ছাত্র-জনতার আন্দোলনে র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে কারও ওপর গুলি ছোড়া হয়নি বলে দাবি করেছেন বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুনিম ফেরদৌস। তিনি দাবি করেন, র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মুনিম ফেরদৌস। বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজাকে ঘিরে উসকানি আছে জানিয়ে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে র্যাবের নানা প্রস্তুতি আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়া হয়েছিল কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, র্যাবের সদস্যরা ছাত্র-জনতার ওপর কোনো গুলি চালায়নি। আপনারা দেখবেন অনেক বাহিনী ও সংস্থার অনেক সদস্য পালিয়ে গেলেও, র্যাবের কেউ কোথাও পালায়নি। হেলিকপ্টার থেকে কেবল টিয়ারগ্যাস ছোড়া হয়েছে। হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে এ রকম কোনো ভিডিও নেই। আপনাদের কারও কাছে যদি গুলি করার কোনো ভিডিও থাকে, আপনারা সেগুলো দিলে র্যাব তা যাচাই করবে।
র্যাব মুখপাত্র বলেন, এর মধ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় তাদের ওপর হামলার যেসব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সেগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। র্যাবের বিভিন্ন অভিযানিক ও গোয়েন্দা দল এই ভিডিও ও ছবিগুলো যাচাই বাছাই করেছে। এই ভিডিওগুলোতে অনেকের হাতে অস্ত্র ছিল এমনকি তাদের কারও হাতে একে-৪৭ এর মত অস্ত্রও দেখা গেছে। বিভিন্ন জায়গায় দেশীয় অস্ত্র দিয়েও তারা ছাত্র-জনতাকে জখম করেছে।”
ছবি-ভিডিওতে দেখে র্যাব ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জানিয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, এ রকম আরও ৩০ থেকে ৪০ জনের তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ের যে নেতারা রয়েছেন যারা হুকুমদাতা হিসেবে মামলা হয়েছে। এ রকম ৩৯ জন বড় পর্যায়ের নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
থানা থেকে লুট হওয়া এবং অবৈধ অস্ত্র অভিযানে ২১৯টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৫টি ম্যাগাজিন ও ১০ হাজার গোলাবারুদ উদ্ধারের কথাও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে হাতের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মানুষের সংখ্যা ১ হাজার ১৭০ জন জানিয়ে বলা হয়, অবৈধ অস্ত্র, ডাকাতি, ছিনতাই মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে এদের গ্রেপ্তার করা হয়।
দেশব্যাপী ৩১ হাজার ৪৬১টি পূজামণ্ডপ ঘিরে নিরাপত্তা পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে পুলিশের এলিট ফোর্সটি গুজব ঠেকাতে অনলাইনে নজরদারির ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে যাকে বাহিনীটি বলছে ‘সাইবার প্যাট্রোলিং’।
বাহিনীটির মুখপাত্র বলেন, পূজাকে ঘিরে একটু উসকানি আছে। কেউ কেউ বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু আমরা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আমরা প্রত্যেকটি বিষয়কে অত্যন্ত সচেতনভাবে দেখব যাতে কেউ কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি রূপরেখা তৈরির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৩১ হাজার ৪৬১টি মণ্ডপে পূজা হয়। সারা দেশে র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন পূজা মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিয়েছে।
পূজার নিরাপত্তায় র্যাব স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে জানিয়ে মুনীম ফেরদৌস বলেন, গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে, সার্বিক টহল পাশাপাশি র্যাবের ডগ স্কোয়াড, কমান্ডো ফোর্স থাকবে। কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিকভাবে নজরদারি করা হবে।
পূজার তিথির যে সময় সকাল ও সন্ধ্যার দিকে টহল জোরদার করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিমা বিসর্জনের দিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে।
বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে কারও ওপর গুলি ছোড়া হয়নি বলে দাবি করেছেন বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুনিম ফেরদৌস। তিনি দাবি করেন, র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মুনিম ফেরদৌস। বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজাকে ঘিরে উসকানি আছে জানিয়ে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে র্যাবের নানা প্রস্তুতি আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়া হয়েছিল কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, র্যাবের সদস্যরা ছাত্র-জনতার ওপর কোনো গুলি চালায়নি। আপনারা দেখবেন অনেক বাহিনী ও সংস্থার অনেক সদস্য পালিয়ে গেলেও, র্যাবের কেউ কোথাও পালায়নি। হেলিকপ্টার থেকে কেবল টিয়ারগ্যাস ছোড়া হয়েছে। হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে এ রকম কোনো ভিডিও নেই। আপনাদের কারও কাছে যদি গুলি করার কোনো ভিডিও থাকে, আপনারা সেগুলো দিলে র্যাব তা যাচাই করবে।
র্যাব মুখপাত্র বলেন, এর মধ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় তাদের ওপর হামলার যেসব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সেগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। র্যাবের বিভিন্ন অভিযানিক ও গোয়েন্দা দল এই ভিডিও ও ছবিগুলো যাচাই বাছাই করেছে। এই ভিডিওগুলোতে অনেকের হাতে অস্ত্র ছিল এমনকি তাদের কারও হাতে একে-৪৭ এর মত অস্ত্রও দেখা গেছে। বিভিন্ন জায়গায় দেশীয় অস্ত্র দিয়েও তারা ছাত্র-জনতাকে জখম করেছে।”
ছবি-ভিডিওতে দেখে র্যাব ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জানিয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, এ রকম আরও ৩০ থেকে ৪০ জনের তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ের যে নেতারা রয়েছেন যারা হুকুমদাতা হিসেবে মামলা হয়েছে। এ রকম ৩৯ জন বড় পর্যায়ের নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
থানা থেকে লুট হওয়া এবং অবৈধ অস্ত্র অভিযানে ২১৯টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৫টি ম্যাগাজিন ও ১০ হাজার গোলাবারুদ উদ্ধারের কথাও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে হাতের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মানুষের সংখ্যা ১ হাজার ১৭০ জন জানিয়ে বলা হয়, অবৈধ অস্ত্র, ডাকাতি, ছিনতাই মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে এদের গ্রেপ্তার করা হয়।
দেশব্যাপী ৩১ হাজার ৪৬১টি পূজামণ্ডপ ঘিরে নিরাপত্তা পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে পুলিশের এলিট ফোর্সটি গুজব ঠেকাতে অনলাইনে নজরদারির ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে যাকে বাহিনীটি বলছে ‘সাইবার প্যাট্রোলিং’।
বাহিনীটির মুখপাত্র বলেন, পূজাকে ঘিরে একটু উসকানি আছে। কেউ কেউ বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু আমরা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আমরা প্রত্যেকটি বিষয়কে অত্যন্ত সচেতনভাবে দেখব যাতে কেউ কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি রূপরেখা তৈরির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৩১ হাজার ৪৬১টি মণ্ডপে পূজা হয়। সারা দেশে র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন পূজা মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিয়েছে।
পূজার নিরাপত্তায় র্যাব স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে জানিয়ে মুনীম ফেরদৌস বলেন, গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে, সার্বিক টহল পাশাপাশি র্যাবের ডগ স্কোয়াড, কমান্ডো ফোর্স থাকবে। কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিকভাবে নজরদারি করা হবে।
পূজার তিথির যে সময় সকাল ও সন্ধ্যার দিকে টহল জোরদার করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিমা বিসর্জনের দিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে।