alt

জাতীয়

পল্লী বিদ্যুতে অস্থিতিশীলতা : রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ৬ কর্মকর্তা রিমান্ডে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক ও প্রতিনিধি, চান্দিনা (কুমিল্লা) : শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

শুক্রবার গ্রেপ্তার ৬ কর্মকর্তাকে আদালতে তোলা হয়-সংবাদ

বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার পৃথক দুই রাষ্ট্রদ্রোহসহ সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) ৬ কর্মকর্তার তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-মুন্সিগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিল্লার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দীপক কুমার সিংহ, মাগুরার শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাহাত, নেত্রকোনার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মনির হোসেন ও সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২-এর বেলাল হোসেন। এদের মধ্যে বেলাল হোসেন এক মামলার আসামি। অন্য পাঁচজন আরেক মামলার আসামি।

এদিন তাদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন খিলক্ষেত থানার ইন্সপেক্টর আশিকুর রহমান দেয়ান। তাদের পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার খিলক্ষেত থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড খিলক্ষেত থানার পরিচালক প্রশাসন (আইন শাখা) আরশাদ হোসেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৮ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তা/কর্মচারী একত্রিত হয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি পরিচয়ে পরস্পর যোগসাজশে জরুরি সেবা বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে এবং বিগত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালীদের মদতে নানা অযৌক্তিক দাবি-দাওয়ায় ষড়যন্ত্র করে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। তারা বিভিন্ন ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে লিপ্ত আছে।

তাদের এ ধরণের কার্যকলাপ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চরমভাবে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টার শামিল। তাদের এসব কর্মকা- বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করা, বোর্ডের কর্মকর্তাদের সম্মানহানি এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল করে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতা তথা জনমনে ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করার মাধ্যমে সরকারকে চরমভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা যা দেশদ্রোহিতার শামিল।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১০ কর্মকর্তাকে আসামি করে ঢাকার খিলক্ষেত থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মামলাটি করা হয়। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পরিচালক (প্রশাসন) মো. আরশাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কিছু বিপথগামী কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছেন। গত সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালীদের মদদে বিদ্যুৎ কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।

গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে নিয়োজিত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই দফা দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সমিতির ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন সমিতির কর্মচারীরা। এতে জেলায় জেলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিলেন গ্রামের মানুষ। সারা দেশেও বিদ্যুৎ বন্ধের শঙ্কা তৈরি হয়।

আরইবির অধীন কাজ করে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। দেশের মোট বিদ্যুৎ সরবরাহের ৫৫ শতাংশ আরইবির অধীন। আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একীভূতকরণ এবং অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে মুক্তিকামী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যানারে এ আন্দোলন হচ্ছে।

আন্দোলনকারীদের পক্ষে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাদের নামে মামলা দেয়া হয়েছে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ, চাকরি অবসায়নের আদেশ ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। না হলে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ করতে বাধ্য হবেন তারা।

প্রতিনিধি, চান্দিনা (কুমিল্লা) জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখে আন্দোলনের নামে গ্রাহক ভোগান্তি, রাষ্ট্রবিরোধী আচরণ ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ১৫৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।

শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী মিল্টন ঘোষ বাদী হয়ে ওই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে আন্দোলন করে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে লাখ লাখ গ্রাহক চরম ভোগান্তির শিকার হয়। সন্ধ্যার পর দ্বিতীয় দফা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আন্দোলন করা কালে চান্দিনার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেড়াও করে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। এ সময় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করে। পরে দায়ের হওয়া মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

আটককৃতরা হলেন- কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার বাইমানা গ্রামের নূরুল আনোয়ার এর ছেলে সহিদুল ইসলাম (২৬), চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার কামানকান্দি মাথাভাঙ্গা গ্রামের আমির হোসেন এর ছেলে নূর মোহাম্মদ (২৮), চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারি উপজেলার খন্দকিয়া গ্রামের সিকদার চৌধুরীর ছেলে ফয়সাল চৌধুরী (৩৭), নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার পবনপুর তারাবো গ্রামে ফরিদ উদ্দিন এর ছেলে তানভীর আহমেদ (৩৩), ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলা সদরের খায়রুল কবিরের ছেলে মিজানুর রহমান সাগর (৩০)। তারা সকলে চান্দিনাস্থ কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কর্মকর্তা।

