alt

জাতীয়

বকেয়া সুরাহা না হলে ৭ নভেম্বর থেকে আদানির বিদ্যুৎ ‘পুরোপুরি বন্ধের হুমকি’

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪

বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া নিষ্পত্তির সুরাহা না হলে আগামী ৭ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে আদানি পাওয়ার। রোববার (৩ নভেম্বর) এমন খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভারতের ঝাড়খ- রাজ্যের গোড্ডায় কয়লাভিত্তিক ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে প্রতিদিন ১৪০০ থেকে ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসছিল। প্রায় ৮৫ কোটি মার্কিন ডলার বকেয়া জমে যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার একটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেয় আদানি; যা তাদের মোট সরবরাহের অর্ধেক।

টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রতিবেদনে লিখেছে-বিল পরিশোধে বিলম্ব, বিশেষ করে এ বিষয়ে ‘স্পষ্টতার অভাব’ ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিকে চরম পদক্ষেপ নিতে ‘প্রভাবিত’ করেছে। কারণ আদানি পাওয়ারকেও ঋণদাতাদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।

আদানির বকেয়া এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রোববার রাতে সংবাদকে বলেন, অক্টোবর মাসে আদানি পাওয়ারকে প্রায় ৯৬ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া আদানির বিল পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭ কোটি ডলারের এলসি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারপরও আদানি পাওয়ারের এমন আচরণ খুব আশ্চর্যজনক, বিস্ময়কর এবং দুঃখজনক।

সংবাদের এক প্রশ্নের জবাবে ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আদানি যদি সত্যিই বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়, তাহলে আমরা এটা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত আছি। গ্রাহকরা যাতে ভোগান্তির মধ্যে না পড়ে, সেজন্য আমরা বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, বকেয়া অর্থ পরিশোধের জন্য ৩১ অক্টোবর সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ১৭ কোটি ডলারের ঋণপত্র (এলসি) পরিশোধ করতে বলেছিল আদানি পাওয়ার। চুক্তি অনুযায়ী আদানিকে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করার কথা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের। তবে ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকটি অপারগতা প্রকাশ করায় সেই অর্থ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কর্মকর্তারা পাঠাতে চেয়েছিলেন বলে লিখেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। তবে তা চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় আদানি পাওয়ার তাতে সম্মতি দেয়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এ পরিস্থিতিতে আদানি পাওয়ার একটি ইউনিট বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশের চলমান লোডশেডিং আরও বেড়েছে।

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের (পিজিবি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার ৭২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়েছে ভারতীয় ওই কোম্পানি। ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা ১৪৯৬ মেগাওয়াট। সক্ষমতার বিচারে বাংলাদেশে স্থাপিত কয়লাভিত্তিক বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- পটুয়াখালীর পায়রা (১২৪৪ মেগাওয়াট), বাগেরহাটের রামপাল (১২৩৪ মেগাওয়াট) ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এসএস পাওয়ার ওয়ান (১২২৪ মেগাওয়াট) কেন্দ্র।

টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, কয়লা সংকটের কারণে রামপাল ও এসএস পাওয়ার ওয়ান সক্ষমতার অর্ধেকেরও কম উৎপাদন করছে।

শিল্প খাতের সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, সময়মতো বিল না পেয়ে কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র জ্বালানি কেনা কমিয়ে দিয়েছে। ঋণ পরিশোধে ধীরগতির কারণে বকেয়ার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। অক্টোবরে আদানি পাওয়ারকে প্রায় ৯ কোটি ডলার পরিশোধের কথা বলা হচ্ছে, যেখানে আগের মাসগুলোতে ৯-১০ কোটি ডলার বিলের বিপরীতে ২-৫ কোটি ডলার পরিশোধ করা হতো।

ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা কয়লার দাম ধরে আদানি পাওয়ারের ঝাড়খ- কেন্দ্র প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রি করে ১০-১২ টাকায়। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আদানি টাইমস অব ইন্ডিয়ার কাছে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এর আগে কোম্পানিটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তারা সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আশাবাদী।

টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের কারণে আদানি পাওয়ারের বাণিজ্যিক সফলতা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ ওই কেন্দ্রের একমাত্র ক্রেতা বাংলাদেশ এবং ৮০০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের মধ্যে একটিকে অলস ফেলে রাখতে হচ্ছে। মাসে ৯-১০ কোটি ডলারের বিল হলে বছরে ১১০ কোটি আয় করার সুযোগ আছে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরপরই চাহিদা ও অর্থপ্রাপ্তি নিশ্চিতে অভ্যন্তরীণ বাজারে নজর দিয়েছে আদানি। বিহারের লখিসরাই সাব-স্টেশনের মাধ্যমে স্থানীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে বলা হয়েছে তাদের।’

ছবি

ধর্মীয় সম্প্রীতির আহ্বান: অপপ্রচারে কান না দেওয়ার পরামর্শ

ছবি

কর অব্যাহতি কমানোর পরিকল্পনা: এনবিআর চেয়ারম্যান

ছবি

মানবিক ও ভয়মুক্ত সমাজ গঠনে জোর দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

আইজিপি: আয়নাঘর ও গুম-খুনের সংস্কৃতি এখন আর নেই

ছবি

সংখ্যালঘু নির্যাতনের তথ্য সংগ্রহের জন্য সরকারের কাছে দাবী সনাতনী জোটের

ঢাকায় ফিরছেন কলকাতা ও ত্রিপুরার দুই কূটনীতিক

ছবি

শেখ হাসিনাকে ফেরানো সময় আসেনি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি

রেলওয়ের দখলকৃত জমি ছাড়ার নির্দেশ, সময়সীমা ১০ ডিসেম্বর

ছবি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ

ছবি

সংখ্যালঘু নির্যাতন রোধে খোলামেলা সংলাপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ছবি

ওয়েলিংটনে হাই কমিশন খুলছে বাংলাদেশ

ছবি

ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের বৈঠক সোমবার

ছবি

জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন কাজী নজরুল

ছবি

ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

৯ ডিসেম্বর ইইউর ২৮ দূতের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব হলেন সাংবাদিক ফয়েজ

ছবি

সীমান্তে এখন উত্তেজনা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইলেন আইজিপি

ছবি

শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন

ছবি

কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে গেজেট জারির উদ্যোগ

১৭ কারাগার ঝুঁকিপূর্ণ, পালানো সাতশ’ আসামি এখনও অধরা: কারা মহাপরিদর্শক

ছবি

‘অর্থ পাচার’: যেভাবে ‘শুকিয়ে ফেলা হয়’ একটি দেশের অর্থনীতি

ছবি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ছবি

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে অপপ্রচার যুক্তরাজ্যে :ক্ষোভ জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

দেশের প্রশ্নে সব দল ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছে: আসিফ নজরুল

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সাক্ষাৎ

ছবি

আগামী সপ্তাহে ভারতের সাথে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক

ছবি

এপিপিজির প্রতিবেদনে ‘মিথ্যা’ তথ্য, হাই কমিশনারকে জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

জাতীয় ঐক্যের আহ্বান: মিথ্যা প্রচার ঠেকাতে এক জোট হওয়ার তাগিদ

ছবি

বাংলাদেশে আর কোনদিন ভারতের আধিপত্য চলবে না: হাসনাত আব্দুল্লাহ

ছবি

বিএনপি-জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাচ্ছে আইসিবি, বিনিয়োগ হবে ‘এ’ শ্রেণির শেয়ারে

ছবি

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রাজনীতি প্রবেশ করবে না : অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

৩ বছর পর জানা গেল মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটি বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর

ছবি

বাংলাদেশ কঠিন সময় পার করছে, অতীতের চেয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ছবি

৬৯ কারাগারের ১৯টি ঝুঁকিপূর্ণ, ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দি এখনো পলাতক

tab

জাতীয়

বকেয়া সুরাহা না হলে ৭ নভেম্বর থেকে আদানির বিদ্যুৎ ‘পুরোপুরি বন্ধের হুমকি’

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪

বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া নিষ্পত্তির সুরাহা না হলে আগামী ৭ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে আদানি পাওয়ার। রোববার (৩ নভেম্বর) এমন খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভারতের ঝাড়খ- রাজ্যের গোড্ডায় কয়লাভিত্তিক ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে প্রতিদিন ১৪০০ থেকে ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসছিল। প্রায় ৮৫ কোটি মার্কিন ডলার বকেয়া জমে যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার একটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেয় আদানি; যা তাদের মোট সরবরাহের অর্ধেক।

টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রতিবেদনে লিখেছে-বিল পরিশোধে বিলম্ব, বিশেষ করে এ বিষয়ে ‘স্পষ্টতার অভাব’ ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিকে চরম পদক্ষেপ নিতে ‘প্রভাবিত’ করেছে। কারণ আদানি পাওয়ারকেও ঋণদাতাদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।

আদানির বকেয়া এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রোববার রাতে সংবাদকে বলেন, অক্টোবর মাসে আদানি পাওয়ারকে প্রায় ৯৬ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া আদানির বিল পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭ কোটি ডলারের এলসি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারপরও আদানি পাওয়ারের এমন আচরণ খুব আশ্চর্যজনক, বিস্ময়কর এবং দুঃখজনক।

সংবাদের এক প্রশ্নের জবাবে ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আদানি যদি সত্যিই বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়, তাহলে আমরা এটা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত আছি। গ্রাহকরা যাতে ভোগান্তির মধ্যে না পড়ে, সেজন্য আমরা বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, বকেয়া অর্থ পরিশোধের জন্য ৩১ অক্টোবর সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ১৭ কোটি ডলারের ঋণপত্র (এলসি) পরিশোধ করতে বলেছিল আদানি পাওয়ার। চুক্তি অনুযায়ী আদানিকে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করার কথা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের। তবে ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকটি অপারগতা প্রকাশ করায় সেই অর্থ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কর্মকর্তারা পাঠাতে চেয়েছিলেন বলে লিখেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। তবে তা চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় আদানি পাওয়ার তাতে সম্মতি দেয়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এ পরিস্থিতিতে আদানি পাওয়ার একটি ইউনিট বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশের চলমান লোডশেডিং আরও বেড়েছে।

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের (পিজিবি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার ৭২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়েছে ভারতীয় ওই কোম্পানি। ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা ১৪৯৬ মেগাওয়াট। সক্ষমতার বিচারে বাংলাদেশে স্থাপিত কয়লাভিত্তিক বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- পটুয়াখালীর পায়রা (১২৪৪ মেগাওয়াট), বাগেরহাটের রামপাল (১২৩৪ মেগাওয়াট) ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এসএস পাওয়ার ওয়ান (১২২৪ মেগাওয়াট) কেন্দ্র।

টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, কয়লা সংকটের কারণে রামপাল ও এসএস পাওয়ার ওয়ান সক্ষমতার অর্ধেকেরও কম উৎপাদন করছে।

শিল্প খাতের সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, সময়মতো বিল না পেয়ে কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র জ্বালানি কেনা কমিয়ে দিয়েছে। ঋণ পরিশোধে ধীরগতির কারণে বকেয়ার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। অক্টোবরে আদানি পাওয়ারকে প্রায় ৯ কোটি ডলার পরিশোধের কথা বলা হচ্ছে, যেখানে আগের মাসগুলোতে ৯-১০ কোটি ডলার বিলের বিপরীতে ২-৫ কোটি ডলার পরিশোধ করা হতো।

ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা কয়লার দাম ধরে আদানি পাওয়ারের ঝাড়খ- কেন্দ্র প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রি করে ১০-১২ টাকায়। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আদানি টাইমস অব ইন্ডিয়ার কাছে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এর আগে কোম্পানিটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তারা সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আশাবাদী।

টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের কারণে আদানি পাওয়ারের বাণিজ্যিক সফলতা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ ওই কেন্দ্রের একমাত্র ক্রেতা বাংলাদেশ এবং ৮০০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের মধ্যে একটিকে অলস ফেলে রাখতে হচ্ছে। মাসে ৯-১০ কোটি ডলারের বিল হলে বছরে ১১০ কোটি আয় করার সুযোগ আছে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরপরই চাহিদা ও অর্থপ্রাপ্তি নিশ্চিতে অভ্যন্তরীণ বাজারে নজর দিয়েছে আদানি। বিহারের লখিসরাই সাব-স্টেশনের মাধ্যমে স্থানীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে বলা হয়েছে তাদের।’

back to top