৬ দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩ নং ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়েছে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে এ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়। ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও এ ইউনিট থেকে দৈনিক উৎপাদিত হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ নং ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়। ওই ইউনিটটি ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও সেটি থেকে প্রতিদিন ৬০-৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। বর্তমানে গড়ে দুটি ইউনিট থেকে ২৮৫-২৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। এতে দেশের উত্তরাঞ্চলের লোডশেডিং অনেকাংশে কমে আসবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ৩য় ইউনিটে অয়েল পাম্প নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে গত ৯ সেপ্টেম্বর বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে উৎপাদনে থাকা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি। ১ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে ৬০-৬৫ মেগাওয়াট। ১ নম্বর ইউনিটটি চালু রাখতে প্রতিদিন ৮০০ থেকে হাজার ৯০০ মেট্রিক টন কয়লা দরকার হচ্ছে। আর ৩ নং ইউনিট চালু রাখার জন্য প্রতিদিন দুই হাজার ২শ’ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন। ফলে একই সঙ্গে কেন্দ্রের দুইটি ইউনিট উৎপাদনে থাকায় পার্বতীপুর উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘœ কিংবা লোডশেডিংয়ের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে আসবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কোল ইয়ার্ডে কয়লা মজুত রয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার মে. টন কয়লা। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে দৈনিক কয়লা সরবরাহ করা হয় প্রায় ৪ হাজার মে. টন। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সরবরাহকৃত কয়লার ওপর নির্ভর করে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ২ নম্বর ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে সংস্কার কাজ চলায় প্রায় ৪ বছর ধরে ২ নম্বর ইউনিটে উৎপাদন এখনও বন্ধ। ২ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও ৬৫-৭০ মেগাওয়াট উৎপাদন হতো। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার ২শ’ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন পড়ে। তবে, আজ পর্যন্ত তিনটি ইউনিট একই সঙ্গে কখনই চালানো সম্ভব হয়নি।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ২৭৫ মেগাওয়াটের তৃতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদিত ২০০-২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিড সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটও উৎপাদনে রয়েছে।
সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৬ দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩ নং ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়েছে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে এ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়। ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও এ ইউনিট থেকে দৈনিক উৎপাদিত হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ নং ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়। ওই ইউনিটটি ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও সেটি থেকে প্রতিদিন ৬০-৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। বর্তমানে গড়ে দুটি ইউনিট থেকে ২৮৫-২৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। এতে দেশের উত্তরাঞ্চলের লোডশেডিং অনেকাংশে কমে আসবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ৩য় ইউনিটে অয়েল পাম্প নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে গত ৯ সেপ্টেম্বর বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে উৎপাদনে থাকা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি। ১ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে ৬০-৬৫ মেগাওয়াট। ১ নম্বর ইউনিটটি চালু রাখতে প্রতিদিন ৮০০ থেকে হাজার ৯০০ মেট্রিক টন কয়লা দরকার হচ্ছে। আর ৩ নং ইউনিট চালু রাখার জন্য প্রতিদিন দুই হাজার ২শ’ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন। ফলে একই সঙ্গে কেন্দ্রের দুইটি ইউনিট উৎপাদনে থাকায় পার্বতীপুর উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘœ কিংবা লোডশেডিংয়ের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে আসবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কোল ইয়ার্ডে কয়লা মজুত রয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার মে. টন কয়লা। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে দৈনিক কয়লা সরবরাহ করা হয় প্রায় ৪ হাজার মে. টন। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সরবরাহকৃত কয়লার ওপর নির্ভর করে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ২ নম্বর ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে সংস্কার কাজ চলায় প্রায় ৪ বছর ধরে ২ নম্বর ইউনিটে উৎপাদন এখনও বন্ধ। ২ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও ৬৫-৭০ মেগাওয়াট উৎপাদন হতো। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার ২শ’ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন পড়ে। তবে, আজ পর্যন্ত তিনটি ইউনিট একই সঙ্গে কখনই চালানো সম্ভব হয়নি।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ২৭৫ মেগাওয়াটের তৃতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদিত ২০০-২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিড সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটও উৎপাদনে রয়েছে।