alt

জাতীয়

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

৭ দিনের ‘রেজিস্ট্যান্স উইক ‘ কর্মসূচি ঘোষণা

# সব মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কমিশন প্রধানদের অপসারণের দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট ২০২৪

দেশের সকল মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কমিশনের প্রধানদের অপসারণ ও বৈষম্যের শিকার আমলাদের সুযোগের সমতা নিশ্চিতসহ চার দফা দাবি আদায়ে ফের রাজপথে নেমেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ মঙ্গলবার থেকে টানা সাত দিন সারা দেশে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ পালন করার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমবেত হয়ে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা৷ এসময় শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া, ভিসি চত্বর থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত রোড মার্চ করেন তারা। আন্দোলনের সমল শহীদ স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং দোয়া-প্রার্থনা করা হয়।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ থেকে চার দফা দাবিতে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবিগুলো হলো—‘ফ্যাসিবাদী কাঠামো ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট’ শেখ হাসিনা এবং তাঁর দল ও সরকার‍ যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন; সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর ‘পরিকল্পিত হত্যা-ডাকাতি-লুণ্ঠনের’ মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় অংশগ্রহণ করা ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা ও সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া; প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যাঁরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালে হামলা-মামলা-হত্যাযজ্ঞ বৈধতা দিয়েছেন ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারবার কায়েমের চেষ্টা করছেন তাঁদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নতুন সরকারে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনা; প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যাঁরা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তাঁদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা।

সমাবেশে বিচারব্যবস্থা নিয়ে সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, বিগত ১৬ বছর সরকার ফ্যাসিস্ট সরকার দেশটার বিচার বিভাগ ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে নিজেদের সুবিধার্থে দলীয় লোক বসিয়েছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে নিরীহ জনগণ ও সাধারণ ছাত্র জনতার উপর ন্যাক্কারজনক হত্যাকান্ড চালিয়েছে। বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে বিচার নিশ্চিত করে নাই। নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে। তার ভুক্তভোগী হয়ে হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষ।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিচার বিভাগের উদ্দ্যেশ্য করে বলতে চাই এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার ও তার দোসরদের যতদিন না বিচার করা হবে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। অবিলম্বে খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের দেশে এনে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ ও ছাত্র জনতার হত্যাকান্ডের বিচারে সাজা দিতে হবে।

সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সকল মন্ত্রালয়ের সচিব এবং সকল কমিশনের প্রধানকে অপসারণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, আইন কমিশনসহ সকল কমিশনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বসে আছে। আজকের মধ্যেই সকল ফ্যাসিস্ট আমলাদের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে এবং সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক আমলাদের নিয়োগ দিতে হবে।

ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, নিরীহ মানুষ ও ছাত্র জনতার লাশের উপর দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো স্বৈরাচারের হাত থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা শহীদ ভাইদের রক্তের দামে কেনা স্বাধীন বাংলাদেশকে নস্যাৎ হতে দেব না। প্রয়োজনে নিজের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করবো। ফ্যাসিস্টদের দোসররা এখনো এই দেশেই আছে। তারা আমাদের রক্তের দামে কেনা এই স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করার জন্য বিভিন্নভাবে পায়তার করছে। অবিলম্বে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

ছবি

‘নজরুল পুরস্কার’ পাচ্ছেন আনোয়ারুল হক ও শবনম মুশতারী

ছবি

‘মব করে রায়’: সারজিস আলমকে আইনি নোটিস

ছবি

রাতে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুহাম্মদ ইউনূস

আজ শনিবার খোলা সরকারি অফিস

পল্লবীতে চালককে হত্যা করে অটো ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৫ জন গ্রেপ্তার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষক ও ছাত্রী সাময়িক বহিষ্কার

ছবি

প্রত্যেক ঋতুতেই উৎসব মনিপুরীদের

ঈদযাত্রায় বাড়তি চাপ, অতিরিক্ত ফ্লাইট চালাবে বিমান

গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী ও প্রসিকিউটর

ছবি

প্রথমবারের মতো কাতারে বাংলাদেশি আমের মেলা

ছবি

পীরগাছায় ৫০০ হেক্টর জমির কৃষি ফসল পানিতে

ছবি

শখের গাছে থোকায় থোকায় লাল, মিষ্টি আঙুর

ইইউর পণ্যে ৫০%, অ্যাপল আইফোনে ২৫% শুল্কের হুমকি ট্রাম্পের

প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন: পোস্ট দিয়ে সরিয়ে নিলেন তৈয়্যব

ছবি

রাজধানীসহ ৫ স্থানে দুর্ঘটনায় নিহত ৭

শুধু নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব নিইনি, সংস্কার-বিচারও দায়িত্ব:উপদেষ্টা রিজওয়ানা

চার দফা দাবিতে অটল এনবিআর ঐক্য পরিষদ

গুজবে বিভ্রান্ত না হতে সেনাবাহিনীর আহ্বান

বেচা-বিক্রি ‘একদমই কম’ নিত্যপণ্যের বাজারে

ছবি

‘হতাশ-ক্ষুব্ধ’ প্রধান উপদেষ্টা, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

