alt

গুম তদন্ত কমিশন: ১৬০০ অভিযোগ, আয়নাঘরের চেয়েও ‘ভয়াবহ’ বন্দীশালার সন্ধান

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত (কাল্পনিক)

আয়নাঘরের চেয়েও ‘ভয়াবহ’ বন্দীশালার সন্ধান পাওয়ার খবর দিয়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন। এই কমিশন এ পর্যন্ত ঢাকাসহ সারাদেশে আটটি গোপন বন্দীশালা পরিদর্শন করেছে বলে জানানো হয়েছে।

ঘটনা তদন্তে সরকারের গঠিত কমিশনে এক হাজার ছয়শ অভিযোগ জমা পড়েছে। দেড়মাসে জমা পড়া গুমের অভিযোগের মধ্যে র‌্যাবের বিরুদ্ধে ১৭২টি, ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) বিরুদ্ধে ৩৭টি, ডিবির বিরুদ্ধে ৫৫টি, ডিজিএফআইয়ের বিরুদ্ধে ২৬টি, পুলিশের বিরুদ্ধে ২৫টি এবং অন্যান্যভাবে ৬৮টি।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত কমিশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য তুলে ধরেন গুম তদন্ত কমিশনের বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী।

অভিযোগের বিষয়ে কমিশন ইতোমধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে জানিয়ে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে এসব বাহিনীর আটটি গোপন বন্দীশালা পেয়েছে কমিশন, যেখানে বছরের পর বছর গুম হওয়া ব্যক্তিদের রেখে নির্যাতন করা হতো।’

তিনি বলেন, ‘এসব অভিযোগ তদন্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের ডাকতে “সমন জারি” করা হচ্ছে। আমরা আপাতত সমন করেছি সাতজনকে। এরা সবাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ডিজিএফআইর সদস্য।’

কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘২০১৬ সালের দিকেই গ্রেপ্তারের সময় কী কী করতে হবে, সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা ছিল। কিন্তু ধারণা করা যায় রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেই নির্দেশনাগুলোর লঙ্ঘন করে এসেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘(বর্তমান) আইজিপি সাহেব দেশের বাইরে আছেন। তিনি ফিরে আসার পর তাকে একটা চিঠি দিয়ে এখানে নিয়ে আসব। আসার পরে বলব, ‘আপনি একটা ফ্রেশ সার্কুলার দেন’; যাতে তাদের (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) প্রতি আপিল বিভাগের দেয়া নির্দেশনাগুলো তারা মেনে চলে। তাহলে মানুষের ভোগান্তি হবে, মানবাধিকারের লঙ্ঘন হবে না।’

ভুক্তভোগীরা কেন গুমের শিকার হয়েছিল, এমন প্রশ্নের উত্তরে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘কিছু লোক আছে অ্যাপারেন্টলি পলিটিক্যাল আইডেন্টিটি ছিল না। কিছু আছে সরকারের সমালোচনা করেছে বিভিন্ন মিডিয়াতে।

আবার সেনাবাহিনীর যাদের গুম করা হয়েছে, তাদের কেন করা হয়েছে তা বোঝা গেল না। যেমন কর্নেল হাসিনকে দুইবার গুম করা হয়। একবার করা হয় তিনি চাকরিরত অবস্থায়, আরেকবার রিটায়ারমেন্টের পর। কী কারণে ওনাকে করল- ওটা বোঝা বড় মুশকিল।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে গুম করা হয়েছে- এমন অভিযোগ এখনো পাইনি।’

গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ‘আয়নাঘর’ বা গোপন বন্দীশালা থেকে তিনজনের মুক্তি পাওয়ার খবর মিলেছে।

গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির চেয়ারম্যান মঈনুলের মতে, গুম হওয়া ব্যক্তিদের যেসব গোপন বন্দিশালায় রেখে নির্যাতন করা হতো, সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। আলামত নষ্ট করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তবে যারা আলামত নষ্ট করছেন, তাদের গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সহযোগী হিসেবে বিবেচিত করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। আলামত ধ্বংস না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে কমিশন।’

কমিশনের আরেক সদস্য নাবিলা ইদ্রিস বলেন, ‘আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো প্রমাণ নষ্ট করছে। তারা সেল ও দেয়াল ভেঙে ফেলছে। যেসব বাহিনী প্রমাণ নষ্ট করছে তারা আমাদের সহযোগিতা করছে না। এখনকার কর্মকর্তারাও আগের কর্মকর্তাদের অপরাধে জড়িত ছিলেন।’

