বাংলাদেশে বহুল আলোচিত সাইবার সিকিউরিটি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, এই আইনের পরিবর্তে নতুন একটি সাইবার নিরাপত্তা আইন তৈরি করা হবে যা আর্থিক প্রযুক্তি এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দেবে।
তিনি আরও বলেন, "বর্তমান আইন যেভাবে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা সৃষ্টি করছিল, নতুন আইন সেই উদ্দেশ্যে প্রণয়ন করা হবে না। নারীদের সুরক্ষা এবং ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন আইনটি করা হবে। এটি আগের আইনের মতো নয়, বরং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী এবং আর্থিক নিরাপত্তায় মূলত কেন্দ্রিভূত থাকবে।"
প্রেস সচিব শফিকুল আলমের মতে, সাইবার সিকিউরিটি আইনটি মূলত পূর্ববর্তী ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের কিছু পরিবর্তিত রূপ ছিল, যা মানুষের কণ্ঠরোধ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সীমিত করার জন্য ব্যবহৃত হতো। গত বছরের আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রণীত এই আইনের কারণে অনেক সাধারণ মানুষ ও সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন।
এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করা হয়, যা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। জাতিসংঘ, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এই আইনের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ফোলকার টুর্ক এ আইনটি অবিলম্বে স্থগিত করে সংশোধনের আহ্বান জানান। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম পরিবর্তন করে ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন’ নামে নতুন আইন প্রণয়ন করে, যার অধীনে পুলিশকে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়।
নতুন আইনের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, "এটি নিয়ে আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে, এবং এটি নারীর সুরক্ষা ও আর্থিক লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা সৃষ্টি না করে বিশেষভাবে সাইবার অপরাধ রোধে কার্যকর হবে।"
শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশে বহুল আলোচিত সাইবার সিকিউরিটি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, এই আইনের পরিবর্তে নতুন একটি সাইবার নিরাপত্তা আইন তৈরি করা হবে যা আর্থিক প্রযুক্তি এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দেবে।
তিনি আরও বলেন, "বর্তমান আইন যেভাবে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা সৃষ্টি করছিল, নতুন আইন সেই উদ্দেশ্যে প্রণয়ন করা হবে না। নারীদের সুরক্ষা এবং ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন আইনটি করা হবে। এটি আগের আইনের মতো নয়, বরং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী এবং আর্থিক নিরাপত্তায় মূলত কেন্দ্রিভূত থাকবে।"
প্রেস সচিব শফিকুল আলমের মতে, সাইবার সিকিউরিটি আইনটি মূলত পূর্ববর্তী ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের কিছু পরিবর্তিত রূপ ছিল, যা মানুষের কণ্ঠরোধ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সীমিত করার জন্য ব্যবহৃত হতো। গত বছরের আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রণীত এই আইনের কারণে অনেক সাধারণ মানুষ ও সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন।
এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করা হয়, যা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। জাতিসংঘ, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এই আইনের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ফোলকার টুর্ক এ আইনটি অবিলম্বে স্থগিত করে সংশোধনের আহ্বান জানান। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম পরিবর্তন করে ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন’ নামে নতুন আইন প্রণয়ন করে, যার অধীনে পুলিশকে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়।
নতুন আইনের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, "এটি নিয়ে আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে, এবং এটি নারীর সুরক্ষা ও আর্থিক লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা সৃষ্টি না করে বিশেষভাবে সাইবার অপরাধ রোধে কার্যকর হবে।"