হাসিনার বিরুদ্ধে সারাদেশে ১৭৬টি মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও ৩টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দায়ের করা এসব মামলার মধ্যে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১টি,ভাসানটেক থানায় ১টি ও বগুডায় ১টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলার আসামির তালিকায় শেখ হাসিনা ছাড়াও সাংবাদিক,সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা রয়েছেন।
ছাত্রজনতার আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট শেষ হাসিনা সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গত ১৩ আগস্ট প্রথম রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা হয়। এরপর গতকাল পর্যন্ত সারাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৭৬টি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি গণহত্যা ও একটি অপহরণ এবং তিনটি হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হাসিনার সঙ্গে ২৫ সাংবাদিক আসামি
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর মিরপুরে মো. ফজলু হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, যেখানে ২৫ জন সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে। নিহতের বড় ভাই মো. সবুজ গত বুধবার রাজধানীর ভাসানটেক থানায় এ মামলা দায়ের করেন বলে ওসি ফয়সাল আহমেদ জানান। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ অগাস্ট সরকারপতনের দিন ভাসানটেকের দিগন্ত ফিলিং স্টেশনের সামনে ছাত্রজনতার বিজয় মিছিলে গুলি চালানো হলে ৩১ বছর বয়সী ফজলু নিহত হন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জুনায়েদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহাবুব আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাসিম, মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ ১৬৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ, বিপ্লব কুমার সরকারকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
আসামির তালিকায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং তার ছেলে, গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের নামও রয়েছে। সাংবাদিকদের মধ্যে নঈম নিজাম, মনজুরুল আহসান বুলবুল, শ্যামল দত্ত, ফরিদা ইয়াসমিন, ওমর ফারুক, মনজুরুল বারী নয়ন, সোহেল হায়দার চৌধুরী, কুদ্দুস আফ্রাদ, অরুন কুমার দে, জিহাদুর রহমান জিহাদ, আব্দুল মজিদ, সাজ্জাদ আলম খান তপু, সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ, হায়দার আলী, আলমগীর হোসেন, মাইনুল আলম, জায়েদুল আহসান পিন্টু, কবির আহমেদ খান, নুরুল ইসলাম হাসিব, শাহনাজ শারমিনের নাম রয়েছে আসামির তালিকায়।
এজাহারে বলা হয়, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার ভাইকে ঘটনাস্থলের পাশে মার্কস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান। পরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে তাকে দাফন করা হয়।
ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা
প্রায় এক যুগ আগে ঢাকার সাভার উপজেলায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম সাইফুল ইসলামের আদালতে নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সাভার মডেল থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামিরা হলেন-তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, ভোলা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, তৎকালীন আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, ঢাকা রেঞ্জের তৎকালীন ডিআইজি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, তৎকালীন পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান ও সাভার মডেল থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান।
বগুড়ায় মামলা
বগুড়ায় রিকশাচালক আব্দুল মান্নান নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবাদুল কাদেরসহ ১২২ জনের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে নিহতের ছেলে রানা হামিদ এ মামলা করেন। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বগুড়ায় এর আগে আরও পাঁচটি মামলা হয়। এরমধ্যে চারটি হত্যা ও অপর একটিতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট দুপুরে শহরের বড়গোলা ট্রাফিক মোড় এলাকায় ছাত্র-জনতার একদফা আন্দোলনের গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আব্দুল মান্নান। আসামিরা আব্দুল মান্নানকে গুলি করে হত্যা করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
হাসিনার বিরুদ্ধে সারাদেশে ১৭৬টি মামলা
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও ৩টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দায়ের করা এসব মামলার মধ্যে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১টি,ভাসানটেক থানায় ১টি ও বগুডায় ১টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলার আসামির তালিকায় শেখ হাসিনা ছাড়াও সাংবাদিক,সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা রয়েছেন।
ছাত্রজনতার আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট শেষ হাসিনা সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গত ১৩ আগস্ট প্রথম রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা হয়। এরপর গতকাল পর্যন্ত সারাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৭৬টি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি গণহত্যা ও একটি অপহরণ এবং তিনটি হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হাসিনার সঙ্গে ২৫ সাংবাদিক আসামি
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর মিরপুরে মো. ফজলু হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, যেখানে ২৫ জন সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে। নিহতের বড় ভাই মো. সবুজ গত বুধবার রাজধানীর ভাসানটেক থানায় এ মামলা দায়ের করেন বলে ওসি ফয়সাল আহমেদ জানান। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ অগাস্ট সরকারপতনের দিন ভাসানটেকের দিগন্ত ফিলিং স্টেশনের সামনে ছাত্রজনতার বিজয় মিছিলে গুলি চালানো হলে ৩১ বছর বয়সী ফজলু নিহত হন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জুনায়েদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহাবুব আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাসিম, মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ ১৬৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ, বিপ্লব কুমার সরকারকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
আসামির তালিকায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং তার ছেলে, গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের নামও রয়েছে। সাংবাদিকদের মধ্যে নঈম নিজাম, মনজুরুল আহসান বুলবুল, শ্যামল দত্ত, ফরিদা ইয়াসমিন, ওমর ফারুক, মনজুরুল বারী নয়ন, সোহেল হায়দার চৌধুরী, কুদ্দুস আফ্রাদ, অরুন কুমার দে, জিহাদুর রহমান জিহাদ, আব্দুল মজিদ, সাজ্জাদ আলম খান তপু, সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ, হায়দার আলী, আলমগীর হোসেন, মাইনুল আলম, জায়েদুল আহসান পিন্টু, কবির আহমেদ খান, নুরুল ইসলাম হাসিব, শাহনাজ শারমিনের নাম রয়েছে আসামির তালিকায়।
এজাহারে বলা হয়, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার ভাইকে ঘটনাস্থলের পাশে মার্কস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান। পরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে তাকে দাফন করা হয়।
ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা
প্রায় এক যুগ আগে ঢাকার সাভার উপজেলায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম সাইফুল ইসলামের আদালতে নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সাভার মডেল থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামিরা হলেন-তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, ভোলা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, তৎকালীন আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, ঢাকা রেঞ্জের তৎকালীন ডিআইজি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, তৎকালীন পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান ও সাভার মডেল থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান।
বগুড়ায় মামলা
বগুড়ায় রিকশাচালক আব্দুল মান্নান নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবাদুল কাদেরসহ ১২২ জনের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে নিহতের ছেলে রানা হামিদ এ মামলা করেন। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বগুড়ায় এর আগে আরও পাঁচটি মামলা হয়। এরমধ্যে চারটি হত্যা ও অপর একটিতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট দুপুরে শহরের বড়গোলা ট্রাফিক মোড় এলাকায় ছাত্র-জনতার একদফা আন্দোলনের গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আব্দুল মান্নান। আসামিরা আব্দুল মান্নানকে গুলি করে হত্যা করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।