কমিশনের সদস্য নূর খান লিটন বলেছেন, ‘আমরা র‌্যাব পরিচালিত একটি সেল পেয়েছি, যেটি ছিল মাত্র ৩ দশমিক ৫ বাই ৪ ফুট। সেখানে আলো ঢোকার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। একটি ড্রেন ছাড়া সেখানে কোনো স্যানিটেশন ব্যবস্থাও ছিল না। এমন পরিবেশেই বন্দীদের বছরের পর বছর ধরে সেখানে রাখা হয়।’

গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির চেয়ারম্যান মঈনুল বলেন, ‘এই মুহূর্তে কতোজন গুম আছে তা বলা মুশকিল। এমনও ঘটনা আছে কে নিয়ে গেল- সেটা ট্রেস করা যায়নি। এমনও যদি হয় কোনো ভাড়াটে লোক ধরে নিয়ে গেছে!’

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ‘গুমের’ ঘটনা তদন্তে গত ২৭ অগাস্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ অগাস্ট সরকার পতনের দিন পর্যন্ত সময়ের ঘটনা কমিশনের বিবেচনায় আনা যাবে।

ছবি

দুর্গাপূজা প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালকদের দপ্তর বদল, একজনকে ওএসডি

ছবি

ফিলিস্তিনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

ছবি

আরও ১ মাস বাড়লো ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল ৩৮ হাজার

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করতে অঙ্গীকার ইউনূসের

ছবি

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি : মাইকেল মিলার

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার হাতে ১২ তরুণ পেলেন ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’

ছবি

ইসিতে নিবন্ধন: নতুন দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ চলছে

ছবি

সেপ্টেম্বরের শেষে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি

ছবি

দ্বিমতের কোনো জায়গা নাই, এই সুযোগ আর আসবে না: ইউনূস

ছবি

নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারিত সময়ের আগেই

ছবি

মালয়েশিয়া কর্মী পাঠানোতে ১১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাত: ১৩ রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা সিদ্ধান্ত

ছবি

টাইফয়েড টিকা কর্মসূচি: দেড় মাসে নিবন্ধন প্রায় ৮৯ লাখ শিশু

ছবি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস যোগদান

ছবি

মানুষের জন্ম উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

আসামের ভূমিকম্পে কাঁপলো বাংলাদেশ

ছবি

নারীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ২০ বছর করার ভাবনা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

সাগরে লঘুচাপ, ছয় বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস

ছবি

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই: উপদেষ্টা

ছবি

মরমী সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন মারা গেছেন

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ৩৭ হাজার ছাড়াল, চলতি বছর মৃতের সংখ্যা ১৪৭

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক ডিআইজি ও মেহেরপুরের সাবেক পুলিশ সুপার এ কে এম নাহিদুল ইসলাম কারাগারে

ছবি

সরকারি হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের প্রবেশে নতুন নিয়ম

ছবি

লন্ডনে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজের গাড়িতে ছুঁড়ে মারা হলে ডিম

ছবি

নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কিকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

ছবি

কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভোটার নিবন্ধন ও এনআইডি সেবা চালু

ছবি

পল্লী বিদ্যুতের ‘গণছুটি’ কর্মসূচি স্থগিত, কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান

ছবি

ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন, এটি আমাদের কমিটমেন্ট: প্রেস সচিব

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গুরুত্ব আরোপ প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের

ছবি

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ধর্ম উপদেষ্টার

ছবি

বিদিশার গাড়ি চুরি মামলার আসামিকে নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ পরিদর্শক কারাগারে

ছবি

সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও বাড়লো

ছবি

ঐকমত্য ছাড়াই ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শেষ

ছবি

৪৮তম বিশেষ বিসিএসের ফল: চিকিৎসক নিয়োগে সুপারিশ পেলেন ৩,১২০ জন

ছবি

নেপালে মারধর ও লুটের শিকার এক বাংলাদেশি পরিবার

tab

news » national

গুম তদন্ত কমিশন: ১৬০০ অভিযোগ, আয়নাঘরের চেয়েও ‘ভয়াবহ’ বন্দীশালার সন্ধান

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত (কাল্পনিক)

বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

আয়নাঘরের চেয়েও ‘ভয়াবহ’ বন্দীশালার সন্ধান পাওয়ার খবর দিয়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন। এই কমিশন এ পর্যন্ত ঢাকাসহ সারাদেশে আটটি গোপন বন্দীশালা পরিদর্শন করেছে বলে জানানো হয়েছে।

ঘটনা তদন্তে সরকারের গঠিত কমিশনে এক হাজার ছয়শ অভিযোগ জমা পড়েছে। দেড়মাসে জমা পড়া গুমের অভিযোগের মধ্যে র‌্যাবের বিরুদ্ধে ১৭২টি, ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) বিরুদ্ধে ৩৭টি, ডিবির বিরুদ্ধে ৫৫টি, ডিজিএফআইয়ের বিরুদ্ধে ২৬টি, পুলিশের বিরুদ্ধে ২৫টি এবং অন্যান্যভাবে ৬৮টি।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত কমিশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য তুলে ধরেন গুম তদন্ত কমিশনের বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী।

