alt

জাতীয়

মাতৃপূজার নান্দনিকতা: সব ধর্মের মানুষের মিলনমেলা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

‘আয় রে ছুটে আয় পূজার গন্ধ এসেছে, ঠ্যাং কুরাকুর ঠ্যাং কুরকুর বাদ্যি বেজেছে’—এবং বাঙালির জন্য অপেক্ষার শেষ ঘনিয়ে আসছে। শরতের পেঁজা মেঘ আর কাশফুলের দোলা জানান দেয় ‘মা আসছেন’। পূজা মানেই নানা রং, সাজ, ভোজ, এবং থিম। বর্তমানকালে পূজার আয়োজন হয় বিগ বাজেটের থিম কেন্দ্রিক, যেখানে সাবেকিয়ানার পরিবর্তে আড়ম্বর এবং নতুনত্বের প্রতিফলন দেখা যায়। তবে, আজকের প্রতিবেদনে আমরা তুলে ধরবো একটি ব্যতিক্রমী মাতৃপূজার আয়োজন।

বাংলাদেশের কৈলাসহর ৫৩ বিধানসভা এলাকায় মিশ্র সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। শহরের দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরাঞ্চলে প্রায় ৯৫ শতাংশ মুসলিম সম্প্রদায় বসবাস করে। সেখানে অল্প সংখ্যক হিন্দু পরিবারও রয়েছে। এসব পরিবারের মধ্যে কিছু পরিবার প্রতিবছরের মতো এ বছরও মাতৃশক্তির আরাধনায় ব্রতী হয়েছেন।

কৈলাসহরের সীমান্তবর্তী রাঙাউটি এলাকার কৃষ্ণপুর গ্রামে আগে প্রায় ৪৫টি হিন্দু পরিবারের বসবাস ছিল। তবে সময়ের সাথে সাথে অনেকেই শহরে চলে গেছেন। এখন সেখানে প্রায় ২৭টি হিন্দু পরিবার পৈতৃক ভিটেমাটি ও সনাতন ধর্মের ঐতিহ্য ধরে রাখতে মা দুর্গার পূজা আয়োজন করছেন।

পূজার জন্য পরিবারগুলো নিজেদের মধ্য থেকে চাঁদা তোলে। যদিও বাজেট শহরের বড় বড় বাজেটের তুলনায় কম, তবুও আয়োজকদের মধ্যে বাঙালি সনাতন সংস্কৃতির প্রচার ও আয়োজনের প্রতি কোনও খামতি নেই। আশ্চর্যজনকভাবে, প্রতিবছর স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু লোক সামান্য সাহায্য করেন।

পূজা আয়োজনের পদ্ধতি সম্পূর্ণভাবে সনাতন নিয়ম মেনে চলে। গ্রামবাসীদের মধ্যে এক ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি জানান, তাঁদের কাছে অর্থের অভাব থাকলেও ভাবাবেগের অভাব নেই। পঞ্চমীর বোধন থেকে দশমীর বিসর্জন—সবকিছুই নিয়ম মেনে পালন করা হয়। প্যান্ডেলে আলোর ব্যবস্থা, ভোগ তৈরির কাজ সবই তাঁরা নিজেদের করেন। মা দুর্গার মূর্তি স্থানীয় শিল্পীদের দ্বারা তৈরি হয়।

এই পূজা একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় আরতি অনুষ্ঠিত হয়। যদিও এখানে ঝাঁ চকচকে মণ্ডপসজ্জা, আলো, ডিজে সাউন্ড নেই, তবুও তাঁদের কাছে মা উমার আসা একটি বিশেষ উপলক্ষ।

বর্তমান যুগে গণতান্ত্রিক সমাজে যখন পত্রিকা, টেলিভিশন ও মুঠোফোনে হিংসা, দ্বেষ, নগ্নতা, ও নির্মমতার নানা উদাহরণ দেখা যায়, তখন একেবারে অনাড়ম্বরভাবে মায়ের পূজা, যা সব ধর্মের মানুষের মিলিত প্রয়াসে অনুষ্ঠিত হয়, সেটি সত্যিই একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণ।

ছবি

শুল্ক আলোচনা: দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র কিছু বিষয় একমত

পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা ফেরত চায় নির্বাচন কমিশন

ছবি

বৃষ্টিপাত কমার আভাস, সরানো হলো সতর্ক সংকেত

ছবি

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

প্রধান উপদেষ্টার উপহারের আম গেলো ত্রিপুরা

৯৮৪টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ উত্তীর্ণ, ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনে খসড়া অনুমোদন

৪৮তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা স্থগিতের তথ্য ভিত্তিহীন: পিএসসি

নির্মাণাধীন ভবনে সাবেক সচিব, বিচারক ও কর্মকর্তার ফ্ল্যাট, অনুসন্ধানে দুদক

দেশে আবার ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা যাতে তৈরি না হয়, সে বিষয়ে সবাই একমত: আলী রীয়াজ

সরকারি নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল

এস আলম ও পরিবারের সিঙ্গাপুরে ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ

অর্থ আত্মসাৎ স্বাস্থ্যের সাবেক পরিচালকসহ ২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় সড়কে প্রাণ গেল অন্তঃসত্ত্বার

ছবি

প্রতিবন্ধকতাকে উড়িয়ে এসএসসিতে অদম্য লিতুন জিরার চমক

ডেঙ্গু: চলতি বছরে আক্রান্ত প্রায় ১৪ হাজার, মোট মৃত্যু ৫৪ জনের

ছবি

বিএসএফ সীমান্তরক্ষী নয়, একটি খুনি বাহিনী: নাহিদ

ছবি

মোবাইল তুলতে গিয়ে ৪ চা শ্রমিকের মৃত্যু, বাগানে শোকের ছায়া

শাপলা-দোয়েল বাদ, যুক্ত হচ্ছে বেগুন, লাউ, লিচু

আইসিসিতে বিচার দাবি অ্যামনেস্টির

ছবি

নোয়াখালীতে টানা ভারী বর্ষণে পানিবন্দী ৬৩,৮৬০ পরিবার, আশ্রয়কেন্দ্রে ২৬৮ পরিবার, জনদুর্ভোগ চরমে

গণমাধ্যম সংস্কারে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ১২ নতুন সিদ্ধান্ত

আরপিও, নির্বাচন কর্মকর্তা, আইন সংশোধনসহ এক গুচ্ছ সুপারিশ নিয়ে ইসির বৈঠক

পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল বোর্ড

মার্কিন শুল্ক নিয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা আজ শেষ হচ্ছে, প্রথম দিনের আলোচনায় ‘বেশিরভাগ ইস্যুতে ঐকমত্য’

ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় সন্তুষ্ট বিএনপি

ছবি

১৫ বছর পর এসএসসি ও সমমানের ফলে ছন্দপতন, ১৯ লাখ পরীক্ষার্থীর ছয় লাখই ফেল

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার বিচার শুরু, দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি মামুন

ছবি

চীন ও কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

১৮ জুলাই গ্রাহকদের ১ জিবি ফ্রি ডেটা দিতে নির্দেশনা জারি করেছে বিটিআরসি

ছবি

শহীদ ও আহতদের জন্য আলাদা দুটি ফ্ল্যাট প্রকল্প একনেকে যাচ্ছে

ছবি

জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী ঐচ্ছিক প্রোটোকলসহ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন

ছবি

মাধ্যমিকে পাসের হার ৬৮.৪৫ শতাংশ

ছবি

রাষ্ট্র সংস্কারে অগ্রগতি, কিন্তু এখন মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য জরুরি: আলী রীয়াজ

ছবি

শাপলা-দোয়েল বাদ, নতুন তালিকায় ১১৫ প্রতীক

ছবি

বিগত তিন নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের এবার বাদ দেওয়ার চিন্তা

tab

জাতীয়

মাতৃপূজার নান্দনিকতা: সব ধর্মের মানুষের মিলনমেলা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

‘আয় রে ছুটে আয় পূজার গন্ধ এসেছে, ঠ্যাং কুরাকুর ঠ্যাং কুরকুর বাদ্যি বেজেছে’—এবং বাঙালির জন্য অপেক্ষার শেষ ঘনিয়ে আসছে। শরতের পেঁজা মেঘ আর কাশফুলের দোলা জানান দেয় ‘মা আসছেন’। পূজা মানেই নানা রং, সাজ, ভোজ, এবং থিম। বর্তমানকালে পূজার আয়োজন হয় বিগ বাজেটের থিম কেন্দ্রিক, যেখানে সাবেকিয়ানার পরিবর্তে আড়ম্বর এবং নতুনত্বের প্রতিফলন দেখা যায়। তবে, আজকের প্রতিবেদনে আমরা তুলে ধরবো একটি ব্যতিক্রমী মাতৃপূজার আয়োজন।

বাংলাদেশের কৈলাসহর ৫৩ বিধানসভা এলাকায় মিশ্র সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। শহরের দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরাঞ্চলে প্রায় ৯৫ শতাংশ মুসলিম সম্প্রদায় বসবাস করে। সেখানে অল্প সংখ্যক হিন্দু পরিবারও রয়েছে। এসব পরিবারের মধ্যে কিছু পরিবার প্রতিবছরের মতো এ বছরও মাতৃশক্তির আরাধনায় ব্রতী হয়েছেন।

কৈলাসহরের সীমান্তবর্তী রাঙাউটি এলাকার কৃষ্ণপুর গ্রামে আগে প্রায় ৪৫টি হিন্দু পরিবারের বসবাস ছিল। তবে সময়ের সাথে সাথে অনেকেই শহরে চলে গেছেন। এখন সেখানে প্রায় ২৭টি হিন্দু পরিবার পৈতৃক ভিটেমাটি ও সনাতন ধর্মের ঐতিহ্য ধরে রাখতে মা দুর্গার পূজা আয়োজন করছেন।

পূজার জন্য পরিবারগুলো নিজেদের মধ্য থেকে চাঁদা তোলে। যদিও বাজেট শহরের বড় বড় বাজেটের তুলনায় কম, তবুও আয়োজকদের মধ্যে বাঙালি সনাতন সংস্কৃতির প্রচার ও আয়োজনের প্রতি কোনও খামতি নেই। আশ্চর্যজনকভাবে, প্রতিবছর স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু লোক সামান্য সাহায্য করেন।

পূজা আয়োজনের পদ্ধতি সম্পূর্ণভাবে সনাতন নিয়ম মেনে চলে। গ্রামবাসীদের মধ্যে এক ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি জানান, তাঁদের কাছে অর্থের অভাব থাকলেও ভাবাবেগের অভাব নেই। পঞ্চমীর বোধন থেকে দশমীর বিসর্জন—সবকিছুই নিয়ম মেনে পালন করা হয়। প্যান্ডেলে আলোর ব্যবস্থা, ভোগ তৈরির কাজ সবই তাঁরা নিজেদের করেন। মা দুর্গার মূর্তি স্থানীয় শিল্পীদের দ্বারা তৈরি হয়।

এই পূজা একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় আরতি অনুষ্ঠিত হয়। যদিও এখানে ঝাঁ চকচকে মণ্ডপসজ্জা, আলো, ডিজে সাউন্ড নেই, তবুও তাঁদের কাছে মা উমার আসা একটি বিশেষ উপলক্ষ।

বর্তমান যুগে গণতান্ত্রিক সমাজে যখন পত্রিকা, টেলিভিশন ও মুঠোফোনে হিংসা, দ্বেষ, নগ্নতা, ও নির্মমতার নানা উদাহরণ দেখা যায়, তখন একেবারে অনাড়ম্বরভাবে মায়ের পূজা, যা সব ধর্মের মানুষের মিলিত প্রয়াসে অনুষ্ঠিত হয়, সেটি সত্যিই একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণ।

back to top