গাজীপুরে চাকুরি প্রদানসহ বিভিন্ন দাবিতে বুধবার সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন চাকুরি প্রত্যাশিরা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মহাসড়কের ভোগরা এলাকায় তারা বিক্ষোভ-অবরোধ কেেরেছেন। এসময় ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দুর্ভোগে পরেন পরিবহণ যাত্রীরা। এমতাবস্থায় ভাংচুর ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে গাজীপুরে ৪০টি কারখানা ছুটি ঘোষনা করেছে কর্তৃপক্ষ।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের এসপি মো: সারোয়ার আলম জানান, ভোগড়া শিল্প এলাকার ইন্টারলিং, টেকনো ফাইভার লিমিটেড, ইউরোমিক ট্যাক্স লিমিটেড, রুয়া ফ্যাশন এবং বেলমন্ডসহ গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকার ৪০টি কারখানা ছুটি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আন্দোলনরত শ্রমিকেরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতি মাসের ৫ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত বেশিরভাগ কারখানায় শ্রমিক নিয়োগ হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে কারখানাগুলোর গেইটে শ্রমিক নিয়োগ বন্ধের নোটিশ টানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পুরুষ শ্রমিকেরা চাকরির জন্য কারখানার সামনে ভিড় করলেও গোপনে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে কর্তৃপক্ষ নারী শ্রমিকদের নিয়োগ দিচ্ছে। তঁারা বলেন মালিক পক্ষ পুরুষ শ্রমিকদরে বিরুদ্ধে কারখানা অভ্যন্তরে বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে থাকে। তাই কর্তৃপক্ষ পুরুষ শ্রমিকদেরকে নিয়োগ দিচ্ছে না এবং তাদের অনীহা রয়েছে। আবার অনেক কারখানায় নারী শ্রমিকদেরকেও ছঁাটাই করা হচ্ছে। তঁারাও আমাদের সাথে বিক্ষোভ করছেন।
বুধবার সকাল থেকে মহানগরীর ভোগড়া এলাকার শ্রমিকরা চাকরির দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। তঁারা আশপাশের কারখানার শ্রমিকদের তঁাদের সাথে বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্য কারখানা গেইটে গিয়ে কর্মরত শ্রমিকদের আহ্বান জানান। এসময় শ্রমিকেরা না আসলে বিক্ষোভকারীরা কারখানায় ইট-পাটকেল ছোড়া শুরু করে। ভাংচুর ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে আশপাশের কয়েকটি কারখানাসহ গাজীপুরের ৪০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করে দেয় কর্তৃপক্ষ। কিছু শ্রমিক বিক্ষোভে যোগ দিলেও বেশিরভাগ শ্রমিক বাসায় চলে যায়।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার(ট্রাফিক) অশোক পাল সংবাদকে বলেন, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চাকরি প্রত্যাশীরা ভোগরা বাইপাস এলাকায় ফ্লাইওভারের গোড়ায় চাকুরীর দাবিতে সড়ক অবরোধ করে এর ফলে সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে তারা কারখানায় ভাঙচুর করে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শহিদুল ইসলাম বলেন, চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল এবং পুরুষ শ্রমিকদের নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকেরা সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ করে অবরোধ সৃষ্টি করেছেন। শিল্প পুলিশ শ্রমিকদের বুঝিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। তবে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে আরো কিছু সময় লাগে।
অপরদিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চন্দ্রা এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছে একটি পোশাক কারখানা শ্রমিকরা।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চন্দ্রা এলাকায় নায়াগ্রা টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকরা গত তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে। এতে মহাসড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
কারখানা কর্তৃপক্ষ গত তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। এর আগে শ্রমিকরা কয়েক দফা মালিক পক্ষের সাথে বসলেও বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় আজ তারা কারখানাটির মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয় পরবর্তীতে তাদের দাবি মেনে না নেওয়ায় তারা ঢাকা - টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকা অবরোধ করে রাখে।
এসময় নবীনগর চন্দ্রা সড়কে প্রায় ১০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের বেক্সিমকো জনের সহকারি পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম সংবাদকে জানান, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করার কথা থাকলেও শ্রমিকরা বেতন পায়নি এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তারা আজকে চন্দ্র এলাকায় সড়ক অবরোধ করে পরে দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদেরকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিলে আড়াই ঘন্টা পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪
