ডিমের দাম বেড়ে গেলে বাজার নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহখানেক আগে ভারত থেকে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক পিস ডিম আমদানি করে সরকার। তাতেও বাজার নিয়ন্ত্রণে না আসায় গত সপ্তাহে ডিমের ‘যৌক্তিক দাম’ ডজনে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় সরকারি সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। কিন্তু সরকারের বেঁধে দেয়া দামে পাওয়া যাচ্ছে না কম আয়ের মানুষদের ‘প্রোটিন’ হিসেবে অভিহিত মুরগির ডিম। তাই চড়া দামেই কিনতে হচ্ছে এই খাদ্য পণ্যটি। পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবজি ও ইলিশ মাছের দামও। আলু-পেঁয়াজ-চালসহ অন্যান্য পণ্য আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।
ভারতের ‘শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ভান্ডার’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ঐ ডিম কিনে আনে দেশের ‘হাইড্রো ল্যান্ড সলুশান’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তবে, খুচরা বাজারে আমদানিকৃত ভারতীয় ডিম দেখা যায়নি।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) থেকে দেয়া শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগরীর বাজারদরের তালিকাতেও ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বৃদ্ধির উল্লেখ রয়েছে।
শুক্রবার রাজধানির কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করা পণ্যটি না কমে উল্টো ডজনে বেড়েছে সর্বোচ্চ ২৭ টাকা। আর সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। এছাড়া হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি ২২০ টাকায়।
ফার্মের মুরগির ডিমের দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানি শ্যামলী কাঁচা বাজারের খুচরা বিক্রেতা আলাঊদ্দিন সংবাদকে বলেন, ‘ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি করছি ১৭০ টাকা। এ সপ্তাহে ডিমের দাম বেড়েছে।’
বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হালদার বলেন, ‘ফিডের দাম কমালে ডিম-মুরগির উৎপাদন খরচ কমবে। কিন্তু খাদ্যের দাম না কমিয়ে ডিম আমদানি করলে ছোট খামারিরা লোকসানের মুখে পড়বে।’
গত সপ্তাহের থেকে এ সপ্তাহে দাম কমেছে না বেড়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে একই বাজারের সবজি বিক্রেতা সৈকত সংবাদকে বলেন, ‘এ সপ্তাহে সব সবজি মিলে গড়ে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।’
এ সময় সৈকতের সবজির দোকানে সদাই করতে আসেন এক ভদ্র মহিলা। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ‘বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম কমছে কী?’ জবাবে ওই ভদ্র মহিলা সংবাদকে বলেন, ‘না। মানুষের মন পরিষ্কার হইছে কী? আগে মন পরিষ্কার করতে হবে, তারপর...। মানুষের নোংরা মন এখনও নোংরাই আছে। আমার মন ভাল না, আমি বেশি দাম নিতাছি।’ ‘জিগালে একশটা লোকই একই কথা বলবে,’ বলে যোগ করেন সৈকত।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজির দাম ১০০ টাকার কাছাকাছি। বাজার লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ খেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া সাদা রংয়ের গোল বেগুন ১০০ থেকে ১১০ টাকা, বেগুনি রংয়ের গোলবেগুন ১১০ থেকে ১২০ টাকা, টমেটো ও গাজর ১৫০ টাকা, চিচিঙ্গা, কচু ও করোলা ৮০ টাকা, মুলা ৭০ টাকা।
এখন ইলিশ মাছের ভরা মৌসুম। তারপরও বাজারে বেড়েছে স্বাধের এই মাছের দাম। বাজারভেদে ও ওজনভেদে কেজিতে রেড়েছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা। ওজনভেদে বাজারে ৮শ’ গ্রাম থেকে ১১শ’ গ্রাম ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৪০০ থেকে ১৮৫০ টাকা।
ইলিশ মাছের দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে একই বাজারের মাছ বিক্রেতা মহিদুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘৮শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি করছি কেজি ১৪০০ টাকায়। ৯শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ১৬০০ টাকা আর ১ কেজি ও ১১শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ১৮০০ টাকায়। গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে অন্তত ২০০ টাকা বাড়ছে।’
নিজের কষ্টের কথা তুলে ধরে মহিদুল আরও বলেন, ‘আমরা ইলিশ মাছের ব্যবসা করি, আমরাই খাইতে পারি না।’
আর রাজধানি কারওয়ান বাজারের ইলিশ মাছ বিক্রেতা ফারুক সংবাদকে বলেন, ‘গত সপ্তাহের চেয়ে ইলিশ মাছের দাম একটু বাড়ছে, কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আর আছে ১৮ দিন (নদীতে ইলিশ মাছ ধরা)।
ইলিশ মাছের দাম কমবে কী? জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘দাম ফেইসবুকে কমছে।’
