alt

জাতীয়

গণপিটুনিতে অভিযুক্তদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জাতীয় নাগরিক কমিটির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। তারা এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় নাগরিক কমিটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

সংবাদপত্রের বরাত দিয়ে নাগরিক কমিটি বলেছে, হত্যাকাণ্ডের সময় দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নীরব ও নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতেই পুরোনো ফ্যাসিবাদী কায়দায় নির্যাতন করে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর ও পরে থানায় পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে। দুটি ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না। গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনের অকার্যকর ও নিষ্ক্রিয় ভূমিকার জবাবদিহি চায় নাগরিক কমিটি। তা না হলে অচিরেই গণ-অভ্যুত্থানের শক্তি দেশের আপামর জনতার স্বার্থকে সুরক্ষিত করতে রাজপথে সক্রিয় কর্মসূচি পালন করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি মনে করে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও মব-ভায়োলেন্সের মতো সব ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা ও উপাদানের শিগগিরই বিলোপ করতে হবে এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সূচনা করতে হবে। আমরা মনে করি, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং সকল অপরাধের বিচারের দায়িত্ব আদালতের। যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে, তারা অপরাধ করছে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে বলে আমরা মনে করি।’

দেশজুড়ে মব-লিঞ্চিং, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মাজার ও মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর জনমনে আতঙ্ক তৈরি করছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জানান দিচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। জাতীয় নাগরিক কমিটির ভাষ্য, ৫ আগস্টের পরও এমন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে, ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতন হলেও ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও ব্যবস্থা এখনো বহাল তবিয়তে আছে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা এবং বিভিন্ন হামলার পরও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে এ ধরনের দলবদ্ধ হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।

ছবি

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি

আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা অব্যাহত: নাহিদ ইসলাম

ছবি

আন্দোলনে আহতদের অনুদান প্রদান: ১৭৬ জনকে এক কোটি ৭১ লাখ টাকা

ছবি

ময়মনসিংহে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১

ছবি

বিপিএলের ১১তম আসরের পরিকল্পনায় ইউনুসের হাত, ‘নতুনত্ব ও জনসম্পৃক্ততা’ বাড়ানোর উদ্যোগ

ছবি

আরও ৪ মৃত্যু নিয়ে ডেঙ্গুতে ১৩ দিনে ‘অর্ধশত’ পার

ছবি

হজের প্রাথমিক নিবন্ধনের শেষ তারিখ ২৩ অক্টোবর

ছবি

চাকরিতে প্রবেশের বয়স : ৩ দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপনে আল্টিমেটাম

ছবি

দেশ এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

ছবি

আদালত শেখ হাসিনাকে হাজিরের নির্দেশ দিলে যথাযথ ব্যবস্থা নেব : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

চট্টগ্রামে চীনা নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ

ছবি

প্রতিমা বিসর্জন আজ

ছবি

ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক: একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ ৯

ছবি

রান্নার গ্যাসের দাম সরকার নির্ধারণ করে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবি

ছবি

ছিনতাই-চাঁদাবাজি প্রতিরোধে শুরু হচ্ছে সাঁড়াশি অভিযান: আইজিপি

ছবি

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছেন ড. ইউনূস

ছবি

কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারবে না: জি এম কাদের

ছবি

মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা বন্ধ

ছবি

অভিনেতা জামাল উদ্দিন মারা গেছেন

ছবি

আদানির বিদ্যুৎ: দোটানার মধ্যে অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের, রয়টার্সের প্রতিবেদন

ছবি

বৈশিক ক্ষুধা সূচকে ৩ ধাপ পেছাল বাংলাদেশ

ছবি

সাত অঞ্চলেরে ওপর দিয়ে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

ছবি

সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানো গেলে ৪০ শতাংশ খরচ কম পড়বে : ধর্ম উপদেষ্টা

ছবি

দুর্গোৎসবে আজ মহানবমী

ধর্মীয় সংঘাতের রাজনৈতিক ফায়দা নিতে দেব না : নাহিদ

ছবি

হু হু করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

ছবি

তাঁতিবাজারের পূজা মণ্ডপে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, ছুরিকাঘাতে আহত ৪

ছবি

ডিমের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারসাজি : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ছবি

দীপ্ত টিভির কর্মকর্তা হত্যায় এক ‘বিএনপি নেতার দায় দেখছে’ পুলিশ, ওসি প্রত্যাহার

ছবি

পূজা উদযাপন কমিটির নেতার অনুরোধেই মণ্ডপে যান শিল্পীরা : পুলিশ

ছবি

বাংলাদেশি জেলে হত্যা: মিয়ানমারের কাছে বাংলাদেশের তীব্র প্রতিবাদ

ছবি

মায়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, গুলিবিদ্ধ ২

ছবি

পুরনো মামলাগুলোর তদন্ত পুণরায় শুরু হয়েছে: আইজিপি

ছবি

প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে ‘সংরক্ষিত পুরাকীর্তি’ ঘোষণার উদ্যোগ

ছবি

পূজায় দশমী পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

ডেঙ্গুতে এবছর ১৯৯ জনের মৃত্যু

tab

জাতীয়

গণপিটুনিতে অভিযুক্তদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জাতীয় নাগরিক কমিটির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। তারা এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় নাগরিক কমিটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

সংবাদপত্রের বরাত দিয়ে নাগরিক কমিটি বলেছে, হত্যাকাণ্ডের সময় দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নীরব ও নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতেই পুরোনো ফ্যাসিবাদী কায়দায় নির্যাতন করে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর ও পরে থানায় পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে। দুটি ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না। গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনের অকার্যকর ও নিষ্ক্রিয় ভূমিকার জবাবদিহি চায় নাগরিক কমিটি। তা না হলে অচিরেই গণ-অভ্যুত্থানের শক্তি দেশের আপামর জনতার স্বার্থকে সুরক্ষিত করতে রাজপথে সক্রিয় কর্মসূচি পালন করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি মনে করে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও মব-ভায়োলেন্সের মতো সব ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা ও উপাদানের শিগগিরই বিলোপ করতে হবে এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সূচনা করতে হবে। আমরা মনে করি, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং সকল অপরাধের বিচারের দায়িত্ব আদালতের। যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে, তারা অপরাধ করছে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে বলে আমরা মনে করি।’

দেশজুড়ে মব-লিঞ্চিং, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মাজার ও মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর জনমনে আতঙ্ক তৈরি করছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জানান দিচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। জাতীয় নাগরিক কমিটির ভাষ্য, ৫ আগস্টের পরও এমন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে, ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতন হলেও ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও ব্যবস্থা এখনো বহাল তবিয়তে আছে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা এবং বিভিন্ন হামলার পরও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে এ ধরনের দলবদ্ধ হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।

back to top