রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। মঙ্গলবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সন্ধ্যার পর সংঘর্ষে রূপ নেয়, যেখানে আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং পুলিশের একটি গাড়ির ওপর আক্রমণ চালায়।
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার মো. শাহরিয়ার আলী জানান, সংঘর্ষে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ৯ জন পুলিশ সদস্যকে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকিদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনকারীদের ইটপাটকেল, মারধর এবং অন্যান্য আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয় মঙ্গলবার দুপুরে। আন্দোলনকারীরা রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন পদত্যাগের জন্য। সন্ধ্যার পর উত্তেজনা তুঙ্গে উঠলে আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিপেটা করে তাদের সরানোর চেষ্টা করে, যার ফলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা যারা রাতে দায়িত্ব পালন করছিলাম, তাদের বেশিরভাগই হামলার শিকার হয়েছি। অনেককে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটও উপস্থিত ছিল, তবে প্রথম সারিতে সবসময় পুলিশকেই রাখা হয় এবং আমরা বারবার হামলার শিকার হচ্ছি।”
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং পুলিশের একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তাদের একাংশ পুলিশের গাড়ির ওপর উঠে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। রাতের দিকে উত্তেজনা বাড়তে থাকলে সেনাবাহিনীও সেখানে অবস্থান নেয়, সঙ্গে আর্মড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) এবং জলকামান প্রস্তুত রাখা হয়।
উত্তেজনার পর গভীর রাত পর্যন্ত বঙ্গভবনের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বঙ্গভবনের সামনে ব্যারিকেড বসানো হয়, পাশাপাশি দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। বিজিবির উপ মহাপরিচালক কর্নেল মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, তারা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছেন।
বিক্ষোভের মূল কারণ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সাম্প্রতিক একটি মন্তব্য, যেখানে তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ না থাকার কথা বলেন। শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট তুমুল গণআন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে যান, তবে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তার আনুষ্ঠানিক পদত্যাগ নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্যের পর আন্দোলনকারীরা তার পদত্যাগের দাবিতে আরও তীব্র আন্দোলন শুরু করে।
মঙ্গলবার রাতে আন্দোলনকারীরা পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়ায়, যার ফলে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও গ্রেনেড ছোঁড়ে। এ সময় বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন।
সরকার ও আইনজীবীরা সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির অপসারণের সুযোগ সীমিত বললেও, পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে এবং রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিয়ে চলমান বিক্ষোভ আরও জোরালো আকার ধারণ করছে।
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। মঙ্গলবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সন্ধ্যার পর সংঘর্ষে রূপ নেয়, যেখানে আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং পুলিশের একটি গাড়ির ওপর আক্রমণ চালায়।
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার মো. শাহরিয়ার আলী জানান, সংঘর্ষে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ৯ জন পুলিশ সদস্যকে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকিদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনকারীদের ইটপাটকেল, মারধর এবং অন্যান্য আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয় মঙ্গলবার দুপুরে। আন্দোলনকারীরা রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন পদত্যাগের জন্য। সন্ধ্যার পর উত্তেজনা তুঙ্গে উঠলে আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিপেটা করে তাদের সরানোর চেষ্টা করে, যার ফলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা যারা রাতে দায়িত্ব পালন করছিলাম, তাদের বেশিরভাগই হামলার শিকার হয়েছি। অনেককে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটও উপস্থিত ছিল, তবে প্রথম সারিতে সবসময় পুলিশকেই রাখা হয় এবং আমরা বারবার হামলার শিকার হচ্ছি।”
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং পুলিশের একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তাদের একাংশ পুলিশের গাড়ির ওপর উঠে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। রাতের দিকে উত্তেজনা বাড়তে থাকলে সেনাবাহিনীও সেখানে অবস্থান নেয়, সঙ্গে আর্মড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) এবং জলকামান প্রস্তুত রাখা হয়।
উত্তেজনার পর গভীর রাত পর্যন্ত বঙ্গভবনের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বঙ্গভবনের সামনে ব্যারিকেড বসানো হয়, পাশাপাশি দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। বিজিবির উপ মহাপরিচালক কর্নেল মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, তারা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছেন।
বিক্ষোভের মূল কারণ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সাম্প্রতিক একটি মন্তব্য, যেখানে তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ না থাকার কথা বলেন। শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট তুমুল গণআন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে যান, তবে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তার আনুষ্ঠানিক পদত্যাগ নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্যের পর আন্দোলনকারীরা তার পদত্যাগের দাবিতে আরও তীব্র আন্দোলন শুরু করে।
মঙ্গলবার রাতে আন্দোলনকারীরা পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়ায়, যার ফলে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও গ্রেনেড ছোঁড়ে। এ সময় বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন।
সরকার ও আইনজীবীরা সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির অপসারণের সুযোগ সীমিত বললেও, পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে এবং রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিয়ে চলমান বিক্ষোভ আরও জোরালো আকার ধারণ করছে।