বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ভার্সিটি
১৫ বছরে নিয়োগ দেয়া অযোগ্যদের চাকরিচ্যুত করতে হবে : ডা. সাইফুল
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিস চলাকালিন সময় রাজনৈতিক কর্মকা- বন্ধ থাকবে। কর্মস্থলে বিশৃঙ্খলা, হুড়াহুড়ি ও দলাদলি করা যাবে না। ভার্সিটির নিয়ম-বিধি, শৃঙ্খলা মেনে সবাইকে চলতে হবে। যথা সময়ে অফিসে যেতে হবে। আর সব কাজ-কর্ম বিধি মোতাবেক সম্পন্ন করতে হবে।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে ভাসির্টি কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের কার্যালয়ে দেখা করতে গেলে এসব নির্দেশনা দেন। তা কঠোরভাবে পালনের কথা বলা হয়েছে। মিটিং শেষে ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
অন্যদিকে ভার্সিটির প্রশাসন সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে ভার্সিটির প্রশাসনের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। গত ১৫ থেকে ১৮ বছর ধরে পদোন্নতি বঞ্চিতরা এখন ভূতাপেক্ষ হিসেবে পদ পেতে চেষ্টা করছেন। মেডিকেল অফিসার থেকে শুরু সহকারি অধ্যাপক। আর সহকারি থেকে সহযোগী, আর সহযোগী থেকে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।
গত ৮ আগস্ট থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এখনও চলমান। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাচাই করে এইগুলো বিচেনায় আনা হচ্ছে।
ভার্সিটি সূত্র জানায়, গত ১৫ বছর ধরে ভার্সিটির যে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর প্রমোশন হয়নি। তারা এখন তালিকা তৈরি করে পদোন্নতি নেয়ার চেষ্টা করছেন। তারা ভার্সিটির কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তালিকা নিয়ে তৎপর রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, সিনিয়র শিক্ষকরা ধৈর্য ধরলেও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সহকর্মীদেরকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। অনেক কর্মচারী সিনিয়র কর্মকর্তাকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এরপরও বিএনপি সমর্থক সিনিয়র শিক্ষকরা পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টাও করছেন।
সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় বিবেচনায় ছাত্রলীগের অনেক নেতা ও নেত্রীকে ভার্সিটির বিভিন্ন পদে চাকরি দিয়েছেন। তারা ভার্সিটি কাজের চেয়ে কর্মস্থলে বসে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতেন। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তারা সোমবার পর্যন্ত কর্মস্থলে নেই। অনেকেই নানা অজুহতে কর্মস্থলে যাচ্ছে না।
এদিকে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ডা. নজরুল ইসলাম রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে সংবাদকে জানান, ভার্সিটির পরিস্থিতি এখন শান্ত। ড্যাবের চিকিৎসকরা কাউকে আঘাত করেনি। গেল ১৮ বছর ধরে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। তাদেরকে প্রমোশন না দিয়ে জুনিয়র কিংবা তাদের ছাত্রদেরকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এমন বহু ঘটনা ভার্সিটিতে ঘটেছে। এখন তারা প্রশাসনের সহায়তায় ভূতাপেক্ষ হিসেবে প্রমোশন নিচ্ছেন। সেই হিসেবে তারা এখনও ক্যাম্পাস পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য সবাই মিলে কাজ করছেন।
বিএনপির সিনিয়র চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম তার কার্যালয় সংবাদকে জানান, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কার্যক্রম এখন স্বাভাবিকভাবে চলছে। শিক্ষাও শুরু হয়েছে। পদ বঞ্চিতরা তারেদরকে পদায়নে ভার্সিটির রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। বিচ্ছিন্নভাবে টুকটাক কিছু কিছু ঘটনা ঘটতে পারে।
তার দাবি আওয়ামী লীগ আমলে যাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তার আমুল পরিবর্তন চাই। বিগত দিনে দলীয় বিবেচনায় ছাত্রলীগের যে সমস্ত অযোগ্য নেতাকর্মীকে চাকরি দেয়া হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত। ওই সব নিয়োগ অতিসত্ত্বর বাতিলের দাবি জানান। গেল ১৮ বছর ধরে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস সৃষ্টিকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে চিহ্নিত করে তাদেরকে বহিস্কারসহ শাস্তির দাবি জানান তিানি।
গত ৩ আগস্ট ভার্সিটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে। ছাত্রদের মিছিলে ভার্সিটি থেকে ইট, পাথর নিক্ষেপে কিছু কর্মচারী জড়িত। যার কারণে ভার্সিটির ৫২টি যানবাহনে আগুন ও হামলা তা-ব চালানো হয়েছে। পুরো ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) একজন সিনিয়র চিকিৎসক সংবাদকে জানান, ভিতিকর পরিস্থিতির কারণে তাদের অনেকেই এখনও অফিসে যেতে সাহস পাচ্ছে না। তারাও ক্যাম্পাসে সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান।
হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, এই অবস্থায় হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা কিছুটা বিঘœ ঘটছে। রোগীও আগের চেয়ে কমে গেছে।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ভার্সিটি