চান্দিনা থানার ওসি মো. নাজমুল হুদা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনকালে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টানা ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় আন্দোলনকারীরা। এতে সমিতির আওতাধীন ৪ উপজেলার লাখ লাখ গ্রাহকের ভোগান্তি দেখা দেয়। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ আমরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করি।

তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যার পর আবারও তারা দুই ঘন্টারও বেশি সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ায় এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কার্যালয় ঘেরাও করে। এসময় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে নাশকতা, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম পরিচালিত করায় ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করে। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নেত্রকোনার বারহাট্টা পল্লী বিদ্যুতের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার সকালে তাকে ঢাকার খিলক্ষেত থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নেত্রকোনা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান বলেন, মনির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় রাত ৯টার দিকে নেত্রকোনা শহরের একটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে খিলক্ষেত থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একীভূতকরণ, অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন করেন। আন্দোলনে জড়িত থাকায় গত বুধবার বারহাট্টা পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মনির হোসেনসহ সারা দেশের ২০ জন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্দেশনার প্রতি অবজ্ঞা ও দপ্তরপরিপন্থী কাজের অভিযোগ আনা হয়।

এরপর শুক্রবার সকাল পৌঁনে ৯টার দিকে মনির হোসেনকে সেনাবাহিনী আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অবশ্য কিছুক্ষণ পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর থেকে নেত্রকোনায় পল্লী বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ করে দেন বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত জেলার ১০টি উপজেলাসহ পাশে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলাতেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। এতে পল্লী বিদ্যুতের ৬ লাখ ৩৫ হাজর ২৫৩ জন গ্রাহক দুর্ভোগের শিকার হয়। নেত্রকোনার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানেও পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে রাখা হয়।

নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম তাপস দেবনাথ বলেন,‘যেসব কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করাসহ মামলা দেয়া হয়েছে, তাদের দ্রুত চাকরিতে পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে। জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়। আর সাময়িক জনদুর্ভোগের জন্য বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায়ী।’ তিনি গ্রেপ্তার হওয়া মনির হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাসুম আহমেদ বলেন, ‘বারহাট্টার এজিএম মনির হোসেনকে পুলিশ আটক করেছে বলে শুনেছি। নেত্রকোনায় পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহ এখন স্বাভাবিক রয়েছে।’

হঠাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, ক্ষমা চাইলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা

দ্রব্যমূল্য : নিয়মনীতির ‘তোয়াক্কা করা হবে না’, আমলাদের হুঁশিয়ারি উপদেষ্টা আসিফের

ছবি

রংপুরে আওয়ামী লীগ নেতা হারাধন রায় নিহত ঘটনায় হত্যা মামলা নেবার প্রতিবাদে ১২ ঘন্টা আলটিমেটাম

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে প্রথম দফায় ফিরছেন ৫৪ বাংলাদেশি

ছবি

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি ও জামায়াতের পক্ষে অলি আহমেদের মন্তব্য

বিএসএমএমইউতে রোগিদের সর্বোচ্চমানের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে-ডা.জাহিদ

ছবি

গণফোরামের সংলাপ: রাষ্ট্র সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান

ছবি

পুলিশ ট্রমায় রয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতি সময়সাপেক্ষ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে শিগগির সার্চ কমিটি গঠন

ছবি

জুলাই-অগাস্ট মাসে গণহত্যার তথ্য চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি

ছবি

স্থায়ী চাকরির দাবিতে শাহবাগ অবরোধ আউটসোর্সিং কর্মীদের, যানজট

ছবি

সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ না করার দাবি

ছবি

সরকার পতনে জয়ী ভাবা অনেক দলের এজেন্ডায় রাষ্ট্র সংস্কার চিন্তা নেই : ড. ইফতেখারুজ্জামান

ছবি

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার একমাত্র এখতিয়ার প্রধান উপদেষ্টার : আসিফ নজরুল

