দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার মধ্যে, অন্তর্বর্তী সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইনে ১৪টি সংশোধন প্রস্তাব করেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এই সংশোধনীগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় আইনজীবী, সাবেক বিচারক, শিক্ষক, সাবেক শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সদস্যরা অংশ নেন। সভায় জানানো হয়, আইনের ৬০টি ধারার মধ্যে ১৪টিতে সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে, তবে এটি চূড়ান্ত নয়। আসিফ নজরুল বলেন, “সবার মতামতের ভিত্তিতে এ সংশোধনী চূড়ান্ত করা হবে।”
সংশোধন প্রস্তাবিত ধারাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:
ধারা ২ এর দফা ‘প’: এটি সম্পূর্ণ রহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা” সংজ্ঞাটি উল্লেখ ছিল, যা বর্তমান প্রস্তাবে নেই।
মানহানি সংক্রান্ত ধারা: ধারা ২ এর (ধ) এ “মানহানি” শব্দটি সম্পূর্ণরূপে রহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সাজা কমানো: কিছু ধারায় সাজা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যেমন, ১৭ নম্বর ধারার ২ এর ‘ক’ দফায় কারাদণ্ডের মেয়াদ কমিয়ে অনধিক ৩ বছরের পরিবর্তে অনধিক ২ বছর করা হয়েছে।
অপরাধ সংশোধনী: ২১ নম্বর ধারাটি সম্পূর্ণরূপে রহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় প্রতীকসমূহের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচারণার জন্য শাস্তি প্রদান করেছিল।
নতুন ধারা সংযোজন: ২৭ক নামে একটি নতুন ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যেখানে সরাসরি সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ মামলা দায়ের করতে পারবে না।
সংশোধন প্রস্তাবিত এসব ধারার উপর আলোচনা শেষে, বক্তারা এই আইন বাতিলের দাবি জানান। বিভিন্ন শ্রেণীর প্রতিনিধিরা আইনটির প্রয়োগ ও প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ইকতেদার আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও লেখক জাহেদ উর রহমান।
শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪
দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার মধ্যে, অন্তর্বর্তী সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইনে ১৪টি সংশোধন প্রস্তাব করেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এই সংশোধনীগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় আইনজীবী, সাবেক বিচারক, শিক্ষক, সাবেক শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সদস্যরা অংশ নেন। সভায় জানানো হয়, আইনের ৬০টি ধারার মধ্যে ১৪টিতে সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে, তবে এটি চূড়ান্ত নয়। আসিফ নজরুল বলেন, “সবার মতামতের ভিত্তিতে এ সংশোধনী চূড়ান্ত করা হবে।”
সংশোধন প্রস্তাবিত ধারাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:
ধারা ২ এর দফা ‘প’: এটি সম্পূর্ণ রহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা” সংজ্ঞাটি উল্লেখ ছিল, যা বর্তমান প্রস্তাবে নেই।
মানহানি সংক্রান্ত ধারা: ধারা ২ এর (ধ) এ “মানহানি” শব্দটি সম্পূর্ণরূপে রহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সাজা কমানো: কিছু ধারায় সাজা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যেমন, ১৭ নম্বর ধারার ২ এর ‘ক’ দফায় কারাদণ্ডের মেয়াদ কমিয়ে অনধিক ৩ বছরের পরিবর্তে অনধিক ২ বছর করা হয়েছে।
অপরাধ সংশোধনী: ২১ নম্বর ধারাটি সম্পূর্ণরূপে রহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় প্রতীকসমূহের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচারণার জন্য শাস্তি প্রদান করেছিল।
নতুন ধারা সংযোজন: ২৭ক নামে একটি নতুন ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যেখানে সরাসরি সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ মামলা দায়ের করতে পারবে না।
সংশোধন প্রস্তাবিত এসব ধারার উপর আলোচনা শেষে, বক্তারা এই আইন বাতিলের দাবি জানান। বিভিন্ন শ্রেণীর প্রতিনিধিরা আইনটির প্রয়োগ ও প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ইকতেদার আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও লেখক জাহেদ উর রহমান।