alt

জাতীয়

প্রভাব খাটিয়ে পুলিশ সদস্য বেপরোয়া,অবশেষে গ্রেফতার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

# বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি

# আইজিপিকে সাহেব বলে সম্বোধন করত

পুলিশ সদস্য শোয়াইবুর রহমান। তার কর্মস্থল ছিল যশোর পুলিশ লাইন। কিন্তু সে যশোরে যেত না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এই সুবাধে সে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। ঢাকাতেই থাকত। ডিএমপি ভিত্তিক প্রভাব বিস্তার করত।

পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সিনিয়রদেরকে পর্যন্ত তিনি স্যার বলে সম্বোধন না করে সাহেব বলতেন! অনেককেই আবার পাত্তাও দিতেন না। তার দাপটে খোদ পুলিশ কর্মকর্তারা অতিষ্ঠ ছিল।

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এই দাপটশালী পুলিশ সদস্য পুলিশ বাহিনী নিয়ে নানা অপতৎপরতা শুরু করেন। পুলিশ লাইনসহ বিভিন্ন সেক্টরে আবারও বিশৃংখলা ও ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করেছে। এর জন্য চিহ্নিত দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তারা তাকেসহ কয়েকজনকে নানা ভাবে সহযোগিতা করতেন।

সম্প্রতি পুলিশ সদস্য শোয়াইবুর রহমানকে যশোর পুলিশ লাইন ও সজিব সরকারকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় দুই জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসছে নানা কাহিনী।

পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে বলা হয়েছে,পুলিশ সদস্য শোয়াইবুর রহমানের পোস্টিং ছিল যশোরে। সেখানে যোগদান করেনি। প্রভাব খাটিয়ে ঢাকায় অবস্থান করত। পুলিশ থিয়েটার ক্লাবে নাটকের সদস্য ছিল। সে শেখ কামালের ভূমিকায় অভিনয় করত। শেখ কামালের আদলে মুখে দাঁড়ি গোপ রাখত। মোটর সাইকেল চালিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠে। পুলিশ কর্মকর্তাদের নানা ভাবে হুমকিও দিতেন।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর (৫ আগস্ট) খোদ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বিশৃংখলার ও উস্কানী দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে এই চক্র। রাজনৈতিক বিবেচনায় পুলিশ সদস্যদেরকে সংগঠিত করে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছেন। এমনকি অনেক পুলিশ অফিসারকে টেলিফোন করে নানা ভাবে হুমকিও দিয়েছেন। তার সঙ্গে আরো অনেক দলবাজ পুলিশ সদস্যও রয়েছে।

পুলিশ সদস্য হয়েও খোদ রাজধানীতে বেপরোয়া জীবন যাপন করত। পুলিশের সাবেক অনেক কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয়ে নানা অপকর্ম করে বিলাসী জীবন যাপন করত।

শাহজাহানপুর থানার ওসি জানান, পুলিশ সদস্য শোয়াইবুর রহমান ও সজিব সরকারকে আদালত থেকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এরপর মামলাটি সাইবার টিম দেখছেন।

শহজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ খায়রুল ইসলাম আদালতে পাঠানো প্রতিবেদনে বলেছেন, গ্রেফতারকৃত আসামির ফেসবুক আইডি এবং লিংক বিশ্লেষন করে এর তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে তার নাম ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়।

আসামি উক্ত ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে এবং অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের সহযোগীতায় বিভিন্ন শ্রেনী ও সম্প্রদায়ের মধ্যেশত্রুতা ও ঘৃনা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টসহ জনসাধারনের সেবা বাধাগ্রস্থ এবং বিনষ্ঠ করার জন্য উস্কানী মূলক বার্তা পোস্ট করত। যা জনশৃুংখলা পরিপন্থী কোন কাজে বা কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সুবিধার্থে ব্যবহার হতে পারে।