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ডিমের দাম বেড়ে গেলে বাজার নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহখানেক আগে ভারত থেকে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক পিস ডিম আমদানি করে সরকার। তাতেও বাজার নিয়ন্ত্রণে না আসায় গত সপ্তাহে ডিমের ‘যৌক্তিক দাম’ ডজনে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় সরকারি সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। কিন্তু সরকারের বেঁধে দেয়া দামে পাওয়া যাচ্ছে না কম আয়ের মানুষদের ‘প্রোটিন’ হিসেবে অভিহিত মুরগির ডিম। তাই চড়া দামেই কিনতে হচ্ছে এই খাদ্য পণ্যটি। পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবজি ও ইলিশ মাছের দামও। আলু-পেঁয়াজ-চালসহ অন্যান্য পণ্য আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।
ভারতের ‘শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ভান্ডার’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ঐ ডিম কিনে আনে দেশের ‘হাইড্রো ল্যান্ড সলুশান’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তবে, খুচরা বাজারে আমদানিকৃত ভারতীয় ডিম দেখা যায়নি।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) থেকে দেয়া শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগরীর বাজারদরের তালিকাতেও ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বৃদ্ধির উল্লেখ রয়েছে।
শুক্রবার রাজধানির কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করা পণ্যটি না কমে উল্টো ডজনে বেড়েছে সর্বোচ্চ ২৭ টাকা। আর সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। এছাড়া হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি ২২০ টাকায়।
ফার্মের মুরগির ডিমের দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানি শ্যামলী কাঁচা বাজারের খুচরা বিক্রেতা আলাঊদ্দিন সংবাদকে বলেন, ‘ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি করছি ১৭০ টাকা। এ সপ্তাহে ডিমের দাম বেড়েছে।’
বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হালদার বলেন, ‘ফিডের দাম কমালে ডিম-মুরগির উৎপাদন খরচ কমবে। কিন্তু খাদ্যের দাম না কমিয়ে ডিম আমদানি করলে ছোট খামারিরা লোকসানের মুখে পড়বে।’
গত সপ্তাহের থেকে এ সপ্তাহে দাম কমেছে না বেড়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে একই বাজারের সবজি বিক্রেতা সৈকত সংবাদকে বলেন, ‘এ সপ্তাহে সব সবজি মিলে গড়ে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।’
এ সময় সৈকতের সবজির দোকানে সদাই করতে আসেন এক ভদ্র মহিলা। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ‘বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম কমছে কী?’ জবাবে ওই ভদ্র মহিলা সংবাদকে বলেন, ‘না। মানুষের মন পরিষ্কার হইছে কী? আগে মন পরিষ্কার করতে হবে, তারপর...। মানুষের নোংরা মন এখনও নোংরাই আছে। আমার মন ভাল না, আমি বেশি দাম নিতাছি।’ ‘জিগালে একশটা লোকই একই কথা বলবে,’ বলে যোগ করেন সৈকত।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজির দাম ১০০ টাকার কাছাকাছি। বাজার লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ খেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া সাদা রংয়ের গোল বেগুন ১০০ থেকে ১১০ টাকা, বেগুনি রংয়ের গোলবেগুন ১১০ থেকে ১২০ টাকা, টমেটো ও গাজর ১৫০ টাকা, চিচিঙ্গা, কচু ও করোলা ৮০ টাকা, মুলা ৭০ টাকা।
এখন ইলিশ মাছের ভরা মৌসুম। তারপরও বাজারে বেড়েছে স্বাধের এই মাছের দাম। বাজারভেদে ও ওজনভেদে কেজিতে রেড়েছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা। ওজনভেদে বাজারে ৮শ’ গ্রাম থেকে ১১শ’ গ্রাম ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৪০০ থেকে ১৮৫০ টাকা।
ইলিশ মাছের দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে একই বাজারের মাছ বিক্রেতা মহিদুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘৮শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি করছি কেজি ১৪০০ টাকায়। ৯শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ১৬০০ টাকা আর ১ কেজি ও ১১শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ১৮০০ টাকায়। গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে অন্তত ২০০ টাকা বাড়ছে।’
নিজের কষ্টের কথা তুলে ধরে মহিদুল আরও বলেন, ‘আমরা ইলিশ মাছের ব্যবসা করি, আমরাই খাইতে পারি না।’
আর রাজধানি কারওয়ান বাজারের ইলিশ মাছ বিক্রেতা ফারুক সংবাদকে বলেন, ‘গত সপ্তাহের চেয়ে ইলিশ মাছের দাম একটু বাড়ছে, কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আর আছে ১৮ দিন (নদীতে ইলিশ মাছ ধরা)।
ইলিশ মাছের দাম কমবে কী? জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘দাম ফেইসবুকে কমছে।’