১৫ বছরে নিয়োগ দেয়া অযোগ্যদের চাকরিচ্যুত করতে হবে : ডা. সাইফুল
মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট ২০২৪
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিস চলাকালিন সময় রাজনৈতিক কর্মকা- বন্ধ থাকবে। কর্মস্থলে বিশৃঙ্খলা, হুড়াহুড়ি ও দলাদলি করা যাবে না। ভার্সিটির নিয়ম-বিধি, শৃঙ্খলা মেনে সবাইকে চলতে হবে। যথা সময়ে অফিসে যেতে হবে। আর সব কাজ-কর্ম বিধি মোতাবেক সম্পন্ন করতে হবে।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে ভাসির্টি কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের কার্যালয়ে দেখা করতে গেলে এসব নির্দেশনা দেন। তা কঠোরভাবে পালনের কথা বলা হয়েছে। মিটিং শেষে ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
অন্যদিকে ভার্সিটির প্রশাসন সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে ভার্সিটির প্রশাসনের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। গত ১৫ থেকে ১৮ বছর ধরে পদোন্নতি বঞ্চিতরা এখন ভূতাপেক্ষ হিসেবে পদ পেতে চেষ্টা করছেন। মেডিকেল অফিসার থেকে শুরু সহকারি অধ্যাপক। আর সহকারি থেকে সহযোগী, আর সহযোগী থেকে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।
গত ৮ আগস্ট থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এখনও চলমান। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাচাই করে এইগুলো বিচেনায় আনা হচ্ছে।
ভার্সিটি সূত্র জানায়, গত ১৫ বছর ধরে ভার্সিটির যে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর প্রমোশন হয়নি। তারা এখন তালিকা তৈরি করে পদোন্নতি নেয়ার চেষ্টা করছেন। তারা ভার্সিটির কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তালিকা নিয়ে তৎপর রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, সিনিয়র শিক্ষকরা ধৈর্য ধরলেও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সহকর্মীদেরকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। অনেক কর্মচারী সিনিয়র কর্মকর্তাকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এরপরও বিএনপি সমর্থক সিনিয়র শিক্ষকরা পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টাও করছেন।
সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় বিবেচনায় ছাত্রলীগের অনেক নেতা ও নেত্রীকে ভার্সিটির বিভিন্ন পদে চাকরি দিয়েছেন। তারা ভার্সিটি কাজের চেয়ে কর্মস্থলে বসে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতেন। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তারা সোমবার পর্যন্ত কর্মস্থলে নেই। অনেকেই নানা অজুহতে কর্মস্থলে যাচ্ছে না।
এদিকে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ডা. নজরুল ইসলাম রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে সংবাদকে জানান, ভার্সিটির পরিস্থিতি এখন শান্ত। ড্যাবের চিকিৎসকরা কাউকে আঘাত করেনি। গেল ১৮ বছর ধরে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। তাদেরকে প্রমোশন না দিয়ে জুনিয়র কিংবা তাদের ছাত্রদেরকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এমন বহু ঘটনা ভার্সিটিতে ঘটেছে। এখন তারা প্রশাসনের সহায়তায় ভূতাপেক্ষ হিসেবে প্রমোশন নিচ্ছেন। সেই হিসেবে তারা এখনও ক্যাম্পাস পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য সবাই মিলে কাজ করছেন।
বিএনপির সিনিয়র চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম তার কার্যালয় সংবাদকে জানান, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কার্যক্রম এখন স্বাভাবিকভাবে চলছে। শিক্ষাও শুরু হয়েছে। পদ বঞ্চিতরা তারেদরকে পদায়নে ভার্সিটির রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। বিচ্ছিন্নভাবে টুকটাক কিছু কিছু ঘটনা ঘটতে পারে।
তার দাবি আওয়ামী লীগ আমলে যাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তার আমুল পরিবর্তন চাই। বিগত দিনে দলীয় বিবেচনায় ছাত্রলীগের যে সমস্ত অযোগ্য নেতাকর্মীকে চাকরি দেয়া হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত। ওই সব নিয়োগ অতিসত্ত্বর বাতিলের দাবি জানান। গেল ১৮ বছর ধরে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস সৃষ্টিকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে চিহ্নিত করে তাদেরকে বহিস্কারসহ শাস্তির দাবি জানান তিানি।
গত ৩ আগস্ট ভার্সিটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে। ছাত্রদের মিছিলে ভার্সিটি থেকে ইট, পাথর নিক্ষেপে কিছু কর্মচারী জড়িত। যার কারণে ভার্সিটির ৫২টি যানবাহনে আগুন ও হামলা তা-ব চালানো হয়েছে। পুরো ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) একজন সিনিয়র চিকিৎসক সংবাদকে জানান, ভিতিকর পরিস্থিতির কারণে তাদের অনেকেই এখনও অফিসে যেতে সাহস পাচ্ছে না। তারাও ক্যাম্পাসে সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান।
হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, এই অবস্থায় হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা কিছুটা বিঘœ ঘটছে। রোগীও আগের চেয়ে কমে গেছে।