তারা অপকর্মে কারা কারা জড়িত তাদেরকে খুজে বের করা,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ধরনের বিষয় ছড়িয়ের দেয়ার পিছনের মাস্টার মাইন্ড কে বা কারা আছে। পুলিশ বাহিনীতে অরাজকতা বা বিশৃংখলা সৃষ্টির করার কান উদঘাটন ও অর্থদাতাদের খুঁজে বের করা।

প্রাথমিক তদন্তে গ্রেফতারকৃতরা নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পুলিশ পেয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসহ সারাদেশে পুলিশ লাইনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় টাকার বিনিময়ে পুলিশকে বিদ্রোহী করে তোলার চেষ্টা করেছে পুলিশের ডিবি প্রধান হারুন,বিপ্লব ও সাবেক ডিএমপি কমিশনা। কারন পুলিশে বিদ্রোহ সৃষ্টি করতে পারলে যত টাকা লাগে সবই দিবে। এতে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিবি প্রধান হারুনুর রশিদ,সাবেক ডিএমপির জয়েণ্ট কমিশনার বিপ্লব কুমারসহ ১৫ থেকে ১৬জন দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তা টাকার বিনিময়ে পুলিশ লাইনসহ বিভিন্ন সেক্টরে বিশৃংখলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেই চেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছেন বর্তমান পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

দলবাজরা পুৃলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে এসপি থেকে ইন্সপেক্টর পর্যন্ত কর্মকর্তাদেরকে নানা ভাবে টেলিফোনে হুমকি দিয়েছেন। পুলিশ হেডকোয়াটার্স ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেই বিশৃংখলা পরিস্থিতি পর্যায়ক্রমে চেষ্টা করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনছেন। রিমান্ডে থাকা পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে আরও তথ্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছেন।

পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে পুলিশ বাহিনী এখন অনেকটা স্বাভাব্কি অবস্থায় ফিরেছে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট গুলো এখন কাজ করছেন। ঘটনায় জড়িত চিহ্নিতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। বিশৃংখলায় যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

ছবি

বৃষ্টিপাত কমার আভাস, সরানো হলো সতর্ক সংকেত

ছবি

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

প্রধান উপদেষ্টার উপহারের আম গেলো ত্রিপুরা

৯৮৪টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ উত্তীর্ণ, ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনে খসড়া অনুমোদন

৪৮তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা স্থগিতের তথ্য ভিত্তিহীন: পিএসসি

নির্মাণাধীন ভবনে সাবেক সচিব, বিচারক ও কর্মকর্তার ফ্ল্যাট, অনুসন্ধানে দুদক

দেশে আবার ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা যাতে তৈরি না হয়, সে বিষয়ে সবাই একমত: আলী রীয়াজ

সরকারি নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল

এস আলম ও পরিবারের সিঙ্গাপুরে ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ

অর্থ আত্মসাৎ স্বাস্থ্যের সাবেক পরিচালকসহ ২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় সড়কে প্রাণ গেল অন্তঃসত্ত্বার

ছবি

প্রতিবন্ধকতাকে উড়িয়ে এসএসসিতে অদম্য লিতুন জিরার চমক

ডেঙ্গু: চলতি বছরে আক্রান্ত প্রায় ১৪ হাজার, মোট মৃত্যু ৫৪ জনের

ছবি

বিএসএফ সীমান্তরক্ষী নয়, একটি খুনি বাহিনী: নাহিদ

ছবি

মোবাইল তুলতে গিয়ে ৪ চা শ্রমিকের মৃত্যু, বাগানে শোকের ছায়া

শাপলা-দোয়েল বাদ, যুক্ত হচ্ছে বেগুন, লাউ, লিচু

আইসিসিতে বিচার দাবি অ্যামনেস্টির

ছবি

নোয়াখালীতে টানা ভারী বর্ষণে পানিবন্দী ৬৩,৮৬০ পরিবার, আশ্রয়কেন্দ্রে ২৬৮ পরিবার, জনদুর্ভোগ চরমে