ছবি

রাজনৈতিক সংকটে ইউনূসের পদত্যাগ বিবেচনায়: নাহিদের সঙ্গে বৈঠকে ইঙ্গিত

ছবি

কোন কোন এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে, জানাল আবহাওয়া অফিস

ছবি

সংস্কার ও বিচার কার্যক্রমে অন্তর্বর্তী সরকার বাধার মুখে পড়েছে: রিজওয়ানা হাসান

ছবি

সরকারি দিনমজুরের মজুরি বাড়ল, ঢাকায় দৈনিক ৮০০ টাকা

ছবি

চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়েই কাজ করছি: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি ‘স্বার্থান্বেষী মহলের অপচেষ্টা’, গুজবে বিভ্রান্ত না হতে সেনাবাহিনীর আহ্বান

ঈদুল আজহা : ট্রেনের ২ জুনের টিকেট বিক্রি আজ

ছবি

মুহাম্মদ ইউনূস ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’: নাহিদ ইসলাম

ছবি

কলকাতা মিশনে কোরবানি নিয়ে বিতর্ক, কুটনীতিক শাবাবকে দেশে ফেরার নির্দেশ

ছবি

আওয়ামী লীগ সমর্থকদের দমনে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের

ছবি

আশ্রয়প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ, অপপ্রচারে সতর্ক থাকার আহ্বান সেনাবাহিনীর

ছবি

জসীম উদ্দিনের স্থলাভিষিক্ত রুহুল আলম, কার্যকর শুক্রবার থেকে

‘মব’ সামলে পুরস্কৃত ধানমন্ডির ওসি

সংশোধিত সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের প্রস্তাব অনুমোদন

হলফনামায় ‘তথ্য গোপন’ : হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসিকে দুদকের চিঠি

সাবেক এনএসআই ডিজির সম্পদ ‘স্থানান্তরচেষ্টা’, এনবিআর সদস্যসহ দুইজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

tab

জাতীয়

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

৭ দিনের ‘রেজিস্ট্যান্স উইক ‘ কর্মসূচি ঘোষণা

# সব মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কমিশন প্রধানদের অপসারণের দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট ২০২৪

দেশের সকল মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কমিশনের প্রধানদের অপসারণ ও বৈষম্যের শিকার আমলাদের সুযোগের সমতা নিশ্চিতসহ চার দফা দাবি আদায়ে ফের রাজপথে নেমেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ মঙ্গলবার থেকে টানা সাত দিন সারা দেশে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ পালন করার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমবেত হয়ে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা৷ এসময় শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া, ভিসি চত্বর থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত রোড মার্চ করেন তারা। আন্দোলনের সমল শহীদ স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং দোয়া-প্রার্থনা করা হয়।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ থেকে চার দফা দাবিতে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবিগুলো হলো—‘ফ্যাসিবাদী কাঠামো ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট’ শেখ হাসিনা এবং তাঁর দল ও সরকার‍ যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন; সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর ‘পরিকল্পিত হত্যা-ডাকাতি-লুণ্ঠনের’ মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় অংশগ্রহণ করা ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা ও সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া; প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যাঁরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালে হামলা-মামলা-হত্যাযজ্ঞ বৈধতা দিয়েছেন ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারবার কায়েমের চেষ্টা করছেন তাঁদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নতুন সরকারে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনা; প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যাঁরা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তাঁদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা।

সমাবেশে বিচারব্যবস্থা নিয়ে সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, বিগত ১৬ বছর সরকার ফ্যাসিস্ট সরকার দেশটার বিচার বিভাগ ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে নিজেদের সুবিধার্থে দলীয় লোক বসিয়েছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে নিরীহ জনগণ ও সাধারণ ছাত্র জনতার উপর ন্যাক্কারজনক হত্যাকান্ড চালিয়েছে। বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে বিচার নিশ্চিত করে নাই। নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে। তার ভুক্তভোগী হয়ে হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষ।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিচার বিভাগের উদ্দ্যেশ্য করে বলতে চাই এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার ও তার দোসরদের যতদিন না বিচার করা হবে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। অবিলম্বে খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের দেশে এনে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ ও ছাত্র জনতার হত্যাকান্ডের বিচারে সাজা দিতে হবে।

সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সকল মন্ত্রালয়ের সচিব এবং সকল কমিশনের প্রধানকে অপসারণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, আইন কমিশনসহ সকল কমিশনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বসে আছে। আজকের মধ্যেই সকল ফ্যাসিস্ট আমলাদের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে এবং সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক আমলাদের নিয়োগ দিতে হবে।

ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, নিরীহ মানুষ ও ছাত্র জনতার লাশের উপর দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো স্বৈরাচারের হাত থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা শহীদ ভাইদের রক্তের দামে কেনা স্বাধীন বাংলাদেশকে নস্যাৎ হতে দেব না। প্রয়োজনে নিজের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করবো। ফ্যাসিস্টদের দোসররা এখনো এই দেশেই আছে। তারা আমাদের রক্তের দামে কেনা এই স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করার জন্য বিভিন্নভাবে পায়তার করছে। অবিলম্বে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

back to top