গাজীপুরে চাকুরি প্রদানসহ বিভিন্ন দাবিতে বুধবার সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন চাকুরি প্রত্যাশিরা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মহাসড়কের ভোগরা এলাকায় তারা বিক্ষোভ-অবরোধ কেেরেছেন। এসময় ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দুর্ভোগে পরেন পরিবহণ যাত্রীরা। এমতাবস্থায় ভাংচুর ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে গাজীপুরে ৪০টি কারখানা ছুটি ঘোষনা করেছে কর্তৃপক্ষ।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের এসপি মো: সারোয়ার আলম জানান, ভোগড়া শিল্প এলাকার ইন্টারলিং, টেকনো ফাইভার লিমিটেড, ইউরোমিক ট্যাক্স লিমিটেড, রুয়া ফ্যাশন এবং বেলমন্ডসহ গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকার ৪০টি কারখানা ছুটি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আন্দোলনরত শ্রমিকেরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতি মাসের ৫ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত বেশিরভাগ কারখানায় শ্রমিক নিয়োগ হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে কারখানাগুলোর গেইটে শ্রমিক নিয়োগ বন্ধের নোটিশ টানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পুরুষ শ্রমিকেরা চাকরির জন্য কারখানার সামনে ভিড় করলেও গোপনে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে কর্তৃপক্ষ নারী শ্রমিকদের নিয়োগ দিচ্ছে। তঁারা বলেন মালিক পক্ষ পুরুষ শ্রমিকদরে বিরুদ্ধে কারখানা অভ্যন্তরে বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে থাকে। তাই কর্তৃপক্ষ পুরুষ শ্রমিকদেরকে নিয়োগ দিচ্ছে না এবং তাদের অনীহা রয়েছে। আবার অনেক কারখানায় নারী শ্রমিকদেরকেও ছঁাটাই করা হচ্ছে। তঁারাও আমাদের সাথে বিক্ষোভ করছেন।
বুধবার সকাল থেকে মহানগরীর ভোগড়া এলাকার শ্রমিকরা চাকরির দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। তঁারা আশপাশের কারখানার শ্রমিকদের তঁাদের সাথে বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্য কারখানা গেইটে গিয়ে কর্মরত শ্রমিকদের আহ্বান জানান। এসময় শ্রমিকেরা না আসলে বিক্ষোভকারীরা কারখানায় ইট-পাটকেল ছোড়া শুরু করে। ভাংচুর ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে আশপাশের কয়েকটি কারখানাসহ গাজীপুরের ৪০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করে দেয় কর্তৃপক্ষ। কিছু শ্রমিক বিক্ষোভে যোগ দিলেও বেশিরভাগ শ্রমিক বাসায় চলে যায়।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার(ট্রাফিক) অশোক পাল সংবাদকে বলেন, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চাকরি প্রত্যাশীরা ভোগরা বাইপাস এলাকায় ফ্লাইওভারের গোড়ায় চাকুরীর দাবিতে সড়ক অবরোধ করে এর ফলে সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে তারা কারখানায় ভাঙচুর করে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শহিদুল ইসলাম বলেন, চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল এবং পুরুষ শ্রমিকদের নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকেরা সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ করে অবরোধ সৃষ্টি করেছেন। শিল্প পুলিশ শ্রমিকদের বুঝিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। তবে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে আরো কিছু সময় লাগে।
অপরদিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চন্দ্রা এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছে একটি পোশাক কারখানা শ্রমিকরা।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চন্দ্রা এলাকায় নায়াগ্রা টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকরা গত তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে। এতে মহাসড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
কারখানা কর্তৃপক্ষ গত তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। এর আগে শ্রমিকরা কয়েক দফা মালিক পক্ষের সাথে বসলেও বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় আজ তারা কারখানাটির মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয় পরবর্তীতে তাদের দাবি মেনে না নেওয়ায় তারা ঢাকা - টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকা অবরোধ করে রাখে।
এসময় নবীনগর চন্দ্রা সড়কে প্রায় ১০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের বেক্সিমকো জনের সহকারি পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম সংবাদকে জানান, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করার কথা থাকলেও শ্রমিকরা বেতন পায়নি এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তারা আজকে চন্দ্র এলাকায় সড়ক অবরোধ করে পরে দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদেরকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিলে আড়াই ঘন্টা পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।