বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস লেবাননে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে যারা দেশে ফিরতে চান, তাদের নাম নথিভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ দূতাবাস লেবাননে থাকা বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা এবং তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। দূতাবাস স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। সরকার সব বাংলাদেশি নাগরিককে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিন এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে লেবাননে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া যারা লেবাননে থেকে যেতে চান, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
সরকারের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, লেবানন থেকে প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি দেশে ফিরতে ইচ্ছুক। তাদের দেশে ফেরানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সমন্বিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে একটি আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেখানে লেবাননে থাকা বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য একটি কাঠামো প্রণয়ন করা হয়েছে।
এছাড়া, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেশে ফেরানোর জন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সহায়তায় চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছে। তবে বৈরুতের বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বিমানবন্দর নিরাপদ নয়। তাই বাংলাদেশি নাগরিকদের বিকল্পভাবে সরিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের হামলার পর থেকে লেবাননেও সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে বিমান হামলা শুরু করে এবং ৩০ সেপ্টেম্বর দেশটির দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে স্থল হামলায় প্রবেশ করে।
এমন পরিস্থিতিতে লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষত রাজধানী বৈরুতে, ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। এই যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের লেবানন থেকে সরিয়ে নিচ্ছে, আর বাংলাদেশ সরকারও এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস লেবাননে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে যারা দেশে ফিরতে চান, তাদের নাম নথিভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ দূতাবাস লেবাননে থাকা বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা এবং তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। দূতাবাস স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। সরকার সব বাংলাদেশি নাগরিককে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিন এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে লেবাননে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া যারা লেবাননে থেকে যেতে চান, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
সরকারের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, লেবানন থেকে প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি দেশে ফিরতে ইচ্ছুক। তাদের দেশে ফেরানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সমন্বিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে একটি আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেখানে লেবাননে থাকা বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য একটি কাঠামো প্রণয়ন করা হয়েছে।
এছাড়া, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেশে ফেরানোর জন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সহায়তায় চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছে। তবে বৈরুতের বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বিমানবন্দর নিরাপদ নয়। তাই বাংলাদেশি নাগরিকদের বিকল্পভাবে সরিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের হামলার পর থেকে লেবাননেও সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে বিমান হামলা শুরু করে এবং ৩০ সেপ্টেম্বর দেশটির দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে স্থল হামলায় প্রবেশ করে।
এমন পরিস্থিতিতে লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষত রাজধানী বৈরুতে, ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। এই যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের লেবানন থেকে সরিয়ে নিচ্ছে, আর বাংলাদেশ সরকারও এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে।