২০ জেলেকে ফেরত দিলো আরাকান আর্মি
কক্সবাজারে দুইদিনের ব্যবধানে মাছ ধরতে গিয়ে আবারও ১৯ জেলে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মহেশখালী সোনাদিয়ার অদূরে বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের গুলিতে এক বাংলাদেশি জেলের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম মোকাররম হোসেন (৪৫) কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের আজিমুদ্দিন সিকদারপাড়ার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) গভীররাতের ঘটনা এটি।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর মুহাম্মদ ইসমাঈলের মালিকানাধীন একটি ট্রলারে করে ২১ জন জেলে মাছ ধরতে সাগরে যান। মাছ ধরার সময় ৬ নভেম্বর বুধবার দিবাবৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত দুইটার দিকে অস্ত্রধারী একদল জলদস্যুরা ট্রলারে হামলা চালায়। এতে মাঝি মোকাররক হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে অন্য আরেকটি ট্রলারে তুলে দেয় অন্যান্য জেলেরা। পরে ১৯ জেলেসহ ওই ট্রলারটি অপহরণ করে জলদস্যুরা।
গুলিবিদ্ধ মোকাররমকে নিয়ে তীরে ফিরে আসা জেলে জয়নাল উদ্দিন জানান, বাঁশখালীর মুহাম্মদ ইসমাঈলের ট্রলার নিয়ে ২১ জন জেলে সাগরে মাছ ধরতে যাই। কিন্তু বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অস্ত্রধারী একদল জলদস্যু তাদর উপর হামলা করলে মোকাররম মাঝি গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে নিয়ে পাড়ে আসলেও বাকি জেলেসহ ট্রলার অপহরণ করে দস্যুরা। তবে মোকাররমকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়ার পথে বাঁশখালী এলাকায় তার মৃত্যু হয়। তার লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে আছে।
মহেশখালী থানার ওসি কায়সার হামিদ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া চ্যানেলে জলদস্যূদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মোকাররম মাঝির মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তবে গুলিবিদ্ধ জেলেকে উদ্ধার করে ট্রলার মালিক বাঁশখালী উপকূল দিয়ে চট্টগ্রাম নেয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে কোস্টগার্ড কক্সবাজার জোনের ইনচার্জ মোহাম্মদ তারেক জানিয়েছেন, অপহরণের শিকার জেলেদের উদ্ধার ও জলদস্যুদের সন্ধানে বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযান চলমান রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) মঙ্গলবার বিকেলে নাফনদ ও বঙ্গোপসাগরের নদীমুখে নাইক্ষ্যংদিয়ায় মাছ ধরতে যাওয়া ২০ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মিরা। এর দুইদিন পর বৃহস্পতিবার তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে গোষ্ঠীটি। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাট দিয়ে তাদের দেশে ফেরত আনা হয়। বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফেরত আসা জেলেরা হলেন টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের আলী আহমদের ছেলে শাহ আলম (২৮), শফি উল্লাহর ছেলে আসমত উল্লাহ (১৮), নুরুল আলমের ছেলে আবদুস শুক্কুর (৩২), মৃত নজু মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন (৪৫), মৃত নাজির হোসেনের ছেলে আয়ুব খান (৪৮), মৃত মো. ইউসুফের ছেলে নুর হোসেন (৪৫), মৃত বশির আহমদের ছেলে মো. বেলাল (২৯), মৃত নুর আমিনের ছেলে সলিম (৩৫), মৃত জাকারিয়ার ছেলে আবদুল কাদের (২৫), মৃত সুলতান আহমদের ছেলে মো. হাশিম (৩৫), মো. আলমের ছেলে মো. হোসেন (২৮), ইলিয়াছের ছেলে মহি উদ্দিন (২৬), মো. ইউনুছের ছেলে এনায়েত উল্লাহ (৩০), মৃত মো: ইউনুছের ছেলে নুর হাফেজ (৪০), মৃত মছন আলীর ছেলে মো. ইয়াছিন (৩৫), আমির সাদুর ছেলে আবদু রহিম (৪৪), মৃত বাচা মিয়ার ছেলে হাছান আলী (৫৩), আবদুর শুক্কুরের ছেলে ওসমান গণি (৩০), মহেশখালী উপজেলার নাছির উদ্দিনের ছেলে ইন্নামিন (২৭) এবং উখিয়া উপজেলার হাছন শরীফের ছেলে আবদু শুক্কুর (৪৬)।
২০ জেলেকে ফেরত দিলো আরাকান আর্মি
শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪
কক্সবাজারে দুইদিনের ব্যবধানে মাছ ধরতে গিয়ে আবারও ১৯ জেলে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মহেশখালী সোনাদিয়ার অদূরে বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের গুলিতে এক বাংলাদেশি জেলের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম মোকাররম হোসেন (৪৫) কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের আজিমুদ্দিন সিকদারপাড়ার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) গভীররাতের ঘটনা এটি।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর মুহাম্মদ ইসমাঈলের মালিকানাধীন একটি ট্রলারে করে ২১ জন জেলে মাছ ধরতে সাগরে যান। মাছ ধরার সময় ৬ নভেম্বর বুধবার দিবাবৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত দুইটার দিকে অস্ত্রধারী একদল জলদস্যুরা ট্রলারে হামলা চালায়। এতে মাঝি মোকাররক হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে অন্য আরেকটি ট্রলারে তুলে দেয় অন্যান্য জেলেরা। পরে ১৯ জেলেসহ ওই ট্রলারটি অপহরণ করে জলদস্যুরা।
গুলিবিদ্ধ মোকাররমকে নিয়ে তীরে ফিরে আসা জেলে জয়নাল উদ্দিন জানান, বাঁশখালীর মুহাম্মদ ইসমাঈলের ট্রলার নিয়ে ২১ জন জেলে সাগরে মাছ ধরতে যাই। কিন্তু বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অস্ত্রধারী একদল জলদস্যু তাদর উপর হামলা করলে মোকাররম মাঝি গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে নিয়ে পাড়ে আসলেও বাকি জেলেসহ ট্রলার অপহরণ করে দস্যুরা। তবে মোকাররমকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়ার পথে বাঁশখালী এলাকায় তার মৃত্যু হয়। তার লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে আছে।
মহেশখালী থানার ওসি কায়সার হামিদ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া চ্যানেলে জলদস্যূদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মোকাররম মাঝির মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তবে গুলিবিদ্ধ জেলেকে উদ্ধার করে ট্রলার মালিক বাঁশখালী উপকূল দিয়ে চট্টগ্রাম নেয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে কোস্টগার্ড কক্সবাজার জোনের ইনচার্জ মোহাম্মদ তারেক জানিয়েছেন, অপহরণের শিকার জেলেদের উদ্ধার ও জলদস্যুদের সন্ধানে বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযান চলমান রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) মঙ্গলবার বিকেলে নাফনদ ও বঙ্গোপসাগরের নদীমুখে নাইক্ষ্যংদিয়ায় মাছ ধরতে যাওয়া ২০ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মিরা। এর দুইদিন পর বৃহস্পতিবার তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে গোষ্ঠীটি। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাট দিয়ে তাদের দেশে ফেরত আনা হয়। বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফেরত আসা জেলেরা হলেন টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের আলী আহমদের ছেলে শাহ আলম (২৮), শফি উল্লাহর ছেলে আসমত উল্লাহ (১৮), নুরুল আলমের ছেলে আবদুস শুক্কুর (৩২), মৃত নজু মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন (৪৫), মৃত নাজির হোসেনের ছেলে আয়ুব খান (৪৮), মৃত মো. ইউসুফের ছেলে নুর হোসেন (৪৫), মৃত বশির আহমদের ছেলে মো. বেলাল (২৯), মৃত নুর আমিনের ছেলে সলিম (৩৫), মৃত জাকারিয়ার ছেলে আবদুল কাদের (২৫), মৃত সুলতান আহমদের ছেলে মো. হাশিম (৩৫), মো. আলমের ছেলে মো. হোসেন (২৮), ইলিয়াছের ছেলে মহি উদ্দিন (২৬), মো. ইউনুছের ছেলে এনায়েত উল্লাহ (৩০), মৃত মো: ইউনুছের ছেলে নুর হাফেজ (৪০), মৃত মছন আলীর ছেলে মো. ইয়াছিন (৩৫), আমির সাদুর ছেলে আবদু রহিম (৪৪), মৃত বাচা মিয়ার ছেলে হাছান আলী (৫৩), আবদুর শুক্কুরের ছেলে ওসমান গণি (৩০), মহেশখালী উপজেলার নাছির উদ্দিনের ছেলে ইন্নামিন (২৭) এবং উখিয়া উপজেলার হাছন শরীফের ছেলে আবদু শুক্কুর (৪৬)।