alt

ডিমের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারসাজি : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

ডিমের বাজারে সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারসাজি থাকতে পারে বলে মনে করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ডিমকে শিগগিরই অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হবে বলেও এসময় জানান তিনি।

শুক্রবার ঢাকার খামারবাড়িতে বিশ্ব ডিম দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ডিমের দাম বাড়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। ৭০ শতাংশ দাম ফিডের খরচের ওপর নির্ভর করছে। এই ফিডের দাম তো এই সময়ে বাড়েনি। তাহলে দামটা বাড়ল কেন? দাম বৃদ্ধির পেছনে কারসাজি রয়েছে। এটিকে অপরাধ হিসাবে দেখা উচিত। পত্রিকায় খবর এসেছে, আমদানির কারণে ডিমের দাম কমে গেল। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, এখানে একটা কারসাজি আছে। এখানে কোনো একটা পক্ষ সক্রিয়, যারা ডিমের দাম বাড়িয়েছে। তা না হলে কমে কী করে?

তিনি বলেন, ডিমকে অস্থিতিশীল করে দেওয়া হল। মিডিয়াতেও প্রধান শিরোনাম হিসাবে খবর আসতে শুরু করল যে ডিমের বাজার অস্থির। এটাও দাম বৃদ্ধির একটা কারণ। কিছু খামারি বলছে বন্যার কারণে খামার নষ্ট হয়েছে, সেটা ঠিক আছে। আমাদের দেশে এই সময়টা খাদ্য প্রাপ্যতার দিক থেকে খারাপ সময়। বন্যার কারণে সবজির উৎপাদন কম হচ্ছে। সে কারণে ডিমের ওপর চাপ বাড়ছে।

পুষ্টির অন্যতম উপাদান ডিমকে সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে উৎপাদন বৃদ্ধি ও দাম নাগালের মধ্যে রাখার কথা বলেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে যদি বছরে ১৩৬টি ডিম প্রতিটি মানুষ খায়, তাহলে কেউ বেশি খাচ্ছে, কেউ আবার খাচ্ছে না। এটা তো ডিম নিয়ে বৈষম্য। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরে ডিমে কেন বৈষম্য থাকবে। শ্রেণি নির্বিশেষে সবার নাগালের মধ্যে ডিমকে নিয়ে আসতে হবে। দাম কমানোর প্রচেষ্টার এটাও একটা কারণ।

তিনি বলেন, গ্রামের মহিলারা মুরগি পালতেন এবং ডিম মুরগি স্বামীদেরকে দিয়ে বিক্রি না করিয়ে নিজেরাই বিক্রি করতেন। টাকাটা নিজের কাছেই রাখতেন। সেই বিপণন সিস্টেম এখন কমে গেছে। মহিলাদের একটা আয়ের উৎস কমে যাচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই দিকে একটু ভাবা উচিত। গ্রামের মহিলাদেরকে দিয়ে হাঁসমুরগি লালনপালন করিয়ে তাদের কাছ থেকে কিনে আনার একটা সহজ ব্যবস্থা করা যায় কিনা।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাচ্চাদের মিড ডে মিল হিসেবে ভবিষ্যতে ডিম যুক্ত করা যায় কিনা আমরা চিন্তা করছি। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টির নিশ্চয়তা দেওয়া সরকারেরও দায়িত্ব। আপনারা যারা বড় বড় কোম্পানি আছেন তারা সিএসআর হিসেবে হাসপাতালগুলোতে ডিম বিতরণ করতে পারেন।

ছবি

রঙিন হবে গণভোটের ব্যালট, সাদাকালো সংসদেরটি

ছবি

চাপ দিলে নাম প্রকাশ করে দেব: দুদক চেয়ারম্যান

ছবি

শব্দ দূষণে সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছরের কারাদণ্ড, গেজেট

ছবি

নেতৃত্বের দায় না থাকলে বিচার ট্রাইব্যুনালে নয়: প্রসিকিউটর

শুধু আ’লীগ নেতা হওয়ার কারণে বিচার না করার আর্জি রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৬৩৩ জন ভর্তি, মৃত্যু ১

ছবি

নির্বাচনে দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিরপেক্ষ ভূমিকা চায় সিইসি

ছবি

‘প্লট দুর্নীতি’: টিউলিপের রায় ১ ডিসেম্বর

রোকেয়ায় রেজিস্ট্রার: নিয়ম ভেঙে নিয়োগ, অনিয়মেই বাড়লো মেয়াদ

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনা নিয়ে হাইকোর্টের রায় ৪ ডিসেম্বর

ছবি

তাজরীন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর: ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও বিচারের দাবি স্বজনদের

ছবি

৪১ শতাংশ আইসিইউ রোগীর শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না

ছবি

সাংবাদিকবান্ধব নয় দেশের আইন, যারাই ক্ষমতায় যান ‘নিবর্তনের মানসিকতা পোষণ করেন’

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৭০৫ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ২

ছবি

অতিরিক্ত সংস্কার করতে গিয়ে রাষ্ট্রকাঠামো দুর্বল করা যাবে না: আসিফ নজরুল

ছবি

খালেদা জিয়ার হার্ট ও ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছে: মেডিকেল বোর্ড

ছবি

সিনহা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ওসি প্রদীপ

ছবি

ভূমিকম্প: ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

নবীন নাবিকদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত: নাবিকরা চেলেঞ্জ মোকাবিলা ও সমুদ্রসীমা রক্ষা করবে

