সাবেক রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হকের বিছানায় টাকার বান্ডিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে- ছবিটি তার এক সন্তানের জন্ম দিনে তোলা। তবে ভাইরাল ওই ছবিটি কবেকার তা জানা যায়নি। তবে ছবিটি মুজিবুল হকের রাজধানীর বাসায় বলে তার ঘনিষ্ঠজনেরা নিশ্চিত করেছেন। তিনি কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসন থেকে ৫ বারের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন।
ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে দেখা যায়, মুজিবুল হকের স্ত্রী অ্যাড. হনুফা আক্তার রিক্তা পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। খাটের ওপর বিছানায় বসে আছে মুজিবুল হকের তিন শিশু সন্তান। সন্তানদের সামনে ৫শ’ এবং ১ হাজার টাকা নোটের অসংখ্য বান্ডিল পড়ে আছে বিছানায়। মুজিবুল হক তার এক সন্তানকে কোলে নিচ্ছিলেন। এক শিশু একটি শপিং ব্যাগে থাকা টাকার বান্ডিল নিয়ে খেলা করছে।
মুজিবুল হকের ঘনিষ্ঠরা বলেন, ছবিটি মুজিবুল হকের ঢাকার বাসার। তার ছেলের সন্তানের জন্মদিনের ছবি এটি। তবে ছবিটির নির্ধারিত তারিখ নিশ্চিত করা যায়নি। সন্তানের জন্মদিন উৎসবকে আরও আনন্দিত করতে বান্ডিলে টাকা ছড়িয়ে দেন সন্তানদের সামনে। কেউ কেউ বলছেন- এসব টাকার বান্ডেল উপহার হিসেবেও পেতে পারেন। এ সময় মুজিবুল হকের খুব কাছের কেউ সেই ছবিটি তুলেছেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
মুজিবুল হক ৬৭ বছর বয়সে দীর্ঘ কুমার জীবনের ইতি টেনে ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর জেলার চান্দিনার উপজেলার মিরাখলা গ্রামের হনুফা আক্তার রিক্তাকে বিয়ে করেন। তিনি ২০১৬ সালের মে মাসে ৬৯ বছর বয়সে প্রথম কন্যা সন্তানের বাবা হন। ২০১৮ সালের ১৫ মে তার জমজ সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে তিনি তিন শিশুর জনক।
মুজিবুল হক কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসন থেকে ১৯৯৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। চলতি বছরের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত তিনি ৫ বার নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ ছিলেন। ২০১৪ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সরকারের রেলপথমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে তিনি নিজেকে কৃষকের ছেলে বলে গর্ববোধ করতেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর স্বপরিবারে আত্মগোপনে চলে যান সাবেক রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক। তিনি দেশেই আছেন না-কি দেশ ত্যাগ করেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে ঢাকা ও কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি ও হত্যার ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে। তার স্ত্রী হনুফা আক্তার রিক্তাও কুমিল্লার কোতয়ালী থানায় দায়ের করা একটি মামলার আসামি।
এ বিষয়ে মুজিবুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সাবেক রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হকের বিছানায় টাকার বান্ডিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে- ছবিটি তার এক সন্তানের জন্ম দিনে তোলা। তবে ভাইরাল ওই ছবিটি কবেকার তা জানা যায়নি। তবে ছবিটি মুজিবুল হকের রাজধানীর বাসায় বলে তার ঘনিষ্ঠজনেরা নিশ্চিত করেছেন। তিনি কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসন থেকে ৫ বারের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন।
ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে দেখা যায়, মুজিবুল হকের স্ত্রী অ্যাড. হনুফা আক্তার রিক্তা পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। খাটের ওপর বিছানায় বসে আছে মুজিবুল হকের তিন শিশু সন্তান। সন্তানদের সামনে ৫শ’ এবং ১ হাজার টাকা নোটের অসংখ্য বান্ডিল পড়ে আছে বিছানায়। মুজিবুল হক তার এক সন্তানকে কোলে নিচ্ছিলেন। এক শিশু একটি শপিং ব্যাগে থাকা টাকার বান্ডিল নিয়ে খেলা করছে।
মুজিবুল হকের ঘনিষ্ঠরা বলেন, ছবিটি মুজিবুল হকের ঢাকার বাসার। তার ছেলের সন্তানের জন্মদিনের ছবি এটি। তবে ছবিটির নির্ধারিত তারিখ নিশ্চিত করা যায়নি। সন্তানের জন্মদিন উৎসবকে আরও আনন্দিত করতে বান্ডিলে টাকা ছড়িয়ে দেন সন্তানদের সামনে। কেউ কেউ বলছেন- এসব টাকার বান্ডেল উপহার হিসেবেও পেতে পারেন। এ সময় মুজিবুল হকের খুব কাছের কেউ সেই ছবিটি তুলেছেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
মুজিবুল হক ৬৭ বছর বয়সে দীর্ঘ কুমার জীবনের ইতি টেনে ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর জেলার চান্দিনার উপজেলার মিরাখলা গ্রামের হনুফা আক্তার রিক্তাকে বিয়ে করেন। তিনি ২০১৬ সালের মে মাসে ৬৯ বছর বয়সে প্রথম কন্যা সন্তানের বাবা হন। ২০১৮ সালের ১৫ মে তার জমজ সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে তিনি তিন শিশুর জনক।
মুজিবুল হক কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসন থেকে ১৯৯৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। চলতি বছরের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত তিনি ৫ বার নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ ছিলেন। ২০১৪ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সরকারের রেলপথমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে তিনি নিজেকে কৃষকের ছেলে বলে গর্ববোধ করতেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর স্বপরিবারে আত্মগোপনে চলে যান সাবেক রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক। তিনি দেশেই আছেন না-কি দেশ ত্যাগ করেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে ঢাকা ও কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি ও হত্যার ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে। তার স্ত্রী হনুফা আক্তার রিক্তাও কুমিল্লার কোতয়ালী থানায় দায়ের করা একটি মামলার আসামি।
এ বিষয়ে মুজিবুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।