বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কার’ কথা জানিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার পিলখানায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনটি দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়। এ সময় তিনি বলেন, “দুর্গাপূজায় কোনো ঝামেলা বা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা অবশ্যই রয়েছে।”
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, “আন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার আশঙ্কা রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার চেষ্টা চলছে। তবে বিজিবি শান্তিপূর্ণভাবে পূজা পালনের ব্যাপারে আশাবাদী।
অতীতের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন এলাকায় মণ্ডপে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। এ পরিস্থিতিতে র্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেছেন, “পূজাকে ঘিরে উসকানি থাকতে পারে, তবে আমরা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত।”
আগামী ৯ অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে। বিএনপিও তাদের স্বেচ্ছাসেবকদের মণ্ডপে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ দিয়েছে।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেছেন, সরকারের পতনের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ভয় দেখিয়ে ওপারে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে, যা অতিরঞ্জিত করার চেষ্টার অংশ। তিনি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে বিজিবির কার্যক্রমের কথা জানান।
সীমান্তের প্রায় দুই হাজার মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে এবং এসব মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে।
সর্বশেষ, মহাপরিচালক জানান, গত বছরের তুলনায় এবার কিছু মণ্ডপের সংখ্যা কমেছে, কারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুদৃঢ় করার জন্য নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪
বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কার’ কথা জানিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার পিলখানায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনটি দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়। এ সময় তিনি বলেন, “দুর্গাপূজায় কোনো ঝামেলা বা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা অবশ্যই রয়েছে।”
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, “আন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার আশঙ্কা রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার চেষ্টা চলছে। তবে বিজিবি শান্তিপূর্ণভাবে পূজা পালনের ব্যাপারে আশাবাদী।
অতীতের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন এলাকায় মণ্ডপে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। এ পরিস্থিতিতে র্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেছেন, “পূজাকে ঘিরে উসকানি থাকতে পারে, তবে আমরা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত।”
আগামী ৯ অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে। বিএনপিও তাদের স্বেচ্ছাসেবকদের মণ্ডপে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ দিয়েছে।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেছেন, সরকারের পতনের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ভয় দেখিয়ে ওপারে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে, যা অতিরঞ্জিত করার চেষ্টার অংশ। তিনি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে বিজিবির কার্যক্রমের কথা জানান।
সীমান্তের প্রায় দুই হাজার মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে এবং এসব মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে।
সর্বশেষ, মহাপরিচালক জানান, গত বছরের তুলনায় এবার কিছু মণ্ডপের সংখ্যা কমেছে, কারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুদৃঢ় করার জন্য নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।