দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান মন্তব্য করেছেন যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক প্রভাবের কারণে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। তিনি বলেন, সংস্থাটিকে সংস্কার করে পুনর্গঠন করতে হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে কমিশনের প্রথম বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম, আইনজীবী মাহদীন চৌধুরী, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফারজানা শারমিন। অনলাইনে যুক্ত হন অধ্যাপক মোস্তাক খান।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুদকের কমিশনার ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগে প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এছাড়াও, প্রেষণে আসা কর্মকর্তাদের কারণে দুদকের স্থায়ী কর্মীরা যথাযথভাবে কাজ করতে পারছেন না। তিনি জানান, কমিশন দুর্নীতি প্রতিরোধ ও প্রতিকার এই দুই আঙ্গিকে কাজ করবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, দুদকের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালার সংস্কার প্রয়োজন। তবে শুধু আইনি সংস্কার যথেষ্ট নয়, দুর্নীতি প্রতিরোধে সার্বিকভাবে শাসনব্যবস্থা ও সামাজিক মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিচারহীনতার কারণে দেশে বৈষম্য ও দুর্নীতির প্রসার ঘটেছে, যা রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় ও পাচারের মতো সমস্যার সৃষ্টি করেছে। এই প্রেক্ষাপটে দুদককে কার্যকর করতে সরকারের কাছে সুপারিশমালা ও পরামর্শ পেশ করাই কমিশনের মূল কাজ।
আগামী ৯০ দিনের মধ্যে (৭ জানুয়ারি) তারা তাদের কাজ শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
সারাদেশ: খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: ‘সিইও অব দ্য ইয়ার’ সম্মাননা অর্জন করলো বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী