ট ২০২৪

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সংগঠিত বা জড়ো যাই হোন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) এমন কিছু করবেন না যে আপনাদের জীবন আবারো বিপন্ন হয়। এ দেশের মানুষ এখনো আপনাদের গ্রহণ করতে আসেনি। অস্বীকারের উপায় নেই, বাংলাদেশের জন্য অনেক অবদান আছে দলটির। আপনারা পার্টির রিকগনাইজ করেন কিন্তু অবশ্যই রাজনৈতিক দলের মত।

সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে আন্দোলনে আহত আনসার সদস্যদের দেখতে গিয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি একথা বলেন।

ক্ষমতাচ্যুতরা নানাভাবে আবারো সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জীবন বিপন্ন করার মতো কিছু করবেন না। এদেশের মানুষ এখনো আপনাদের গ্রহণ করতে আসেনি। পার্টিকে রিকগনাইজ করেন, রাজনৈতিক দলের মত। নির্বাচন এলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, জনগণ চাইলে ভোটে যাবেন।

আপনারা (আ.লীগ) যদি এই স্বপ্নই দেখেন তাহলে কি অন্যের হাতে দেশটা তুলে দেবেন? এমন প্রশ্ন রেখে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাহলে আমরা বা পূর্ব পুরুষরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করলাম, ৩০ লাখ মানুষ মারা গেল, সেই ৩০ লাখ মানুষের উপরে দাঁড়িয়ে এই দেশকে আপনি আরেকজনের হাতে তুলে দেবেন? আমি শুধু অনুরোধ করবো, আর যাই করেন এটা অন্তত করবেন না।

এদেশের মানুষ সবকিছু এত তাড়াতাড়ি ভুলে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষকে সময় দেন হয়তো ভুলে যাবে। এত তাড়াতাড়ি ভোলে না, কারণ যাকে ধরছিলেন নেতা সেই নেতারা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। যাকে ধরা হচ্ছে, সেই নেতাকেও বাঁচাতে পারছি না। অনেক নেতাকে অনেকে বাঁচিয়েছে। আমরা জানি কে কোথায় আছেন। সুতরাং এই আওয়ামী লীগ অনেক বড় পার্টি। তাদের প্রতি আমাদের যথেষ্ট সম্মান রয়েছে। একসময় এ দেশে আমাদের মতো বাঙালিদের ভরসার জায়গা ছিল আওয়ামী লীগ। ১৯৫২ ভাষার আন্দোলন, ৬৯ গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা এসব ব্যক্তিগত কোনো কারণে নষ্ট করবেন না। জাতীয় সম্পদ, এটাকে নষ্ট করবেন না। আপনারা আসেন যারা রেগুলার রাজনীতি করতে চান, আসেন। কিন্তু মারামারি করে কোনো লাভ নেই।

আর কোনো লোকের মৃত্যু চাই না উল্লেখ করে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ৪০০ থেকে ৫০০ হয়তো তার চেয়েও বেশি মানুষ মারা গেছে। উভয় পক্ষের আর পুলিশের কি অবস্থা হয়েছে, দেখা যাচ্ছে। আনসারেরও অবস্থা খারাপ হয়েছে। আমরা যদি উসকানি দিতাম তাহলে আপনারা (আ.লীগ) টিকতে পারতেন না, আর্মির ফায়ারে। আমরা বলেছি, ডোন্ট ওপেন ফায়ার। কারণ কাকে মারবেন আপনি? এই পুলিশকে দিয়ে তো আপনি মেরেছেন আপনার সন্তানকে।

তিনি অনুরোধ করে বলেন, এসব করবেন না, ব্যক্তিগত স্বার্থের প্ররোচনায় জড়াবেন না। ব্যক্তিস্বার্থে এই দলকে নষ্ট করবেন না। এটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, নষ্ট করার কোনো অধিকার আপনাদের নাই। এটা বাংলাদেশের সম্পত্তি। আর কেউ যদি মনে করেন যে, কাউন্টার রেভ্যুলেশন করে আসবেন, তাহলে হাজার হাজার লোকের রক্ত ঝরাতে হবে। যদি সেই দায়িত্ব নিতে চান, তাহলে নেন। আমার কিছু করণীয় নাই।