অভিযোগের বিষয়ে কমিশন ইতোমধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে জানিয়ে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে এসব বাহিনীর আটটি গোপন বন্দীশালা পেয়েছে কমিশন, যেখানে বছরের পর বছর গুম হওয়া ব্যক্তিদের রেখে নির্যাতন করা হতো।’

তিনি বলেন, ‘এসব অভিযোগ তদন্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের ডাকতে “সমন জারি” করা হচ্ছে। আমরা আপাতত সমন করেছি সাতজনকে। এরা সবাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ডিজিএফআইর সদস্য।’

কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘২০১৬ সালের দিকেই গ্রেপ্তারের সময় কী কী করতে হবে, সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা ছিল। কিন্তু ধারণা করা যায় রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেই নির্দেশনাগুলোর লঙ্ঘন করে এসেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘(বর্তমান) আইজিপি সাহেব দেশের বাইরে আছেন। তিনি ফিরে আসার পর তাকে একটা চিঠি দিয়ে এখানে নিয়ে আসব। আসার পরে বলব, ‘আপনি একটা ফ্রেশ সার্কুলার দেন’; যাতে তাদের (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) প্রতি আপিল বিভাগের দেয়া নির্দেশনাগুলো তারা মেনে চলে। তাহলে মানুষের ভোগান্তি হবে, মানবাধিকারের লঙ্ঘন হবে না।’

ভুক্তভোগীরা কেন গুমের শিকার হয়েছিল, এমন প্রশ্নের উত্তরে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘কিছু লোক আছে অ্যাপারেন্টলি পলিটিক্যাল আইডেন্টিটি ছিল না। কিছু আছে সরকারের সমালোচনা করেছে বিভিন্ন মিডিয়াতে।

আবার সেনাবাহিনীর যাদের গুম করা হয়েছে, তাদের কেন করা হয়েছে তা বোঝা গেল না। যেমন কর্নেল হাসিনকে দুইবার গুম করা হয়। একবার করা হয় তিনি চাকরিরত অবস্থায়, আরেকবার রিটায়ারমেন্টের পর। কী কারণে ওনাকে করল- ওটা বোঝা বড় মুশকিল।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে গুম করা হয়েছে- এমন অভিযোগ এখনো পাইনি।’

গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ‘আয়নাঘর’ বা গোপন বন্দীশালা থেকে তিনজনের মুক্তি পাওয়ার খবর মিলেছে।

গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির চেয়ারম্যান মঈনুলের মতে, গুম হওয়া ব্যক্তিদের যেসব গোপন বন্দিশালায় রেখে নির্যাতন করা হতো, সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। আলামত নষ্ট করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তবে যারা আলামত নষ্ট করছেন, তাদের গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সহযোগী হিসেবে বিবেচিত করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। আলামত ধ্বংস না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে কমিশন।’

কমিশনের আরেক সদস্য নাবিলা ইদ্রিস বলেন, ‘আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো প্রমাণ নষ্ট করছে। তারা সেল ও দেয়াল ভেঙে ফেলছে। যেসব বাহিনী প্রমাণ নষ্ট করছে তারা আমাদের সহযোগিতা করছে না। এখনকার কর্মকর্তারাও আগের কর্মকর্তাদের অপরাধে জড়িত ছিলেন।’

কমিশনের সদস্য নূর খান লিটন বলেছেন, ‘আমরা র‌্যাব পরিচালিত একটি সেল পেয়েছি, যেটি ছিল মাত্র ৩ দশমিক ৫ বাই ৪ ফুট। সেখানে আলো ঢোকার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। একটি ড্রেন ছাড়া সেখানে কোনো স্যানিটেশন ব্যবস্থাও ছিল না। এমন পরিবেশেই বন্দীদের বছরের পর বছর ধরে সেখানে রাখা হয়।’

গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির চেয়ারম্যান মঈনুল বলেন, ‘এই মুহূর্তে কতোজন গুম আছে তা বলা মুশকিল। এমনও ঘটনা আছে কে নিয়ে গেল- সেটা ট্রেস করা যায়নি। এমনও যদি হয় কোনো ভাড়াটে লোক ধরে নিয়ে গেছে!’

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ‘গুমের’ ঘটনা তদন্তে গত ২৭ অগাস্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ অগাস্ট সরকার পতনের দিন পর্যন্ত সময়ের ঘটনা কমিশনের বিবেচনায় আনা যাবে।

back to top