২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর চালু হওয়ার সময় থেকে সপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার এবং অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনেও বন্ধ থাকতো মেট্রোরেল। তবে আজ থেকে সেই নিয়মে পরিবর্তন হচ্ছে। এখন থেকে শুক্রবার এবং সরকারি ছুটির দিনেও ছুটবে মেট্রোরেল।
আর জুলাইয়ে আন্দোলনের সময় ভাঙচুরের কারনে যে কাজীপাড়া স্টেশন এতদিন বন্ধ ছিল, তাও আজ থেকে ফের চালু হচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে বিশেষ কোনও কারনে সরকারি ছুটির দিন মেট্রোরেল বন্ধ থাকলে তা ঘোষণা দিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে।
কোটা আন্দোলনের সময় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৮ জুলাই বিকালে বন্ধ হয়ে যায় মেট্রোরেল। পরদিন মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এক মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ২৫ আগস্ট মেট্রোরেল চালু করা হলেও এতদিন ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি চালু করা যায়নি। এবার দুটি স্টেশনের মধ্যে যাত্রী চলাচলের জন্য প্রথমে খুলে দেয়া হচ্ছে কাজীপাড়া স্টেশন।
ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া স্টেশন মেরামত করতে প্রাথমিকভাবে মাত্র ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ। তিনি জানান এই খরচের মধ্যে মধ্যে অবকাঠামোগত বিল্ডিং মেরামতেই ৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তিনি আরও জানান, যাত্রীদের ভোগান্তি দূর করতে অপেক্ষকৃত কম ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া স্টেশন চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। দ্রুত এই স্টেশনটি চালু করতে মিরপুর-১০ স্টেশন থেকে ও মেট্রোরেলের প্রদর্শনী কেন্দ্র থেকে যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। শুধু মানুষের কথা ভেবে দ্রুত কাজীপাড়া স্টেশন চালু করা হয়েছে হয়েছে জানিয়ে তিনি বচলেন, ‘এই স্টেশনে এখনো অনেক সরঞ্জাম লাগবে যা আস্তে আস্তে ঠিক করা হবে। তখন খরচ বাড়তে পারে।’
মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, ‘২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থেকে চালু হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন। ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশনও দ্রুত চালুর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। এবিষয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। সপ্তাখানেকের মধ্যে ওই টিম রিপোর্ট দিলে বলা যাবে মিরপুর-১০ স্টেশন কবে নাগাদ চালু করা সম্ভব হবে।’
যদিও আন্দোলন চলাকালীন সময় ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন কালে সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, স্টেশন দুটি চালু করতে ৩০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হবে এবং এক বছরেও চালু করা সম্ভব হবে না।
১৮ সেপ্টেম্বর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল বন্ধ থাকার কারণ হিসেবে মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, ‘বিজয় সরণি এবং ফার্মগেট স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে একটি পিয়ার এবং ভায়াডাক্টের মধ্যবর্তী স্থানের ইলাস্টোমেরিক বিয়ারিং প্যাড স্থানচ্যুত হয়ে যায়। বিষয়টি জানার সাথে সাথে দুর্ঘটনা এড়াতে সকাল ৯টা ৪০ মিনিট থেকে আগারগাঁও মতিঝিল অংশের ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। কারিগরি ত্রুটি সংস্কারের পর রাত ৮টা ২৫ মিনিট থেকে পুনরায় মেট্রো ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
কারিগরি ত্রুটির কারণ অনুসন্ধান এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৭ সদস্যবিশিষ্ট কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘কমিটি প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ ৫ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করবে।’
আবদুর রউফ আরও বলেন, ‘২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুক্রবারও ট্রেন চলাচল করবে। এদিন দুপুর সাড়ে তিনটা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল রুটে এবং দুপুর ৩টা ৫০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত মতিঝিল থেকে উত্তরা উত্তর রুটে ১২ মিনিট হেডওয়েতে (দুই ট্রেনের মধ্যবর্তী সময়) মেট্রো ট্রেন বাণিজ্যিকভাবে চলাচল করবে।’
অন্যান্য দিনের সূচি আগের মতোই থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সপ্তাহের অন্যান্য দিন আগের মতো উত্তরা থেকে ৭টা ১০ মিনিটে ছাড়বে এবং শেষ ট্রেনটি ৯ টায় ছাড়বে। সেখানে ১০-৮-১০ মিনিট পর পর ছাড়বে। আর মতিঝিল থেকে ৭টা ৩০ মিনিটে যাত্রা শুরু হবে এবং শেষ টেনটি ৯টা ৪০ মিনিটে ছাড়বে।’