৪, ৫ ও ৬ আগস্ট তিন দিনে পুলিশসহ প্রায় সাড়ে ৩শ মানুষ মারা গেছে। এই মৃত্যুকি সব শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে গতকাল নিজের একটি মন্তব্যে দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি গতকাল একটি কথা বলেছিলাম সেজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি রাগের মাথায় বলছিলাম যে আবার চাটুকারিতা করলে বন্ধ করে দেবো। এটা আসলে আমার কাজ না। তবে একসেপ্ট যমুনা টেলিভিশন। যমুনা কিছু দেখাচ্ছিল তারপর বন্ধ হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আমি আশা করি এটা বন্ধ হবে। আমরা থাকি আর না থাকি যারা রাজনীতি করবেন, তারা যদি এটা করেন তাহলে আপনারা (মিডিয়া) স্ট্রাইকে চলে যাবেন। কি হবে, এক মাস না খেয়ে থাকলে। মরে তো যাবেন না। যমুনা টেলিভিশন দেখাচ্ছিল, অন্যরা প্রতিযোগিতা করে দেখাতো। দেখালে অন্তত মানুষ দেখতে পারতো যে কি ভয়ংকর সব ব্যাপার। আমরা তো ইউটিউবে দেখেছি। আমি সব মিডিয়ায় গেছি, সবাইকে চিনি, কোনো মিডিয়া বন্ধ করার পক্ষপাতী আমি না।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই একটি কমিটি হবে। না হলে আমরা এখানে কি জন্য এসেছি। শুধু কমিটি না, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আমাদের সাহায্য চাইতে হবে। এই ঘটনাটা (গণহত্যা) কেন ঘটল বাংলাদেশে। আমি তো ইতোমধ্যে বিষয়টি দিয়ে রিকমেন্ড করেছি। পরবর্তী সময়ে মিটিংয়ে আমি এই বিষয়টি জোরালোভাবে বলবো। এটার জন্য কমিটি করা হোক, কারা হুকুমদাতা, কেন হয়েছিল।

তরুণ প্রজন্মের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই ইয়াং জেনারেশন, এরাই করেছে, কোনো রাজনৈতিক দল করে নাই। তারা তাদের জীবন দিয়েছে। বুকফুলিয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের গুলি খাওয়ার জন্য। দে অল স্মাইলিং৷ এই ইয়াং জেনারেশন যতোদিন আছে, মুখে যতোদিন হাসি আছে, এরা তদ্দিন দৌড়াবে না। আমরা হয়তো দৌড় দেবো। এরা দৌড়াবে না। আমি জানি রাজনৈতিক দলগুলো আমাকে পছন্দ করেন না। তবে সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে বলবো, দয়া করে দেশটাকে স্বাধীন রাখেন।

পুলিশের পোশাক পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশের লোগো-ড্রেস চেঞ্জ হবে। এটা পুলিশ নিজেরাই বলেছে, এটা কলঙ্কিত করেছে। সবাই যে খারাপ তা তো না। সবাই দানব হয়েছিল, তাতো বলা যায় না। এই পোশাক পরে একদিনও বের হতে চান না। পরে আইজিসহ বললাম, এরা চাইলেও করা যায় না সময় লাগবে। পুলিশের মধ্যে একটা উপলব্ধি হয়েছে তারা তো এখন দেখছে, হোয়াট দে হ্যাভ ডান! ডে হ্যাভ নট ডান। তাদের দিয়ে করানো হয়েছে। কি করানো হয়েছে। দয়া করে দেশটাকে ভাগ করবেন না, নষ্ট করবেন না। অনেক কষ্ট করে স্বাধীনতা হয়েছে। স্বাধীনতা ধরে রাখা খুবই কঠিন। আমি নাম বলতে চাই না, আশেপাশে দেখেন কি অবস্থা।

পুলিশ সদস্যদের ১১ দফা দাবির মধ্যে ছিল সিনিয়র দোষীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সেটা আমরা দেখবো অবশ্যই দেখবো তবে পরে। একজন বললেই কি আমরা তাকে জাপটে ধরবো? তদন্ত লাগবে।

তাদের অবস্থান আপনাদের জানা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বের হবে সময় হলে অবশ্যই বের হবে।

back to top