# বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি
# আইজিপিকে সাহেব বলে সম্বোধন করত
পুলিশ সদস্য শোয়াইবুর রহমান। তার কর্মস্থল ছিল যশোর পুলিশ লাইন। কিন্তু সে যশোরে যেত না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এই সুবাধে সে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। ঢাকাতেই থাকত। ডিএমপি ভিত্তিক প্রভাব বিস্তার করত।
পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সিনিয়রদেরকে পর্যন্ত তিনি স্যার বলে সম্বোধন না করে সাহেব বলতেন! অনেককেই আবার পাত্তাও দিতেন না। তার দাপটে খোদ পুলিশ কর্মকর্তারা অতিষ্ঠ ছিল।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এই দাপটশালী পুলিশ সদস্য পুলিশ বাহিনী নিয়ে নানা অপতৎপরতা শুরু করেন। পুলিশ লাইনসহ বিভিন্ন সেক্টরে আবারও বিশৃংখলা ও ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করেছে। এর জন্য চিহ্নিত দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তারা তাকেসহ কয়েকজনকে নানা ভাবে সহযোগিতা করতেন।
সম্প্রতি পুলিশ সদস্য শোয়াইবুর রহমানকে যশোর পুলিশ লাইন ও সজিব সরকারকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় দুই জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসছে নানা কাহিনী।
পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে বলা হয়েছে,পুলিশ সদস্য শোয়াইবুর রহমানের পোস্টিং ছিল যশোরে। সেখানে যোগদান করেনি। প্রভাব খাটিয়ে ঢাকায় অবস্থান করত। পুলিশ থিয়েটার ক্লাবে নাটকের সদস্য ছিল। সে শেখ কামালের ভূমিকায় অভিনয় করত। শেখ কামালের আদলে মুখে দাঁড়ি গোপ রাখত। মোটর সাইকেল চালিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠে। পুলিশ কর্মকর্তাদের নানা ভাবে হুমকিও দিতেন।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর (৫ আগস্ট) খোদ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বিশৃংখলার ও উস্কানী দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে এই চক্র। রাজনৈতিক বিবেচনায় পুলিশ সদস্যদেরকে সংগঠিত করে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছেন। এমনকি অনেক পুলিশ অফিসারকে টেলিফোন করে নানা ভাবে হুমকিও দিয়েছেন। তার সঙ্গে আরো অনেক দলবাজ পুলিশ সদস্যও রয়েছে।
পুলিশ সদস্য হয়েও খোদ রাজধানীতে বেপরোয়া জীবন যাপন করত। পুলিশের সাবেক অনেক কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয়ে নানা অপকর্ম করে বিলাসী জীবন যাপন করত।
শাহজাহানপুর থানার ওসি জানান, পুলিশ সদস্য শোয়াইবুর রহমান ও সজিব সরকারকে আদালত থেকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এরপর মামলাটি সাইবার টিম দেখছেন।
শহজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ খায়রুল ইসলাম আদালতে পাঠানো প্রতিবেদনে বলেছেন, গ্রেফতারকৃত আসামির ফেসবুক আইডি এবং লিংক বিশ্লেষন করে এর তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে তার নাম ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়।
আসামি উক্ত ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে এবং অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের সহযোগীতায় বিভিন্ন শ্রেনী ও সম্প্রদায়ের মধ্যেশত্রুতা ও ঘৃনা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টসহ জনসাধারনের সেবা বাধাগ্রস্থ এবং বিনষ্ঠ করার জন্য উস্কানী মূলক বার্তা পোস্ট করত। যা জনশৃুংখলা পরিপন্থী কোন কাজে বা কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সুবিধার্থে ব্যবহার হতে পারে।
তারা অপকর্মে কারা কারা জড়িত তাদেরকে খুজে বের করা,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ধরনের বিষয় ছড়িয়ের দেয়ার পিছনের মাস্টার মাইন্ড কে বা কারা আছে। পুলিশ বাহিনীতে অরাজকতা বা বিশৃংখলা সৃষ্টির করার কান উদঘাটন ও অর্থদাতাদের খুঁজে বের করা।
প্রাথমিক তদন্তে গ্রেফতারকৃতরা নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পুলিশ পেয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসহ সারাদেশে পুলিশ লাইনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় টাকার বিনিময়ে পুলিশকে বিদ্রোহী করে তোলার চেষ্টা করেছে পুলিশের ডিবি প্রধান হারুন,বিপ্লব ও সাবেক ডিএমপি কমিশনা। কারন পুলিশে বিদ্রোহ সৃষ্টি করতে পারলে যত টাকা লাগে সবই দিবে। এতে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিবি প্রধান হারুনুর রশিদ,সাবেক ডিএমপির জয়েণ্ট কমিশনার বিপ্লব কুমারসহ ১৫ থেকে ১৬জন দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তা টাকার বিনিময়ে পুলিশ লাইনসহ বিভিন্ন সেক্টরে বিশৃংখলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেই চেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছেন বর্তমান পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দলবাজরা পুৃলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে এসপি থেকে ইন্সপেক্টর পর্যন্ত কর্মকর্তাদেরকে নানা ভাবে টেলিফোনে হুমকি দিয়েছেন। পুলিশ হেডকোয়াটার্স ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেই বিশৃংখলা পরিস্থিতি পর্যায়ক্রমে চেষ্টা করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনছেন। রিমান্ডে থাকা পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে আরও তথ্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছেন।
পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে পুলিশ বাহিনী এখন অনেকটা স্বাভাব্কি অবস্থায় ফিরেছে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট গুলো এখন কাজ করছেন। ঘটনায় জড়িত চিহ্নিতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। বিশৃংখলায় যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
# বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি
# আইজিপিকে সাহেব বলে সম্বোধন করত
পুলিশ সদস্য শোয়াইবুর রহমান। তার কর্মস্থল ছিল যশোর পুলিশ লাইন। কিন্তু সে যশোরে যেত না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এই সুবাধে সে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। ঢাকাতেই থাকত। ডিএমপি ভিত্তিক প্রভাব বিস্তার করত।
পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সিনিয়রদেরকে পর্যন্ত তিনি স্যার বলে সম্বোধন না করে সাহেব বলতেন! অনেককেই আবার পাত্তাও দিতেন না। তার দাপটে খোদ পুলিশ কর্মকর্তারা অতিষ্ঠ ছিল।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এই দাপটশালী পুলিশ সদস্য পুলিশ বাহিনী নিয়ে নানা অপতৎপরতা শুরু করেন। পুলিশ লাইনসহ বিভিন্ন সেক্টরে আবারও বিশৃংখলা ও ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করেছে। এর জন্য চিহ্নিত দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তারা তাকেসহ কয়েকজনকে নানা ভাবে সহযোগিতা করতেন।
সম্প্রতি পুলিশ সদস্য শোয়াইবুর রহমানকে যশোর পুলিশ লাইন ও সজিব সরকারকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় দুই জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসছে নানা কাহিনী।
পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে বলা হয়েছে,পুলিশ সদস্য শোয়াইবুর রহমানের পোস্টিং ছিল যশোরে। সেখানে যোগদান করেনি। প্রভাব খাটিয়ে ঢাকায় অবস্থান করত। পুলিশ থিয়েটার ক্লাবে নাটকের সদস্য ছিল। সে শেখ কামালের ভূমিকায় অভিনয় করত। শেখ কামালের আদলে মুখে দাঁড়ি গোপ রাখত। মোটর সাইকেল চালিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠে। পুলিশ কর্মকর্তাদের নানা ভাবে হুমকিও দিতেন।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর (৫ আগস্ট) খোদ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বিশৃংখলার ও উস্কানী দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে এই চক্র। রাজনৈতিক বিবেচনায় পুলিশ সদস্যদেরকে সংগঠিত করে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছেন। এমনকি অনেক পুলিশ অফিসারকে টেলিফোন করে নানা ভাবে হুমকিও দিয়েছেন। তার সঙ্গে আরো অনেক দলবাজ পুলিশ সদস্যও রয়েছে।
পুলিশ সদস্য হয়েও খোদ রাজধানীতে বেপরোয়া জীবন যাপন করত। পুলিশের সাবেক অনেক কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয়ে নানা অপকর্ম করে বিলাসী জীবন যাপন করত।
শাহজাহানপুর থানার ওসি জানান, পুলিশ সদস্য শোয়াইবুর রহমান ও সজিব সরকারকে আদালত থেকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এরপর মামলাটি সাইবার টিম দেখছেন।
শহজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ খায়রুল ইসলাম আদালতে পাঠানো প্রতিবেদনে বলেছেন, গ্রেফতারকৃত আসামির ফেসবুক আইডি এবং লিংক বিশ্লেষন করে এর তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে তার নাম ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়।
আসামি উক্ত ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে এবং অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের সহযোগীতায় বিভিন্ন শ্রেনী ও সম্প্রদায়ের মধ্যেশত্রুতা ও ঘৃনা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টসহ জনসাধারনের সেবা বাধাগ্রস্থ এবং বিনষ্ঠ করার জন্য উস্কানী মূলক বার্তা পোস্ট করত। যা জনশৃুংখলা পরিপন্থী কোন কাজে বা কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সুবিধার্থে ব্যবহার হতে পারে।
তারা অপকর্মে কারা কারা জড়িত তাদেরকে খুজে বের করা,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ধরনের বিষয় ছড়িয়ের দেয়ার পিছনের মাস্টার মাইন্ড কে বা কারা আছে। পুলিশ বাহিনীতে অরাজকতা বা বিশৃংখলা সৃষ্টির করার কান উদঘাটন ও অর্থদাতাদের খুঁজে বের করা।
প্রাথমিক তদন্তে গ্রেফতারকৃতরা নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পুলিশ পেয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসহ সারাদেশে পুলিশ লাইনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় টাকার বিনিময়ে পুলিশকে বিদ্রোহী করে তোলার চেষ্টা করেছে পুলিশের ডিবি প্রধান হারুন,বিপ্লব ও সাবেক ডিএমপি কমিশনা। কারন পুলিশে বিদ্রোহ সৃষ্টি করতে পারলে যত টাকা লাগে সবই দিবে। এতে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিবি প্রধান হারুনুর রশিদ,সাবেক ডিএমপির জয়েণ্ট কমিশনার বিপ্লব কুমারসহ ১৫ থেকে ১৬জন দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তা টাকার বিনিময়ে পুলিশ লাইনসহ বিভিন্ন সেক্টরে বিশৃংখলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেই চেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছেন বর্তমান পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দলবাজরা পুৃলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে এসপি থেকে ইন্সপেক্টর পর্যন্ত কর্মকর্তাদেরকে নানা ভাবে টেলিফোনে হুমকি দিয়েছেন। পুলিশ হেডকোয়াটার্স ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেই বিশৃংখলা পরিস্থিতি পর্যায়ক্রমে চেষ্টা করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনছেন। রিমান্ডে থাকা পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে আরও তথ্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছেন।
পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে পুলিশ বাহিনী এখন অনেকটা স্বাভাব্কি অবস্থায় ফিরেছে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট গুলো এখন কাজ করছেন। ঘটনায় জড়িত চিহ্নিতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। বিশৃংখলায় যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।