সরকারি কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্র এড়িয়ে সরাসরি গ্যাসকূপ খননের কাজ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। দেশীয় খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “২০২৫ সাল পর্যন্ত ৫০টি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫টি কূপ খনন করা হয়েছে এবং সেখান থেকে প্রতিদিন ১৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস পাওয়া গেছে। তবে পাইপলাইন না থাকায় জাতীয় গ্রিডে বর্তমানে ৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরো জানান, ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫টি কূপ খনন করা হবে, যার মধ্যে ১১টি কূপ খনন করবে বাপেক্স এবং বাকি ২৪টি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কাজ দেওয়া হবে। “এখন থেকে সরকার টু সরকার (জিটুজি) পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে না; প্রতিযোগিতা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে,” বলেন তিনি।
ফাওজুল কবির বলেন, ২০২৮ সালের মধ্যে আরো ১০০টি কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থলভাগের ৬৯টি কূপে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর মধ্যে ৩৩টি কূপে অনুসন্ধান করবে বাপেক্স, ১০টি রিগ ভাড়া নিয়ে এবং বাকি ২৬টি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে করা হবে।
তিনি আশাবাদী যে, এই পদক্ষেপের ফলে গ্যাস সংকট অনেকটা কাটিয়ে উঠবে। উপদেষ্টা আরও বলেন, “এখন থেকে প্রকল্পের সময় ও খরচ বৃদ্ধি করা হবে না।”
এলএনজি আমদানিকে ব্যয়বহুল উল্লেখ করে তিনি বলেন, “একটি এলএনজি কার্গো আনতে যে ব্যয় হয়, সেই অর্থ দিয়ে দুই থেকে তিনটি কূপ খনন করা যায়।”
তিনি জানান, অফশোর ও অনশোর গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ জোরদার করা হবে। গভীর সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানের টেন্ডার উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে, যেখানে সাতটি কোম্পানি আগ্রহ দেখিয়েছে।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব মো. নূরুল আলমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার জানান, ৫০টি কূপের মধ্যে ১৯টির দরপত্র নথিপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে এবং মন্ত্রণালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত নথি জমা দেওয়া আছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে এবং এরপর এক সপ্তাহের মধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হবে।
শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪
সরকারি কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্র এড়িয়ে সরাসরি গ্যাসকূপ খননের কাজ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। দেশীয় খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “২০২৫ সাল পর্যন্ত ৫০টি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫টি কূপ খনন করা হয়েছে এবং সেখান থেকে প্রতিদিন ১৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস পাওয়া গেছে। তবে পাইপলাইন না থাকায় জাতীয় গ্রিডে বর্তমানে ৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরো জানান, ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫টি কূপ খনন করা হবে, যার মধ্যে ১১টি কূপ খনন করবে বাপেক্স এবং বাকি ২৪টি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কাজ দেওয়া হবে। “এখন থেকে সরকার টু সরকার (জিটুজি) পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে না; প্রতিযোগিতা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে,” বলেন তিনি।
ফাওজুল কবির বলেন, ২০২৮ সালের মধ্যে আরো ১০০টি কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থলভাগের ৬৯টি কূপে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর মধ্যে ৩৩টি কূপে অনুসন্ধান করবে বাপেক্স, ১০টি রিগ ভাড়া নিয়ে এবং বাকি ২৬টি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে করা হবে।
তিনি আশাবাদী যে, এই পদক্ষেপের ফলে গ্যাস সংকট অনেকটা কাটিয়ে উঠবে। উপদেষ্টা আরও বলেন, “এখন থেকে প্রকল্পের সময় ও খরচ বৃদ্ধি করা হবে না।”
এলএনজি আমদানিকে ব্যয়বহুল উল্লেখ করে তিনি বলেন, “একটি এলএনজি কার্গো আনতে যে ব্যয় হয়, সেই অর্থ দিয়ে দুই থেকে তিনটি কূপ খনন করা যায়।”
তিনি জানান, অফশোর ও অনশোর গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ জোরদার করা হবে। গভীর সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানের টেন্ডার উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে, যেখানে সাতটি কোম্পানি আগ্রহ দেখিয়েছে।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব মো. নূরুল আলমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার জানান, ৫০টি কূপের মধ্যে ১৯টির দরপত্র নথিপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে এবং মন্ত্রণালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত নথি জমা দেওয়া আছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে এবং এরপর এক সপ্তাহের মধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হবে।