সংসদকে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা প্রদানকারী সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করা আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) শুনানি সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটির পর হবে।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। পুনর্বিবেচনার আবেদনকারী রাষ্ট্রের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের পক্ষে রায় হয়েছিল যে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বহাল থাকবে। সরকারের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু দীর্ঘদিন শুনানি হয়নি। প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারকদের নবনিযুক্ত হওয়ার পর নতুন প্রেক্ষাপটে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। শুনানি এক সপ্তাহ পর অবকাশের পর হবে।”
সুপ্রিম কোর্ট আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত অবকাশকালীন ছুটি পালন করবে।
১৯৭২ সালে প্রণীত মূল সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ছিল, যা ১৯৭৫ সালের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির হাতে অর্পিত হয়। পরে ১৯৭৯ সালের পঞ্চম সংশোধনীতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়।
২০১৪ সালে ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদকে পুনরায় বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা প্রদান করা হয়। ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৪ সালের নভেম্বরে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়। ২০১৬ সালের মে মাসে হাই কোর্ট ওই সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয়।
এরপর ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে আপিল করা হয় এবং ৩ জুলাই আপিল বিভাগ হাই কোর্টের রায় বহাল রাখে। রাষ্ট্রপক্ষ ২৪ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদন করে, যা এখন সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটির পর শুনানি হবে।
শুক্রবার, ১৬ আগস্ট ২০২৪
সংসদকে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা প্রদানকারী সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করা আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) শুনানি সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটির পর হবে।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। পুনর্বিবেচনার আবেদনকারী রাষ্ট্রের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের পক্ষে রায় হয়েছিল যে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বহাল থাকবে। সরকারের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু দীর্ঘদিন শুনানি হয়নি। প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারকদের নবনিযুক্ত হওয়ার পর নতুন প্রেক্ষাপটে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। শুনানি এক সপ্তাহ পর অবকাশের পর হবে।”
সুপ্রিম কোর্ট আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত অবকাশকালীন ছুটি পালন করবে।
১৯৭২ সালে প্রণীত মূল সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ছিল, যা ১৯৭৫ সালের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির হাতে অর্পিত হয়। পরে ১৯৭৯ সালের পঞ্চম সংশোধনীতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়।
২০১৪ সালে ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদকে পুনরায় বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা প্রদান করা হয়। ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৪ সালের নভেম্বরে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়। ২০১৬ সালের মে মাসে হাই কোর্ট ওই সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয়।
এরপর ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে আপিল করা হয় এবং ৩ জুলাই আপিল বিভাগ হাই কোর্টের রায় বহাল রাখে। রাষ্ট্রপক্ষ ২৪ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদন করে, যা এখন সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটির পর শুনানি হবে।