শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল চালুর জন্য আরও কয়েক মাস সময় লাগার কথা জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
তিনি বলেছেন, ‘হয়তো আগামী বছরের মাঝামাঝি বা তার কিছু পরে থার্ড টার্মিনালে যাত্রীসেবা শুরু হবে। আর আপাতত পরিকল্পনা হচ্ছে- (থার্ড টার্মিনাল চালু হলে) বর্তমান ১ ও ২ নম্বর টার্মিনালকে অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার করা।’
রোববার (৩ নভেম্বর) ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের উদ্বোধনী ফ্লাইট উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যদি যাত্রীর চাপ আরও বেড়ে যায়, তাহলে এই পুরনো দুটো টার্মিনাল রেনোভেট (সংস্কার) করে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য ব্যবহার করা হবে।’
মঞ্জুর কবীর বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বছরে ১২ থেকে ১৩ মিলিয়ন যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করে। জরিপ অনুযায়ী, ২০৩৫ সাল নাগাদ যাত্রী সংখ্যা ২৬ মিলিয়নে গিয়ে ঠেকবে। সেভাবে আমরা থার্ড টার্মিনাল প্রস্তুত করছি।’
চলতি বছরের শুরুতে বলা হয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকারের মেগাপ্রকল্পগুলোর অন্যতম এই প্রকল্প গেল অক্টোবরে পুরোদমে চালুর কথা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সবকিছু কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছে সিভিল এভিয়েশন কর্মকর্তারা। মঞ্জুর কবীর বলছেন, ‘থার্ড টার্মিনালের সেবা উন্নত যেকোনো বিমানবন্দরের চেয়ে কম হলে তা আমরা মানছি না। এ বিষয়ে কোনো ছাড় নেই।’
তিনি বলেন, ‘জাইকার লোনে এই টার্মিনালটা হয়েছে। আমাদের তো সেই টাকা শোধ করতে হবে। তাই সেবার মানের বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। আমি নিজেই আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধাদের স্যার ডাকতে কোনো লজ্জা করি না। এসব বিষয়ে কোনো ছাড় হবে না।’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়েও নতুন করে ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিভিল এভিয়েশন কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট বিমান বন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আর্মড পুলিশের কিছু সদস্যের সরে যাওয়া এবং ২৩ আগস্ট ধর্মঘটের নামে এক যোগে প্রায় সাড়ে নয়শ’ আনসার সদস্যের বিমান বন্দর ফেলে চলে যাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে। তখন বিমান বন্দরের নিরাপত্তার ঘাটতি পূরণে রাতারাতি বিমান বাহিনী থেকে প্রায় ১৪০০ সদস্যকে আনা হয়।
একসময় বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের এভসেকে নেয়া হলেও এখন কেবল বিমান বাহিনীর সদস্য আছে। সিভিল এভিয়েশন চাইছে, সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে এই নিরাপত্তা বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে।
একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বিমান বন্দরের রোড সাইডের (বাইরের দিকটা) নিরাপত্তা দেখবে পুলিশ ও আনসার এবং ভেতরের নিরাপত্তায় থাকবে এভিয়েশন সিকিউরিটির (এভসেক) সদস্যরা- তা পরিষ্কারভাবে আইনে বলা আছে। এখন এভসেকে হাজার খানেক বিমান বাহিনী সদস্য রয়েছে।’
‘আমরা চাচ্ছি সিভিল এভিয়েশনের নিজস্ব নিরাপত্তা জনবল তৈরি করতে। কারণ বিমান বন্দরে কাজ করতে হলে প্রত্যেককে বিশেষ কিছু প্রশিক্ষণ নিতে হয় এবং সার্টিফায়েড হতে হয়।’ জানতে চাইলে সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান মঞ্জুর কবীর বলেন, ‘নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী তৈরিতে আমরা জোর দিয়েছি। প্রতি সপ্তাহেই নিয়োগের কাজ চলছে।’
সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪
শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল চালুর জন্য আরও কয়েক মাস সময় লাগার কথা জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
তিনি বলেছেন, ‘হয়তো আগামী বছরের মাঝামাঝি বা তার কিছু পরে থার্ড টার্মিনালে যাত্রীসেবা শুরু হবে। আর আপাতত পরিকল্পনা হচ্ছে- (থার্ড টার্মিনাল চালু হলে) বর্তমান ১ ও ২ নম্বর টার্মিনালকে অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার করা।’
রোববার (৩ নভেম্বর) ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের উদ্বোধনী ফ্লাইট উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যদি যাত্রীর চাপ আরও বেড়ে যায়, তাহলে এই পুরনো দুটো টার্মিনাল রেনোভেট (সংস্কার) করে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য ব্যবহার করা হবে।’
মঞ্জুর কবীর বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বছরে ১২ থেকে ১৩ মিলিয়ন যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করে। জরিপ অনুযায়ী, ২০৩৫ সাল নাগাদ যাত্রী সংখ্যা ২৬ মিলিয়নে গিয়ে ঠেকবে। সেভাবে আমরা থার্ড টার্মিনাল প্রস্তুত করছি।’
চলতি বছরের শুরুতে বলা হয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকারের মেগাপ্রকল্পগুলোর অন্যতম এই প্রকল্প গেল অক্টোবরে পুরোদমে চালুর কথা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সবকিছু কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছে সিভিল এভিয়েশন কর্মকর্তারা। মঞ্জুর কবীর বলছেন, ‘থার্ড টার্মিনালের সেবা উন্নত যেকোনো বিমানবন্দরের চেয়ে কম হলে তা আমরা মানছি না। এ বিষয়ে কোনো ছাড় নেই।’
তিনি বলেন, ‘জাইকার লোনে এই টার্মিনালটা হয়েছে। আমাদের তো সেই টাকা শোধ করতে হবে। তাই সেবার মানের বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। আমি নিজেই আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধাদের স্যার ডাকতে কোনো লজ্জা করি না। এসব বিষয়ে কোনো ছাড় হবে না।’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়েও নতুন করে ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিভিল এভিয়েশন কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট বিমান বন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আর্মড পুলিশের কিছু সদস্যের সরে যাওয়া এবং ২৩ আগস্ট ধর্মঘটের নামে এক যোগে প্রায় সাড়ে নয়শ’ আনসার সদস্যের বিমান বন্দর ফেলে চলে যাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে। তখন বিমান বন্দরের নিরাপত্তার ঘাটতি পূরণে রাতারাতি বিমান বাহিনী থেকে প্রায় ১৪০০ সদস্যকে আনা হয়।
একসময় বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের এভসেকে নেয়া হলেও এখন কেবল বিমান বাহিনীর সদস্য আছে। সিভিল এভিয়েশন চাইছে, সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে এই নিরাপত্তা বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে।
একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বিমান বন্দরের রোড সাইডের (বাইরের দিকটা) নিরাপত্তা দেখবে পুলিশ ও আনসার এবং ভেতরের নিরাপত্তায় থাকবে এভিয়েশন সিকিউরিটির (এভসেক) সদস্যরা- তা পরিষ্কারভাবে আইনে বলা আছে। এখন এভসেকে হাজার খানেক বিমান বাহিনী সদস্য রয়েছে।’
‘আমরা চাচ্ছি সিভিল এভিয়েশনের নিজস্ব নিরাপত্তা জনবল তৈরি করতে। কারণ বিমান বন্দরে কাজ করতে হলে প্রত্যেককে বিশেষ কিছু প্রশিক্ষণ নিতে হয় এবং সার্টিফায়েড হতে হয়।’ জানতে চাইলে সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান মঞ্জুর কবীর বলেন, ‘নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী তৈরিতে আমরা জোর দিয়েছি। প্রতি সপ্তাহেই নিয়োগের কাজ চলছে।’