বন্যার ক্ষত: লক্ষ্মীপুরের দত্তপাড়া থেকে বটতলী রোডের চিত্র
বন্যার কারণে লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন দত্তপাড়া থেকে বটতলী পর্যন্ত রোডটি বেহাল দশা বিরাজ করছে। পানি জমে যাওয়ায় এখন পুরো সড়কটি খাদাখন্দকে পরিণত হয়েছে। যানবাহন চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়েছে। অথচ প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই সড়ক দিয়ে শত শত যানবাহন চলাচল করলেও এখন পুরো রাস্তায় অচলাবস্থা বিরাজ করছে। কবে রাস্তাটি সংস্কার করা হবে তাও অনিশ্চিত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দত্তপাড়া থেকে বটতলী রোড পর্যন্ত সড়ক পার হয়ে লক্ষীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে সড়ক ও মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। বন্যার কারণে ওই রোড থেকে শহরে যাওয়া আসা করা কষ্টকর। মাঝে মধ্যে সিএনজি অটোরিকশা বা অন্য কোন যানবাহনে দত্তপাড়া ও বটতলী রোড দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে অনেকেই খানাখন্দকে পড়েছে।
কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করার চেষ্টা করলেও খানাখন্দকের কারণে গাড়ি উল্টে কিংবা গর্তে পড়ে অনেকেই আহত হয়েছে। আবার অনেকেই বেহাল রাস্তা দিয়ে হেঁটে পার হওয়ার চেষ্টা করছেন। এরপর হাঁটা কঠিন।
সংবাদ অফিসে পাঠানো ছবি দেখে মনে হচ্ছে, রাস্তার কোনো কোনো স্থানে খালের মতো পানি জমে আছে। বন্যার সময় পুরো রাস্তাটি ডুবে গেছে। এখনও বন্যার পানি পুরো নামেনি। যার কারণে পরিস্থিতির অবনতি।
এলাকাবাসী দত্তপাড়া টু বটতলীর বেহাল রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কারণে অনেকেই লক্ষ্মীপুরের এই সড়ক ব্যবহার না করে বিকল্প হিসেবে দত্তপাড়া থেকে সোমপাড়া হয়ে চাটখিলের রাস্তায় চলাচল করছে। সেই রাস্তায় খানাখন্দক আছে। তবে কিছুটা কম।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. জুনায়েদ জানান, গত জুলাই মাস থেকে রাস্তাটির বেহাল দশা বিরাজ করছে। গত আগস্ট মাসের বন্যায় আরও খারাপ হয়েছে। আগের সেই রাস্তা দিয়ে দিনে শত শত যানবাহন চলাচল করত। এমনকি দত্তপাড়া বাজার আশপাশের এলাকায় ট্রাকযোগে পণ্য আনা নেয়া করা যেত। এখন যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা মৃত্যুর ঝুঁকিও আছে। রাস্তাটির খাদাখন্দক ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানান।
এই ছাড়াও দত্তপাড়া থেকে বশিকপুর সংযোগ (পাকা) সড়কটি বন্যার পানিতে কিছু অংশ ডুবে গেছে। আবার বশিকপুর করমদিন পাটওয়ারি বাড়ি থেকে ডোমবাড়ির সংযোগ সড়কটি পানিতে ডুবে গেছে। এখনও সেখানে হাঁটুপানি জমে আছে। এলাকাবাসী পানির কারণে ঘর থেকে বের হওয়া কষ্টকর। গত ১৫ বছরে রাস্তাটি সড়ক বিভাগের তালিকাভুক্ত করা হলেও বারবার আশ্বাসের পরও রাস্তাটি পাকা করা হয়নি। এখন কাদামাটি ও পানিতে এলাকা সয়লাব। এমনকি পাশের কবরস্থানটি ডুবে যাওয়ায় কেউ মারা গেলেও দাফন করার মতো শুকনো জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন। ফলে ওই এলাকায় বসবাসকারী শতাধিক বাড়ির মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ছাত্র-ছাত্রীর স্কুল-কলেজে যাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে।
