‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের অর্ধেকের বেশি জেলায় হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে গ্রাহক ভোগান্তি তৈরির একদিন পর দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মকর্তারা।
কয়েকজন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত ও আরও কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে যায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। দেশের অর্ধেকের বেশি জেলায় কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন গ্রাহকরা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ঢাকা-১ এর জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার (আইটি) মো. তামজীদুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে এ জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পবিস কর্মকর্তারা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী ব্ল্যাকআউট ছিল না, শাটডাউন ছিল। তবুও সেটা করা উচিত হয়নি। এর ফলে সাধারণ গ্রাহকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। আমরা তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
সংবাদ সম্মেলনে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতসহ নানাভাবে হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়ে চার দফা দাবি তুলে ধরেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও কর্মকর্তারা।
দাবিগুলো হলো- ১. আরইবি সৃষ্ট অস্থিতিশীল পল্লী বিদ্যুৎ খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করে ২৪ জনের চাকরি ফিরিয়ে দেয়া ও স্ট্যান্ড রিলিজ এবং সংযুক্ত দুজনকে পদায়ন করা। ২. গ্রাহকের কাছে জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য সমিতি ও বোর্ড সংস্কার করে একীভূত করে একটি প্রতিষ্ঠান করা ও স্থায়ী পদের বিপরীতে চুক্তিভিত্তিকদের নিয়মিত করা। ৩. ছাত্র সমন্বয়কসহ স্বাধীন কমিশন গঠন করে সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ করা। ৪.আরইবির দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম পবিস কর্মীদের দাবির বিষয়ে আলোচনা করতে আজ সময় দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা-১ পবিসের জুনিয়র প্রকৌশলী তানজিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা (বিদ্যুৎ বন্ধের) জন্য দুঃখিত, যেটি আসলে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই কর্মকর্তাদের বরখাস্ত ও গ্রেপ্তারের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল।’
তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্ত, পবিসে আর্থিক শোষণ বন্ধ, বোর্ডের হয়রানি বন্ধ এবং তাদের ব্যর্থতার দায়ভার পবিস এবং অন্যান্যদের ওপর চাপিয়ে নেয়ার সংস্কৃতি বন্ধের দাবিতে তারা এই বছরের জানুয়ারি থেকে আন্দোলন শুরু করেছেন।
তানজিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি চলমান প্রতিবাদে ছিলাম। বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত না করে দুই দফায় কমপক্ষে ১৫ দিন ধরে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু আগে কোনো নোটিশ দেয়া ছাড়াই আমাদের ২৪ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘কর্মকর্তাদের রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে কারণ তারা বোর্ডের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। তারা পদ্ধতিগত সংস্কার এবং শহর ও গ্রামীণ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে বৈষম্য কমানোর দাবি জানিয়েছিলেন।’
নরসিংদী-১ এর ডিজিএম আবদুল্লাহ আল হাদি বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুৎ খাতে তৈরি হওয়ায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য দায়ী আরইবি। তাদের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে আজ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন, সেই সঙ্গে সাধারণ গ্রাহকরাও।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম পবিস-১ এর এজিএম আবদুল্লাহ আল মামুন, নরসিংদী-২ এর জুনিয়র প্রকৌশলী মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
রোববার, ২০ অক্টোবর ২০২৪
‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের অর্ধেকের বেশি জেলায় হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে গ্রাহক ভোগান্তি তৈরির একদিন পর দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মকর্তারা।
কয়েকজন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত ও আরও কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে যায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। দেশের অর্ধেকের বেশি জেলায় কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন গ্রাহকরা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ঢাকা-১ এর জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার (আইটি) মো. তামজীদুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে এ জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পবিস কর্মকর্তারা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী ব্ল্যাকআউট ছিল না, শাটডাউন ছিল। তবুও সেটা করা উচিত হয়নি। এর ফলে সাধারণ গ্রাহকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। আমরা তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
সংবাদ সম্মেলনে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতসহ নানাভাবে হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়ে চার দফা দাবি তুলে ধরেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও কর্মকর্তারা।
দাবিগুলো হলো- ১. আরইবি সৃষ্ট অস্থিতিশীল পল্লী বিদ্যুৎ খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করে ২৪ জনের চাকরি ফিরিয়ে দেয়া ও স্ট্যান্ড রিলিজ এবং সংযুক্ত দুজনকে পদায়ন করা। ২. গ্রাহকের কাছে জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য সমিতি ও বোর্ড সংস্কার করে একীভূত করে একটি প্রতিষ্ঠান করা ও স্থায়ী পদের বিপরীতে চুক্তিভিত্তিকদের নিয়মিত করা। ৩. ছাত্র সমন্বয়কসহ স্বাধীন কমিশন গঠন করে সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ করা। ৪.আরইবির দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম পবিস কর্মীদের দাবির বিষয়ে আলোচনা করতে আজ সময় দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা-১ পবিসের জুনিয়র প্রকৌশলী তানজিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা (বিদ্যুৎ বন্ধের) জন্য দুঃখিত, যেটি আসলে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই কর্মকর্তাদের বরখাস্ত ও গ্রেপ্তারের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল।’
তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্ত, পবিসে আর্থিক শোষণ বন্ধ, বোর্ডের হয়রানি বন্ধ এবং তাদের ব্যর্থতার দায়ভার পবিস এবং অন্যান্যদের ওপর চাপিয়ে নেয়ার সংস্কৃতি বন্ধের দাবিতে তারা এই বছরের জানুয়ারি থেকে আন্দোলন শুরু করেছেন।
তানজিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি চলমান প্রতিবাদে ছিলাম। বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত না করে দুই দফায় কমপক্ষে ১৫ দিন ধরে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু আগে কোনো নোটিশ দেয়া ছাড়াই আমাদের ২৪ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘কর্মকর্তাদের রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে কারণ তারা বোর্ডের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। তারা পদ্ধতিগত সংস্কার এবং শহর ও গ্রামীণ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে বৈষম্য কমানোর দাবি জানিয়েছিলেন।’
নরসিংদী-১ এর ডিজিএম আবদুল্লাহ আল হাদি বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুৎ খাতে তৈরি হওয়ায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য দায়ী আরইবি। তাদের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে আজ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন, সেই সঙ্গে সাধারণ গ্রাহকরাও।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম পবিস-১ এর এজিএম আবদুল্লাহ আল মামুন, নরসিংদী-২ এর জুনিয়র প্রকৌশলী মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।