গণমাধ্যম সংস্কারে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ১২ নতুন সিদ্ধান্ত

আরপিও, নির্বাচন কর্মকর্তা, আইন সংশোধনসহ এক গুচ্ছ সুপারিশ নিয়ে ইসির বৈঠক

পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল বোর্ড

মার্কিন শুল্ক নিয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা আজ শেষ হচ্ছে, প্রথম দিনের আলোচনায় ‘বেশিরভাগ ইস্যুতে ঐকমত্য’

ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় সন্তুষ্ট বিএনপি

ছবি

১৫ বছর পর এসএসসি ও সমমানের ফলে ছন্দপতন, ১৯ লাখ পরীক্ষার্থীর ছয় লাখই ফেল

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার বিচার শুরু, দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি মামুন

ছবি

চীন ও কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

১৮ জুলাই গ্রাহকদের ১ জিবি ফ্রি ডেটা দিতে নির্দেশনা জারি করেছে বিটিআরসি

ছবি

শহীদ ও আহতদের জন্য আলাদা দুটি ফ্ল্যাট প্রকল্প একনেকে যাচ্ছে

ছবি

জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী ঐচ্ছিক প্রোটোকলসহ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন

ছবি

মাধ্যমিকে পাসের হার ৬৮.৪৫ শতাংশ

ছবি

রাষ্ট্র সংস্কারে অগ্রগতি, কিন্তু এখন মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য জরুরি: আলী রীয়াজ

ছবি

শাপলা-দোয়েল বাদ, নতুন তালিকায় ১১৫ প্রতীক

ছবি

বিগত তিন নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের এবার বাদ দেওয়ার চিন্তা

ছবি

জুলাই আহতদের জন্য ঢাকায় দেড় হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে সরকার

ছবি

শেখ হাসিনার কল রেকর্ড ‘ট্রেলারমাত্র’, উদ্ধার করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা: তাজুল ইসলাম

tab

জাতীয়

প্রভাব খাটিয়ে পুলিশ সদস্য বেপরোয়া,অবশেষে গ্রেফতার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

# বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি

# আইজিপিকে সাহেব বলে সম্বোধন করত

পুলিশ সদস্য শোয়াইবুর রহমান। তার কর্মস্থল ছিল যশোর পুলিশ লাইন। কিন্তু সে যশোরে যেত না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এই সুবাধে সে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। ঢাকাতেই থাকত। ডিএমপি ভিত্তিক প্রভাব বিস্তার করত।

পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সিনিয়রদেরকে পর্যন্ত তিনি স্যার বলে সম্বোধন না করে সাহেব বলতেন! অনেককেই আবার পাত্তাও দিতেন না। তার দাপটে খোদ পুলিশ কর্মকর্তারা অতিষ্ঠ ছিল।

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এই দাপটশালী পুলিশ সদস্য পুলিশ বাহিনী নিয়ে নানা অপতৎপরতা শুরু করেন। পুলিশ লাইনসহ বিভিন্ন সেক্টরে আবারও বিশৃংখলা ও ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করেছে। এর জন্য চিহ্নিত দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তারা তাকেসহ কয়েকজনকে নানা ভাবে সহযোগিতা করতেন।

সম্প্রতি পুলিশ সদস্য শোয়াইবুর রহমানকে যশোর পুলিশ লাইন ও সজিব সরকারকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় দুই জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসছে নানা কাহিনী।

পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে বলা হয়েছে,পুলিশ সদস্য শোয়াইবুর রহমানের পোস্টিং ছিল যশোরে। সেখানে যোগদান করেনি। প্রভাব খাটিয়ে ঢাকায় অবস্থান করত। পুলিশ থিয়েটার ক্লাবে নাটকের সদস্য ছিল। সে শেখ কামালের ভূমিকায় অভিনয় করত। শেখ কামালের আদলে মুখে দাঁড়ি গোপ রাখত। মোটর সাইকেল চালিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠে। পুলিশ কর্মকর্তাদের নানা ভাবে হুমকিও দিতেন।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর (৫ আগস্ট) খোদ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বিশৃংখলার ও উস্কানী দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে এই চক্র। রাজনৈতিক বিবেচনায় পুলিশ সদস্যদেরকে সংগঠিত করে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছেন। এমনকি অনেক পুলিশ অফিসারকে টেলিফোন করে নানা ভাবে হুমকিও দিয়েছেন। তার সঙ্গে আরো অনেক দলবাজ পুলিশ সদস্যও রয়েছে।

পুলিশ সদস্য হয়েও খোদ রাজধানীতে বেপরোয়া জীবন যাপন করত। পুলিশের সাবেক অনেক কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয়ে নানা অপকর্ম করে বিলাসী জীবন যাপন করত।

শাহজাহানপুর থানার ওসি জানান, পুলিশ সদস্য শোয়াইবুর রহমান ও সজিব সরকারকে আদালত থেকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এরপর মামলাটি সাইবার টিম দেখছেন।

শহজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ খায়রুল ইসলাম আদালতে পাঠানো প্রতিবেদনে বলেছেন, গ্রেফতারকৃত আসামির ফেসবুক আইডি এবং লিংক বিশ্লেষন করে এর তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে তার নাম ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়।

আসামি উক্ত ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে এবং অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের সহযোগীতায় বিভিন্ন শ্রেনী ও সম্প্রদায়ের মধ্যেশত্রুতা ও ঘৃনা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টসহ জনসাধারনের সেবা বাধাগ্রস্থ এবং বিনষ্ঠ করার জন্য উস্কানী মূলক বার্তা পোস্ট করত। যা জনশৃুংখলা পরিপন্থী কোন কাজে বা কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সুবিধার্থে ব্যবহার হতে পারে।

তারা অপকর্মে কারা কারা জড়িত তাদেরকে খুজে বের করা,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ধরনের বিষয় ছড়িয়ের দেয়ার পিছনের মাস্টার মাইন্ড কে বা কারা আছে। পুলিশ বাহিনীতে অরাজকতা বা বিশৃংখলা সৃষ্টির করার কান উদঘাটন ও অর্থদাতাদের খুঁজে বের করা।

প্রাথমিক তদন্তে গ্রেফতারকৃতরা নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পুলিশ পেয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসহ সারাদেশে পুলিশ লাইনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় টাকার বিনিময়ে পুলিশকে বিদ্রোহী করে তোলার চেষ্টা করেছে পুলিশের ডিবি প্রধান হারুন,বিপ্লব ও সাবেক ডিএমপি কমিশনা। কারন পুলিশে বিদ্রোহ সৃষ্টি করতে পারলে যত টাকা লাগে সবই দিবে। এতে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিবি প্রধান হারুনুর রশিদ,সাবেক ডিএমপির জয়েণ্ট কমিশনার বিপ্লব কুমারসহ ১৫ থেকে ১৬জন দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তা টাকার বিনিময়ে পুলিশ লাইনসহ বিভিন্ন সেক্টরে বিশৃংখলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেই চেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছেন বর্তমান পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

দলবাজরা পুৃলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে এসপি থেকে ইন্সপেক্টর পর্যন্ত কর্মকর্তাদেরকে নানা ভাবে টেলিফোনে হুমকি দিয়েছেন। পুলিশ হেডকোয়াটার্স ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেই বিশৃংখলা পরিস্থিতি পর্যায়ক্রমে চেষ্টা করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনছেন। রিমান্ডে থাকা পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে আরও তথ্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছেন।

পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে পুলিশ বাহিনী এখন অনেকটা স্বাভাব্কি অবস্থায় ফিরেছে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট গুলো এখন কাজ করছেন। ঘটনায় জড়িত চিহ্নিতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। বিশৃংখলায় যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

back to top