গণ-আন্দোলনে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হলেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, বিচারের লক্ষ্যে তদন্ত দল, আইনজীবীদের দল গঠন হয়ে গেছে। আদালত পুনর্গঠনের চিন্তা চলছে। অচিরেই বিচার শুরু হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন উপদেষ্টা।
প্রবল গণআন্দোলনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এখন পর্যন্ত সেখানেই আছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে শতাধিক মামলা হয়েছে। বিচারের জন্য তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কি না?
জবাবে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ভারতের এক্সট্রাডিশন ট্রিটি (প্রত্যর্পণ চুক্তি) আছে। এটি অনুযায়ী ভারতে যদি আমাদের কোনো কনভিক্টেড (দোষী) মানুষ থাকেন, উনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোন আর যাই হোন না কেন উনার এক্সট্রাডিশন বা প্রত্যর্পণ আমরা চাইতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ছাত্র-জনতার বিপ্লবকালে যে গণহত্যা ঘটেছে, যে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছে সেটা বিচারের লক্ষ্যে আমরা কিছু পদক্ষেপ ইতোমধ্যে নিয়েছি। দৃশ্যমান কিছু অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের ইনভেস্টিগেশন টিম, প্রসিকিউশন টিম গঠন হয়ে গেছে। আদালত পুনর্গঠনের চিন্তা চলছে। অচিরেই আপনারা দেখবেন বিচার শুরু হয়েছে। বিচার শুরু হওয়ার পর ডেফিনেটলি আমরা এক্সট্রাডিশন চাইব।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
গণহত্যাকারীদের সঙ্গে আলোচনা নয়
অপর এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত কমিশনগুলো সবার সঙ্গে আলোচনা করবে, মতামত নেবে। লক্ষ্য থাকবে সকল ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করা। তবে ছাত্র জনতার আন্দোলনে যারা গণহত্যাকারী, যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে বিচারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, তাদের সঙ্গে কোন আলোচনা হবে না বলে জানান তিনি।
ক্ষমতাচ্যূত আওয়ামী লীগ সরকারকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘সুস্পষ্টভাবে ক্লিয়ার করতে চাই যারা গণহত্যাকারী ছিল, যারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে, প্রায় এক হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, আরও অনেক মানুষকে গুরুতর আহত করেছে, চক্ষুহীন করেছে, যারা বিচারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘তাদের (গণহত্যাকারীদের) বাদে সমাজের যত প্রতিনিধিত্বকারী শ্রেণী আছে, রাজনৈতিক দল আছে, সামাজিক, পেশাজীবী, ছাত্র সংগঠন, বিপ্লবী অভ্যুত্থানে যারা ছিলেন প্রত্যেকটা সেক্টরের সঙ্গে যতটা পারা যায় মতামত প্রতিফলিত করা হবে।’
মব জাস্টিস গ্রহণযোগ্য নয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই জন নিহতের ঘটনায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘এটা আমাদের মর্মাহত করেছে, এটা আমাদের খুবই কষ্ট দিয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা এড়ানোর জন্য আমরা যত রকমের পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন, তত রকম পদক্ষেপ নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে কোনোরকম মব জাস্টিস, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া, গণপিটুনি দেয়া, এগুলো কোনোভাবে গ্রহণ করা হবে না। বিচারবহির্ভূত কোনো হত্যাকা- একসেপ্ট করা হবে না। আমরা একটা জিনিস নিশ্চিত করছি, আমাদের সরকার আইনিভাবে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেবে। তদন্ত ও বিচার সাপেক্ষে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে সংস্কার কমিশন
রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে গঠিত ছয়টি কমিশন প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে শুরু করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কারের ছয়টি কমিশন সংস্কার সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কারে প্রাধান্য দেবে এসব কমিশন।
আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসন এবং সংবিধান সংস্কারে যে ছয়টি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে, তারা অক্টোবরের মধ্যে কাজ শুরু করবে। কাজ শেষে তারা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে আশা করছে সরকার।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাম-লী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংস্কারের ধারণা নিয়ে আলোচনা শুরু করবে। তারপর এ নিয়ে পরামর্শমূলক মতবিনিময় করা হবে; যেখানে সমাজের সব পর্যায়ের মানুষের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রধানদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই এসব সিদ্ধান্ত হয়। পরে সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন আইন উপদেষ্টা।
সংস্কার কমিশনের প্রধানদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বৃহস্পতিবারই প্রথম সভায় যোগ দেন। এই সভায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। বাকিরা সশরীর উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সরকারের পক্ষে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বদিউল আলম মজুমদার। পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে কাজ করবেন সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। আর সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে প্রথমে বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিকের নাম ঘোষণা করা হলেও পরে তার পরিবর্তে অধ্যাপক আলী রীয়াজকে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়।
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গণ-আন্দোলনে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হলেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, বিচারের লক্ষ্যে তদন্ত দল, আইনজীবীদের দল গঠন হয়ে গেছে। আদালত পুনর্গঠনের চিন্তা চলছে। অচিরেই বিচার শুরু হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন উপদেষ্টা।
প্রবল গণআন্দোলনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এখন পর্যন্ত সেখানেই আছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে শতাধিক মামলা হয়েছে। বিচারের জন্য তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কি না?