গত ১৮ দিনে মেট্রোরেলে ৪৯ লাখ যাত্রী পরিবহন এবং ২০ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৫৫১ টাকা আয় হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর চালু হওয়ার সময় থেকে সপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার এবং অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনেও বন্ধ থাকতো মেট্রোরেল। তবে আজ থেকে সেই নিয়মে পরিবর্তন হচ্ছে। এখন থেকে শুক্রবার এবং সরকারি ছুটির দিনেও ছুটবে মেট্রোরেল।
আর জুলাইয়ে আন্দোলনের সময় ভাঙচুরের কারনে যে কাজীপাড়া স্টেশন এতদিন বন্ধ ছিল, তাও আজ থেকে ফের চালু হচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে বিশেষ কোনও কারনে সরকারি ছুটির দিন মেট্রোরেল বন্ধ থাকলে তা ঘোষণা দিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে।
কোটা আন্দোলনের সময় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৮ জুলাই বিকালে বন্ধ হয়ে যায় মেট্রোরেল। পরদিন মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এক মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ২৫ আগস্ট মেট্রোরেল চালু করা হলেও এতদিন ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি চালু করা যায়নি। এবার দুটি স্টেশনের মধ্যে যাত্রী চলাচলের জন্য প্রথমে খুলে দেয়া হচ্ছে কাজীপাড়া স্টেশন।
ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া স্টেশন মেরামত করতে প্রাথমিকভাবে মাত্র ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ। তিনি জানান এই খরচের মধ্যে মধ্যে অবকাঠামোগত বিল্ডিং মেরামতেই ৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তিনি আরও জানান, যাত্রীদের ভোগান্তি দূর করতে অপেক্ষকৃত কম ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া স্টেশন চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। দ্রুত এই স্টেশনটি চালু করতে মিরপুর-১০ স্টেশন থেকে ও মেট্রোরেলের প্রদর্শনী কেন্দ্র থেকে যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। শুধু মানুষের কথা ভেবে দ্রুত কাজীপাড়া স্টেশন চালু করা হয়েছে হয়েছে জানিয়ে তিনি বচলেন, ‘এই স্টেশনে এখনো অনেক সরঞ্জাম লাগবে যা আস্তে আস্তে ঠিক করা হবে। তখন খরচ বাড়তে পারে।’
মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, ‘২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থেকে চালু হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন। ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশনও দ্রুত চালুর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। এবিষয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। সপ্তাখানেকের মধ্যে ওই টিম রিপোর্ট দিলে বলা যাবে মিরপুর-১০ স্টেশন কবে নাগাদ চালু করা সম্ভব হবে।’
যদিও আন্দোলন চলাকালীন সময় ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন কালে সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, স্টেশন দুটি চালু করতে ৩০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হবে এবং এক বছরেও চালু করা সম্ভব হবে না।
১৮ সেপ্টেম্বর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল বন্ধ থাকার কারণ হিসেবে মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, ‘বিজয় সরণি এবং ফার্মগেট স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে একটি পিয়ার এবং ভায়াডাক্টের মধ্যবর্তী স্থানের ইলাস্টোমেরিক বিয়ারিং প্যাড স্থানচ্যুত হয়ে যায়। বিষয়টি জানার সাথে সাথে দুর্ঘটনা এড়াতে সকাল ৯টা ৪০ মিনিট থেকে আগারগাঁও মতিঝিল অংশের ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। কারিগরি ত্রুটি সংস্কারের পর রাত ৮টা ২৫ মিনিট থেকে পুনরায় মেট্রো ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
কারিগরি ত্রুটির কারণ অনুসন্ধান এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৭ সদস্যবিশিষ্ট কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘কমিটি প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ ৫ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করবে।’
আবদুর রউফ আরও বলেন, ‘২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুক্রবারও ট্রেন চলাচল করবে। এদিন দুপুর সাড়ে তিনটা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল রুটে এবং দুপুর ৩টা ৫০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত মতিঝিল থেকে উত্তরা উত্তর রুটে ১২ মিনিট হেডওয়েতে (দুই ট্রেনের মধ্যবর্তী সময়) মেট্রো ট্রেন বাণিজ্যিকভাবে চলাচল করবে।’
অন্যান্য দিনের সূচি আগের মতোই থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সপ্তাহের অন্যান্য দিন আগের মতো উত্তরা থেকে ৭টা ১০ মিনিটে ছাড়বে এবং শেষ ট্রেনটি ৯ টায় ছাড়বে। সেখানে ১০-৮-১০ মিনিট পর পর ছাড়বে। আর মতিঝিল থেকে ৭টা ৩০ মিনিটে যাত্রা শুরু হবে এবং শেষ টেনটি ৯টা ৪০ মিনিটে ছাড়বে।’
গত ১৮ দিনে মেট্রোরেলে ৪৯ লাখ যাত্রী পরিবহন এবং ২০ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৫৫১ টাকা আয় হয়েছে বলে জানান তিনি।