বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
# সব মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কমিশন প্রধানদের অপসারণের দাবি
দেশের সকল মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কমিশনের প্রধানদের অপসারণ ও বৈষম্যের শিকার আমলাদের সুযোগের সমতা নিশ্চিতসহ চার দফা দাবি আদায়ে ফের রাজপথে নেমেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ মঙ্গলবার থেকে টানা সাত দিন সারা দেশে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ পালন করার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমবেত হয়ে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা৷ এসময় শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া, ভিসি চত্বর থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত রোড মার্চ করেন তারা। আন্দোলনের সমল শহীদ স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং দোয়া-প্রার্থনা করা হয়।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ থেকে চার দফা দাবিতে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবিগুলো হলো—‘ফ্যাসিবাদী কাঠামো ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট’ শেখ হাসিনা এবং তাঁর দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন; সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর ‘পরিকল্পিত হত্যা-ডাকাতি-লুণ্ঠনের’ মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় অংশগ্রহণ করা ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা ও সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া; প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যাঁরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালে হামলা-মামলা-হত্যাযজ্ঞ বৈধতা দিয়েছেন ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারবার কায়েমের চেষ্টা করছেন তাঁদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নতুন সরকারে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনা; প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যাঁরা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তাঁদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা।
সমাবেশে বিচারব্যবস্থা নিয়ে সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, বিগত ১৬ বছর সরকার ফ্যাসিস্ট সরকার দেশটার বিচার বিভাগ ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে নিজেদের সুবিধার্থে দলীয় লোক বসিয়েছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে নিরীহ জনগণ ও সাধারণ ছাত্র জনতার উপর ন্যাক্কারজনক হত্যাকান্ড চালিয়েছে। বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে বিচার নিশ্চিত করে নাই। নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে। তার ভুক্তভোগী হয়ে হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষ।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিচার বিভাগের উদ্দ্যেশ্য করে বলতে চাই এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার ও তার দোসরদের যতদিন না বিচার করা হবে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। অবিলম্বে খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের দেশে এনে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ ও ছাত্র জনতার হত্যাকান্ডের বিচারে সাজা দিতে হবে।
সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সকল মন্ত্রালয়ের সচিব এবং সকল কমিশনের প্রধানকে অপসারণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, আইন কমিশনসহ সকল কমিশনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বসে আছে। আজকের মধ্যেই সকল ফ্যাসিস্ট আমলাদের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে এবং সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক আমলাদের নিয়োগ দিতে হবে।
ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, নিরীহ মানুষ ও ছাত্র জনতার লাশের উপর দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো স্বৈরাচারের হাত থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা শহীদ ভাইদের রক্তের দামে কেনা স্বাধীন বাংলাদেশকে নস্যাৎ হতে দেব না। প্রয়োজনে নিজের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করবো। ফ্যাসিস্টদের দোসররা এখনো এই দেশেই আছে। তারা আমাদের রক্তের দামে কেনা এই স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করার জন্য বিভিন্নভাবে পায়তার করছে। অবিলম্বে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
# সব মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কমিশন প্রধানদের অপসারণের দাবি
মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট ২০২৪
দেশের সকল মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কমিশনের প্রধানদের অপসারণ ও বৈষম্যের শিকার আমলাদের সুযোগের সমতা নিশ্চিতসহ চার দফা দাবি আদায়ে ফের রাজপথে নেমেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ মঙ্গলবার থেকে টানা সাত দিন সারা দেশে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ পালন করার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমবেত হয়ে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা৷ এসময় শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া, ভিসি চত্বর থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত রোড মার্চ করেন তারা। আন্দোলনের সমল শহীদ স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং দোয়া-প্রার্থনা করা হয়।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ থেকে চার দফা দাবিতে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবিগুলো হলো—‘ফ্যাসিবাদী কাঠামো ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট’ শেখ হাসিনা এবং তাঁর দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন; সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর ‘পরিকল্পিত হত্যা-ডাকাতি-লুণ্ঠনের’ মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় অংশগ্রহণ করা ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা ও সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া; প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যাঁরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালে হামলা-মামলা-হত্যাযজ্ঞ বৈধতা দিয়েছেন ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারবার কায়েমের চেষ্টা করছেন তাঁদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নতুন সরকারে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনা; প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যাঁরা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তাঁদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা।
সমাবেশে বিচারব্যবস্থা নিয়ে সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, বিগত ১৬ বছর সরকার ফ্যাসিস্ট সরকার দেশটার বিচার বিভাগ ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে নিজেদের সুবিধার্থে দলীয় লোক বসিয়েছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে নিরীহ জনগণ ও সাধারণ ছাত্র জনতার উপর ন্যাক্কারজনক হত্যাকান্ড চালিয়েছে। বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে বিচার নিশ্চিত করে নাই। নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে। তার ভুক্তভোগী হয়ে হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষ।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিচার বিভাগের উদ্দ্যেশ্য করে বলতে চাই এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার ও তার দোসরদের যতদিন না বিচার করা হবে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। অবিলম্বে খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের দেশে এনে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ ও ছাত্র জনতার হত্যাকান্ডের বিচারে সাজা দিতে হবে।
সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সকল মন্ত্রালয়ের সচিব এবং সকল কমিশনের প্রধানকে অপসারণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, আইন কমিশনসহ সকল কমিশনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বসে আছে। আজকের মধ্যেই সকল ফ্যাসিস্ট আমলাদের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে এবং সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক আমলাদের নিয়োগ দিতে হবে।
ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, নিরীহ মানুষ ও ছাত্র জনতার লাশের উপর দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো স্বৈরাচারের হাত থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা শহীদ ভাইদের রক্তের দামে কেনা স্বাধীন বাংলাদেশকে নস্যাৎ হতে দেব না। প্রয়োজনে নিজের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করবো। ফ্যাসিস্টদের দোসররা এখনো এই দেশেই আছে। তারা আমাদের রক্তের দামে কেনা এই স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করার জন্য বিভিন্নভাবে পায়তার করছে। অবিলম্বে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।