জবাবে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ভারতের এক্সট্রাডিশন ট্রিটি (প্রত্যর্পণ চুক্তি) আছে। এটি অনুযায়ী ভারতে যদি আমাদের কোনো কনভিক্টেড (দোষী) মানুষ থাকেন, উনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোন আর যাই হোন না কেন উনার এক্সট্রাডিশন বা প্রত্যর্পণ আমরা চাইতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ছাত্র-জনতার বিপ্লবকালে যে গণহত্যা ঘটেছে, যে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছে সেটা বিচারের লক্ষ্যে আমরা কিছু পদক্ষেপ ইতোমধ্যে নিয়েছি। দৃশ্যমান কিছু অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের ইনভেস্টিগেশন টিম, প্রসিকিউশন টিম গঠন হয়ে গেছে। আদালত পুনর্গঠনের চিন্তা চলছে। অচিরেই আপনারা দেখবেন বিচার শুরু হয়েছে। বিচার শুরু হওয়ার পর ডেফিনেটলি আমরা এক্সট্রাডিশন চাইব।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
গণহত্যাকারীদের সঙ্গে আলোচনা নয়
অপর এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত কমিশনগুলো সবার সঙ্গে আলোচনা করবে, মতামত নেবে। লক্ষ্য থাকবে সকল ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করা। তবে ছাত্র জনতার আন্দোলনে যারা গণহত্যাকারী, যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে বিচারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, তাদের সঙ্গে কোন আলোচনা হবে না বলে জানান তিনি।
ক্ষমতাচ্যূত আওয়ামী লীগ সরকারকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘সুস্পষ্টভাবে ক্লিয়ার করতে চাই যারা গণহত্যাকারী ছিল, যারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে, প্রায় এক হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, আরও অনেক মানুষকে গুরুতর আহত করেছে, চক্ষুহীন করেছে, যারা বিচারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘তাদের (গণহত্যাকারীদের) বাদে সমাজের যত প্রতিনিধিত্বকারী শ্রেণী আছে, রাজনৈতিক দল আছে, সামাজিক, পেশাজীবী, ছাত্র সংগঠন, বিপ্লবী অভ্যুত্থানে যারা ছিলেন প্রত্যেকটা সেক্টরের সঙ্গে যতটা পারা যায় মতামত প্রতিফলিত করা হবে।’
মব জাস্টিস গ্রহণযোগ্য নয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই জন নিহতের ঘটনায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘এটা আমাদের মর্মাহত করেছে, এটা আমাদের খুবই কষ্ট দিয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা এড়ানোর জন্য আমরা যত রকমের পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন, তত রকম পদক্ষেপ নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে কোনোরকম মব জাস্টিস, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া, গণপিটুনি দেয়া, এগুলো কোনোভাবে গ্রহণ করা হবে না। বিচারবহির্ভূত কোনো হত্যাকা- একসেপ্ট করা হবে না। আমরা একটা জিনিস নিশ্চিত করছি, আমাদের সরকার আইনিভাবে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেবে। তদন্ত ও বিচার সাপেক্ষে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে সংস্কার কমিশন
রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে গঠিত ছয়টি কমিশন প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে শুরু করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কারের ছয়টি কমিশন সংস্কার সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কারে প্রাধান্য দেবে এসব কমিশন।
আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসন এবং সংবিধান সংস্কারে যে ছয়টি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে, তারা অক্টোবরের মধ্যে কাজ শুরু করবে। কাজ শেষে তারা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে আশা করছে সরকার।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাম-লী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংস্কারের ধারণা নিয়ে আলোচনা শুরু করবে। তারপর এ নিয়ে পরামর্শমূলক মতবিনিময় করা হবে; যেখানে সমাজের সব পর্যায়ের মানুষের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রধানদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই এসব সিদ্ধান্ত হয়। পরে সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন আইন উপদেষ্টা।
সংস্কার কমিশনের প্রধানদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বৃহস্পতিবারই প্রথম সভায় যোগ দেন। এই সভায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। বাকিরা সশরীর উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সরকারের পক্ষে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বদিউল আলম মজুমদার। পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে কাজ করবেন সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। আর সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে প্রথমে বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিকের নাম ঘোষণা করা হলেও পরে তার পরিবর্তে অধ্যাপক আলী রীয়াজকে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়।