ছবি

ঢাকা সফরে আসছেন ফলকার টুর্ক

ছবি

বিকাল ৩ টা থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

হত্যা মামলায় কামাল মজুমদার তিন দিনের রিমান্ডে

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে বিভ্রান্তি: ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্য

‘পণ্যের যে দাম! না খেয়ে মরণ লাগবো’

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু

ছবি

গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্য-এর দ্রোহ-দাহ স্বপ্নযাত্রা, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ নির্মাণের প্রত্যয়

ছবি

চিকিৎসা শেষে কাজে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

লেবানন থেকে ফিরতে চান ১৮০০ বাংলাদেশি

ছবি

বাংলাদেশে অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪ কোটি ১৭ লাখ: জাতিসংঘ

ছবি

নির্বাচন কবে হতে পারে, জানালেন আসিফ নজরুল

ছবি

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প

ছবি

বায়তুল মোকাররম মসজিদের নতুন খতিব আবদুল মালেক

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনতে রিভিউ আবেদনে ১০ যুক্তি

ছবি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পরোয়ানা, সঙ্গে আরও ৪৫

ছবি

হাসিনাকে এক মাসের মধ্যে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হবে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত হলো আরও ৪ কমিশন, নেতৃত্বে যারা

ছবি

শেখ হাসিনা ভারতে আছেন, ভারতেই থাকবেন: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি

রাষ্ট্রীয় সম্মান ছাড়াই মতিয়া চৌধুরীর শেষ বিদায়

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৮ জনের মৃত্যু

ছবি

২০২৫ সালের ছুটির তালিকা অনুমোদন দিলো সরকার

ছবি

পদত্যাগ করলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন

tab

জাতীয়

পল্লী বিদ্যুতে অস্থিতিশীলতা : রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ৬ কর্মকর্তা রিমান্ডে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক ও প্রতিনিধি, চান্দিনা (কুমিল্লা)

শুক্রবার গ্রেপ্তার ৬ কর্মকর্তাকে আদালতে তোলা হয়-সংবাদ

শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার পৃথক দুই রাষ্ট্রদ্রোহসহ সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) ৬ কর্মকর্তার তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-মুন্সিগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিল্লার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দীপক কুমার সিংহ, মাগুরার শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাহাত, নেত্রকোনার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মনির হোসেন ও সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২-এর বেলাল হোসেন। এদের মধ্যে বেলাল হোসেন এক মামলার আসামি। অন্য পাঁচজন আরেক মামলার আসামি।

এদিন তাদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন খিলক্ষেত থানার ইন্সপেক্টর আশিকুর রহমান দেয়ান। তাদের পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার খিলক্ষেত থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড খিলক্ষেত থানার পরিচালক প্রশাসন (আইন শাখা) আরশাদ হোসেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৮ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তা/কর্মচারী একত্রিত হয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি পরিচয়ে পরস্পর যোগসাজশে জরুরি সেবা বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে এবং বিগত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালীদের মদতে নানা অযৌক্তিক দাবি-দাওয়ায় ষড়যন্ত্র করে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। তারা বিভিন্ন ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে লিপ্ত আছে।

তাদের এ ধরণের কার্যকলাপ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চরমভাবে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টার শামিল। তাদের এসব কর্মকা- বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করা, বোর্ডের কর্মকর্তাদের সম্মানহানি এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল করে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতা তথা জনমনে ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করার মাধ্যমে সরকারকে চরমভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা যা দেশদ্রোহিতার শামিল।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১০ কর্মকর্তাকে আসামি করে ঢাকার খিলক্ষেত থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মামলাটি করা হয়। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পরিচালক (প্রশাসন) মো. আরশাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কিছু বিপথগামী কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছেন। গত সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালীদের মদদে বিদ্যুৎ কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।

গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে নিয়োজিত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই দফা দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সমিতির ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন সমিতির কর্মচারীরা। এতে জেলায় জেলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিলেন গ্রামের মানুষ। সারা দেশেও বিদ্যুৎ বন্ধের শঙ্কা তৈরি হয়।