বন্যার ক্ষত: লক্ষ্মীপুরের দত্তপাড়া থেকে বটতলী রোডের চিত্র
বুধবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বন্যার কারণে লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন দত্তপাড়া থেকে বটতলী পর্যন্ত রোডটি বেহাল দশা বিরাজ করছে। পানি জমে যাওয়ায় এখন পুরো সড়কটি খাদাখন্দকে পরিণত হয়েছে। যানবাহন চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়েছে। অথচ প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই সড়ক দিয়ে শত শত যানবাহন চলাচল করলেও এখন পুরো রাস্তায় অচলাবস্থা বিরাজ করছে। কবে রাস্তাটি সংস্কার করা হবে তাও অনিশ্চিত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দত্তপাড়া থেকে বটতলী রোড পর্যন্ত সড়ক পার হয়ে লক্ষীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে সড়ক ও মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। বন্যার কারণে ওই রোড থেকে শহরে যাওয়া আসা করা কষ্টকর। মাঝে মধ্যে সিএনজি অটোরিকশা বা অন্য কোন যানবাহনে দত্তপাড়া ও বটতলী রোড দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে অনেকেই খানাখন্দকে পড়েছে।
কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করার চেষ্টা করলেও খানাখন্দকের কারণে গাড়ি উল্টে কিংবা গর্তে পড়ে অনেকেই আহত হয়েছে। আবার অনেকেই বেহাল রাস্তা দিয়ে হেঁটে পার হওয়ার চেষ্টা করছেন। এরপর হাঁটা কঠিন।
সংবাদ অফিসে পাঠানো ছবি দেখে মনে হচ্ছে, রাস্তার কোনো কোনো স্থানে খালের মতো পানি জমে আছে। বন্যার সময় পুরো রাস্তাটি ডুবে গেছে। এখনও বন্যার পানি পুরো নামেনি। যার কারণে পরিস্থিতির অবনতি।
এলাকাবাসী দত্তপাড়া টু বটতলীর বেহাল রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কারণে অনেকেই লক্ষ্মীপুরের এই সড়ক ব্যবহার না করে বিকল্প হিসেবে দত্তপাড়া থেকে সোমপাড়া হয়ে চাটখিলের রাস্তায় চলাচল করছে। সেই রাস্তায় খানাখন্দক আছে। তবে কিছুটা কম।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. জুনায়েদ জানান, গত জুলাই মাস থেকে রাস্তাটির বেহাল দশা বিরাজ করছে। গত আগস্ট মাসের বন্যায় আরও খারাপ হয়েছে। আগের সেই রাস্তা দিয়ে দিনে শত শত যানবাহন চলাচল করত। এমনকি দত্তপাড়া বাজার আশপাশের এলাকায় ট্রাকযোগে পণ্য আনা নেয়া করা যেত। এখন যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা মৃত্যুর ঝুঁকিও আছে। রাস্তাটির খাদাখন্দক ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানান।
এই ছাড়াও দত্তপাড়া থেকে বশিকপুর সংযোগ (পাকা) সড়কটি বন্যার পানিতে কিছু অংশ ডুবে গেছে। আবার বশিকপুর করমদিন পাটওয়ারি বাড়ি থেকে ডোমবাড়ির সংযোগ সড়কটি পানিতে ডুবে গেছে। এখনও সেখানে হাঁটুপানি জমে আছে। এলাকাবাসী পানির কারণে ঘর থেকে বের হওয়া কষ্টকর। গত ১৫ বছরে রাস্তাটি সড়ক বিভাগের তালিকাভুক্ত করা হলেও বারবার আশ্বাসের পরও রাস্তাটি পাকা করা হয়নি। এখন কাদামাটি ও পানিতে এলাকা সয়লাব। এমনকি পাশের কবরস্থানটি ডুবে যাওয়ায় কেউ মারা গেলেও দাফন করার মতো শুকনো জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন। ফলে ওই এলাকায় বসবাসকারী শতাধিক বাড়ির মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ছাত্র-ছাত্রীর স্কুল-কলেজে যাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে।