বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ভার্সিটিতে ৪ আগস্টের ঘটনা
অনুসন্ধানে ৩৫ জন শনাক্ত-তদন্ত কমিটি
গত ৪ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে ও ভিতরে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
প্রথমে ভার্সিটির বিভিন্ন ভবনের ছাদের ওপর থেকে আন্দোলনকারিদের লক্ষ্য করে ইট, পাথর নিক্ষেপ করা হয়। আর নিচে আন্দোলনকারীকে আটক করে হাত-পা টেনে হেঁচড়ে ধরে নির্যাতন করা হয়।
একজন আন্দোলনকারী অচেতন হয়ে পড়লেও তার ওপর চলতে থাকে অমানুষিক নির্যাতন। কেউ লাঠি, কেউ গজারি দিয়ে তাকে নির্বিচারে পিটিয়েছে। নির্যাতিত ওই আন্দোলনকারীকে চিকিৎসা করতে দেয়া হয়নি। ঘটনার প্রায় এক মাস ২২ দিন পর ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে। ভবনের ওপর থেকে গোপনে এই ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। সংবাদ প্রতিবেদকের কাছে ওই ভিডিও সংরক্ষতি আছে।
ফাঁস হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, হাসপাতালটির কেবিন ব্লকের সামনে একজন আন্দোলনকারীকে টেনে হেঁচড়ে নির্মমভাবে পেটানো হচ্ছে। নির্যাতনকারীর সংখ্যা ২০ জনের বেশি হবে। সবার হাতে ২ থেকে আড়াই হাত লম্বা লাঠি। সবাই একজনকে টেনে হিচঁড়ে পেটাচ্ছে। যাতে নির্যাতন করা হচ্ছে তিনি অচেতন।
ভার্সিটির ৩ নম্বর গেট ও কেবিন ব্লকের সামনে খোলা জায়গায় এই বেধড়ক পেটানো হয়। ঘটনাস্থলের কাছে ভিডিওতে রোগী কল্যাণ সমিতির একটি সাইন বোর্ডও দেখা গেছে। হাসপাতালের ভিতরে গেটের সামনে এই নির্মম নির্যাতন করা হয়। যুবকদের সঙ্গে ভার্সিটির একজন নারী কর্মকর্তা আছে। তিনি আইন শাখায় কর্মরত বলে অনেকেই ছবি দেখে মন্তব্য করেন। হাসপাতালের ভিতর এই বর্বর নির্যাতনের দৃশ্য দেখে অনেকেই হতবাক।
হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, হামলাকারীরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। অনেকেই এখনও ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন। ভিডিও ফুটেজ দেখে অনুসন্ধান তদন্ত করে হামলাকারীদের চিহ্নিত ও আইনের আওয়ায় আনা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে তদন্ত ধীর গতির কারণে অনেক আলামত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. নজরুল ইসলাম সংবাদকে জানান, ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। হামলার ভিডিও ফাঁস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অবগত আছেন বলে জানান।
৪ সদস্যের তদন্ত কমিটির সভাপতি হলেন, ভার্সিটির ডিন ডা. মো. মোজাম্মেল হক। অন্যরা হলেন, ডিন ডা. আহমেদ আবু সালেহ, ডিন ডা. মোহাম্মদ সফি উদ্দিন ও সদস্য সচিব হলেন, অর্থোপেডিক্স সার্জারি বিভাগের ডা. শেখ ফরহাদ।
তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ও প্রক্টর ডা. শেখ ফরহান সংবাদকে জানান, তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। তারা কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। ইতোমধ্যে ৩৫ জন চিকিৎসক ও কর্মকর্তাকে ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে। কয়েকটি ফুটেজ তাদের হাতে পৌঁছেছে। তারা তদন্ত চূড়ান্ত করে উচ্চ পর্যায়ে তাদের রিপোর্ট পেশ করবেন। তাদের কাছে ২ থেকে তিনটি ভিডিও ফুটেজ আছে। আর যে আন্দোলনকারীকে নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে অন্য হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে বলে জেনেছেন। এরপরও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করতে কাজ চলছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সংবাদকে জানিয়েছেন, হামলায় জড়িত থাকার ঘটনায় সম্প্রতি ডা. হাসানুল হক নিপুনকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রথমে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি ভার্সিটির চিকিৎসক। গাজীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই মামলার বাদী মো. ইসমাইল হোসেন। রাজধানীর শাহবাগ থানার একটি মামলায় (মামলা নম্বর-২৫,তারিখ-১৭-৯-২৪)। শুক্রবার ফাঁস হওয়া ভিডিও ফুটেজ দেখে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা হামলাকারীদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করব। ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নড়েচড়ে বসছেন।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, তদন্ত কমিটি প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত করে হামলা , ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের নেপথ্য কারা জড়িত। তাদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসঙ্গে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের রিপোর্ট পেশ করবেন।