আরইবির অধীন কাজ করে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। দেশের মোট বিদ্যুৎ সরবরাহের ৫৫ শতাংশ আরইবির অধীন। আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একীভূতকরণ এবং অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে মুক্তিকামী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যানারে এ আন্দোলন হচ্ছে।

আন্দোলনকারীদের পক্ষে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাদের নামে মামলা দেয়া হয়েছে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ, চাকরি অবসায়নের আদেশ ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। না হলে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ করতে বাধ্য হবেন তারা।

প্রতিনিধি, চান্দিনা (কুমিল্লা) জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখে আন্দোলনের নামে গ্রাহক ভোগান্তি, রাষ্ট্রবিরোধী আচরণ ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ১৫৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।

শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী মিল্টন ঘোষ বাদী হয়ে ওই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে আন্দোলন করে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে লাখ লাখ গ্রাহক চরম ভোগান্তির শিকার হয়। সন্ধ্যার পর দ্বিতীয় দফা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আন্দোলন করা কালে চান্দিনার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেড়াও করে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। এ সময় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করে। পরে দায়ের হওয়া মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

আটককৃতরা হলেন- কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার বাইমানা গ্রামের নূরুল আনোয়ার এর ছেলে সহিদুল ইসলাম (২৬), চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার কামানকান্দি মাথাভাঙ্গা গ্রামের আমির হোসেন এর ছেলে নূর মোহাম্মদ (২৮), চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারি উপজেলার খন্দকিয়া গ্রামের সিকদার চৌধুরীর ছেলে ফয়সাল চৌধুরী (৩৭), নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার পবনপুর তারাবো গ্রামে ফরিদ উদ্দিন এর ছেলে তানভীর আহমেদ (৩৩), ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলা সদরের খায়রুল কবিরের ছেলে মিজানুর রহমান সাগর (৩০)। তারা সকলে চান্দিনাস্থ কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কর্মকর্তা।

চান্দিনা থানার ওসি মো. নাজমুল হুদা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনকালে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টানা ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় আন্দোলনকারীরা। এতে সমিতির আওতাধীন ৪ উপজেলার লাখ লাখ গ্রাহকের ভোগান্তি দেখা দেয়। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ আমরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করি।

তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যার পর আবারও তারা দুই ঘন্টারও বেশি সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ায় এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কার্যালয় ঘেরাও করে। এসময় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে নাশকতা, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম পরিচালিত করায় ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করে। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নেত্রকোনার বারহাট্টা পল্লী বিদ্যুতের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার সকালে তাকে ঢাকার খিলক্ষেত থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নেত্রকোনা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান বলেন, মনির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় রাত ৯টার দিকে নেত্রকোনা শহরের একটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে খিলক্ষেত থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একীভূতকরণ, অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন করেন। আন্দোলনে জড়িত থাকায় গত বুধবার বারহাট্টা পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মনির হোসেনসহ সারা দেশের ২০ জন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্দেশনার প্রতি অবজ্ঞা ও দপ্তরপরিপন্থী কাজের অভিযোগ আনা হয়।

এরপর শুক্রবার সকাল পৌঁনে ৯টার দিকে মনির হোসেনকে সেনাবাহিনী আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অবশ্য কিছুক্ষণ পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর থেকে নেত্রকোনায় পল্লী বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ করে দেন বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত জেলার ১০টি উপজেলাসহ পাশে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলাতেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। এতে পল্লী বিদ্যুতের ৬ লাখ ৩৫ হাজর ২৫৩ জন গ্রাহক দুর্ভোগের শিকার হয়। নেত্রকোনার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানেও পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে রাখা হয়।

নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম তাপস দেবনাথ বলেন,‘যেসব কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করাসহ মামলা দেয়া হয়েছে, তাদের দ্রুত চাকরিতে পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে। জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়। আর সাময়িক জনদুর্ভোগের জন্য বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায়ী।’ তিনি গ্রেপ্তার হওয়া মনির হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাসুম আহমেদ বলেন, ‘বারহাট্টার এজিএম মনির হোসেনকে পুলিশ আটক করেছে বলে শুনেছি। নেত্রকোনায় পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহ এখন স্বাভাবিক রয়েছে।’

back to top