ছবি

সংবাদমাধ্যম থেকে বিচারকদের ‘অবমাননাকর’ ছবি সরানোর আদেশ

ছবি

জনগণের আস্থা ফেরাতে নির্বাচনী প্রচারণার দিকে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান কমনওয়েলথ মহাসচিবের

ছবি

৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

ছবি

ভূমিকম্পের সময় করণীয়, জানালো দমকল বিভাগ

ছবি

পোস্টাল ভোটিং: প্রথম পর্বে নিবন্ধনের সময় বাড়লো

প্লট দুর্নীতি মামলায় হাসিনা পরিবারের রায় আগামী বৃহস্পতিবার

ছবি

হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে আবার চিঠি দেয়া হয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির সম্ভাবনা নেই: উপদেষ্টা

বৈচিত্র্য বাধাগ্রস্ত হলে ফ্যাসিবাদ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে: তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

ছবি

সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান: সেনাদের ভার্চুয়াল হাজিরার আবেদনে ট্রাইব্যুনাল

ছবি

ঘুমধুম সীমান্তে মায়ানমার সেনা ও বিজিপির ৫ সদস্য আটক

ছবি

ডেঙ্গু: একদিনে আরও ৮ জনের মৃত্যু

ছবি

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে আবারও ভারতকে চিঠি পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

টিএফআই ও জেআইসি নির্যাতন মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী জেড আই খান পান্না নিয়োগ

ছবি

প্লট দুর্নীতি মামলায় হাসিনা পরিবারসহ আসামিদের রায় বৃহস্পতিবার

বিমানবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় উদাসীনতা: দেড় কোটি টাকায় কেনা তিস্তার দুই রেসকিউ বোট অচল হয়ে পড়েছে

tab

ডিমের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারসাজি : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

ডিমের বাজারে সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারসাজি থাকতে পারে বলে মনে করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ডিমকে শিগগিরই অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হবে বলেও এসময় জানান তিনি।

শুক্রবার ঢাকার খামারবাড়িতে বিশ্ব ডিম দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ডিমের দাম বাড়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। ৭০ শতাংশ দাম ফিডের খরচের ওপর নির্ভর করছে। এই ফিডের দাম তো এই সময়ে বাড়েনি। তাহলে দামটা বাড়ল কেন? দাম বৃদ্ধির পেছনে কারসাজি রয়েছে। এটিকে অপরাধ হিসাবে দেখা উচিত। পত্রিকায় খবর এসেছে, আমদানির কারণে ডিমের দাম কমে গেল। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, এখানে একটা কারসাজি আছে। এখানে কোনো একটা পক্ষ সক্রিয়, যারা ডিমের দাম বাড়িয়েছে। তা না হলে কমে কী করে?

তিনি বলেন, ডিমকে অস্থিতিশীল করে দেওয়া হল। মিডিয়াতেও প্রধান শিরোনাম হিসাবে খবর আসতে শুরু করল যে ডিমের বাজার অস্থির। এটাও দাম বৃদ্ধির একটা কারণ। কিছু খামারি বলছে বন্যার কারণে খামার নষ্ট হয়েছে, সেটা ঠিক আছে। আমাদের দেশে এই সময়টা খাদ্য প্রাপ্যতার দিক থেকে খারাপ সময়। বন্যার কারণে সবজির উৎপাদন কম হচ্ছে। সে কারণে ডিমের ওপর চাপ বাড়ছে।

পুষ্টির অন্যতম উপাদান ডিমকে সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে উৎপাদন বৃদ্ধি ও দাম নাগালের মধ্যে রাখার কথা বলেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে যদি বছরে ১৩৬টি ডিম প্রতিটি মানুষ খায়, তাহলে কেউ বেশি খাচ্ছে, কেউ আবার খাচ্ছে না। এটা তো ডিম নিয়ে বৈষম্য। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরে ডিমে কেন বৈষম্য থাকবে। শ্রেণি নির্বিশেষে সবার নাগালের মধ্যে ডিমকে নিয়ে আসতে হবে। দাম কমানোর প্রচেষ্টার এটাও একটা কারণ।

তিনি বলেন, গ্রামের মহিলারা মুরগি পালতেন এবং ডিম মুরগি স্বামীদেরকে দিয়ে বিক্রি না করিয়ে নিজেরাই বিক্রি করতেন। টাকাটা নিজের কাছেই রাখতেন। সেই বিপণন সিস্টেম এখন কমে গেছে। মহিলাদের একটা আয়ের উৎস কমে যাচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই দিকে একটু ভাবা উচিত। গ্রামের মহিলাদেরকে দিয়ে হাঁসমুরগি লালনপালন করিয়ে তাদের কাছ থেকে কিনে আনার একটা সহজ ব্যবস্থা করা যায় কিনা।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাচ্চাদের মিড ডে মিল হিসেবে ভবিষ্যতে ডিম যুক্ত করা যায় কিনা আমরা চিন্তা করছি। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টির নিশ্চয়তা দেওয়া সরকারেরও দায়িত্ব। আপনারা যারা বড় বড় কোম্পানি আছেন তারা সিএসআর হিসেবে হাসপাতালগুলোতে ডিম বিতরণ করতে পারেন।

back to top