তদন্ত কমিটির সদস্য ডা. শেখ ফরহাদ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে সংবাদকে জানান, আজ তদন্ত কমিটি বৈঠক করে তদন্তের পরিকল্পনা করবেন। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করছেন। ইতোমধ্যে ঘটনার দিনের একাধিক ভিডিও ফুটেজ কালেকশন করা হয়েছে। ক্ষয় ক্ষতি হিসাব, ছাত্রদের ওপর হামলা, ছাত্রদের চিকিৎসাকাজে বাঁধাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা তদন্ত করবেন। এরপর শিগগিরই তাদের রিপোর্ট চুড়ান্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কয়েক হাজার ছাত্র-জনতা শাহবাগ মোড় থেকে পরিবাগ মোড় পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে মিছিল ও ম্লোগান দেয়। ওই সময় হঠাৎ করে ভার্সিটির বিভিন্ন ভবনের ছাদের ওপর ও ভেতর থেকে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে ইটপাথর নিক্ষেপ করে। গজারি লাঠি নিয়ে অতর্কিত হামলা ও তা-ব চালায়। ওই সময় অনেক ছাত্র আহত হয়েছে। অনেক সাধারণ কর্মকর্তা ও রোগী এবং স্বজনরা বিপাকে পড়ে চারদিকে ছুটাছুটি শুরু করেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পুরো ভার্সিটি ও শাহবাগ মোড় রণেেক্ষত্রে পরিরণত হয়। এক পর্যায়ে ছাত্ররা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনকারীদের ওপর দায় চাপাতে মুখোশধারীরা গাড়িতে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগও রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ভার্সিটিতে ৪ আগস্টের ঘটনা
অনুসন্ধানে ৩৫ জন শনাক্ত-তদন্ত কমিটি
শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গত ৪ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে ও ভিতরে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
প্রথমে ভার্সিটির বিভিন্ন ভবনের ছাদের ওপর থেকে আন্দোলনকারিদের লক্ষ্য করে ইট, পাথর নিক্ষেপ করা হয়। আর নিচে আন্দোলনকারীকে আটক করে হাত-পা টেনে হেঁচড়ে ধরে নির্যাতন করা হয়।
একজন আন্দোলনকারী অচেতন হয়ে পড়লেও তার ওপর চলতে থাকে অমানুষিক নির্যাতন। কেউ লাঠি, কেউ গজারি দিয়ে তাকে নির্বিচারে পিটিয়েছে। নির্যাতিত ওই আন্দোলনকারীকে চিকিৎসা করতে দেয়া হয়নি। ঘটনার প্রায় এক মাস ২২ দিন পর ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে। ভবনের ওপর থেকে গোপনে এই ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। সংবাদ প্রতিবেদকের কাছে ওই ভিডিও সংরক্ষতি আছে।
ফাঁস হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, হাসপাতালটির কেবিন ব্লকের সামনে একজন আন্দোলনকারীকে টেনে হেঁচড়ে নির্মমভাবে পেটানো হচ্ছে। নির্যাতনকারীর সংখ্যা ২০ জনের বেশি হবে। সবার হাতে ২ থেকে আড়াই হাত লম্বা লাঠি। সবাই একজনকে টেনে হিচঁড়ে পেটাচ্ছে। যাতে নির্যাতন করা হচ্ছে তিনি অচেতন।
ভার্সিটির ৩ নম্বর গেট ও কেবিন ব্লকের সামনে খোলা জায়গায় এই বেধড়ক পেটানো হয়। ঘটনাস্থলের কাছে ভিডিওতে রোগী কল্যাণ সমিতির একটি সাইন বোর্ডও দেখা গেছে। হাসপাতালের ভিতরে গেটের সামনে এই নির্মম নির্যাতন করা হয়। যুবকদের সঙ্গে ভার্সিটির একজন নারী কর্মকর্তা আছে। তিনি আইন শাখায় কর্মরত বলে অনেকেই ছবি দেখে মন্তব্য করেন। হাসপাতালের ভিতর এই বর্বর নির্যাতনের দৃশ্য দেখে অনেকেই হতবাক।
হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, হামলাকারীরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। অনেকেই এখনও ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন। ভিডিও ফুটেজ দেখে অনুসন্ধান তদন্ত করে হামলাকারীদের চিহ্নিত ও আইনের আওয়ায় আনা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে তদন্ত ধীর গতির কারণে অনেক আলামত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. নজরুল ইসলাম সংবাদকে জানান, ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। হামলার ভিডিও ফাঁস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অবগত আছেন বলে জানান।
৪ সদস্যের তদন্ত কমিটির সভাপতি হলেন, ভার্সিটির ডিন ডা. মো. মোজাম্মেল হক। অন্যরা হলেন, ডিন ডা. আহমেদ আবু সালেহ, ডিন ডা. মোহাম্মদ সফি উদ্দিন ও সদস্য সচিব হলেন, অর্থোপেডিক্স সার্জারি বিভাগের ডা. শেখ ফরহাদ।
তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ও প্রক্টর ডা. শেখ ফরহান সংবাদকে জানান, তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। তারা কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। ইতোমধ্যে ৩৫ জন চিকিৎসক ও কর্মকর্তাকে ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে। কয়েকটি ফুটেজ তাদের হাতে পৌঁছেছে। তারা তদন্ত চূড়ান্ত করে উচ্চ পর্যায়ে তাদের রিপোর্ট পেশ করবেন। তাদের কাছে ২ থেকে তিনটি ভিডিও ফুটেজ আছে। আর যে আন্দোলনকারীকে নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে অন্য হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে বলে জেনেছেন। এরপরও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করতে কাজ চলছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সংবাদকে জানিয়েছেন, হামলায় জড়িত থাকার ঘটনায় সম্প্রতি ডা. হাসানুল হক নিপুনকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রথমে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি ভার্সিটির চিকিৎসক। গাজীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই মামলার বাদী মো. ইসমাইল হোসেন। রাজধানীর শাহবাগ থানার একটি মামলায় (মামলা নম্বর-২৫,তারিখ-১৭-৯-২৪)। শুক্রবার ফাঁস হওয়া ভিডিও ফুটেজ দেখে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা হামলাকারীদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করব। ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নড়েচড়ে বসছেন।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, তদন্ত কমিটি প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত করে হামলা , ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের নেপথ্য কারা জড়িত। তাদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসঙ্গে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের রিপোর্ট পেশ করবেন।
তদন্ত কমিটির সদস্য ডা. শেখ ফরহাদ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে সংবাদকে জানান, আজ তদন্ত কমিটি বৈঠক করে তদন্তের পরিকল্পনা করবেন। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করছেন। ইতোমধ্যে ঘটনার দিনের একাধিক ভিডিও ফুটেজ কালেকশন করা হয়েছে। ক্ষয় ক্ষতি হিসাব, ছাত্রদের ওপর হামলা, ছাত্রদের চিকিৎসাকাজে বাঁধাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা তদন্ত করবেন। এরপর শিগগিরই তাদের রিপোর্ট চুড়ান্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কয়েক হাজার ছাত্র-জনতা শাহবাগ মোড় থেকে পরিবাগ মোড় পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে মিছিল ও ম্লোগান দেয়। ওই সময় হঠাৎ করে ভার্সিটির বিভিন্ন ভবনের ছাদের ওপর ও ভেতর থেকে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে ইটপাথর নিক্ষেপ করে। গজারি লাঠি নিয়ে অতর্কিত হামলা ও তা-ব চালায়। ওই সময় অনেক ছাত্র আহত হয়েছে। অনেক সাধারণ কর্মকর্তা ও রোগী এবং স্বজনরা বিপাকে পড়ে চারদিকে ছুটাছুটি শুরু করেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পুরো ভার্সিটি ও শাহবাগ মোড় রণেেক্ষত্রে পরিরণত হয়। এক পর্যায়ে ছাত্ররা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনকারীদের ওপর দায় চাপাতে মুখোশধারীরা গাড়িতে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগও রয়েছে।