বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত ‘বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের নামে’ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী, বাংলাদেশে বসবাসরত হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং বাংলাদেশ পুলিশের ওপর ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংগঠিত হয়েছে। অভিযোগে প্রায় ৮০০ পৃষ্ঠার তথ্য ও নথিপত্র প্রমাণস্বরূপ যুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
৮ নভেম্বর শুক্রবার এই অভিযোগ দায়ের করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। শনিবার (৯ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি এ কথা জানান। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও শনিবার আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেইসবুকেও পোস্ট করা হয়।
ভিডিওতে ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদার, ব্যারিস্টার মনিরুল ইসলাম মঞ্জু আইসিসতে অভিযোগ দাখিলের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য দেন। কেন অভিযোগ করা হলো, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইসিসি কী করবে, কীভাবে ব্যবস্থা নেবে এসব বিষয়ে কথা বলেন তারা। এ সময় গভ ওয়াইজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস শাকির উদ্দিনকেও তাদের পাশে দেখা যায়।
নিঝুম মজুমদার জানান, অভিযোগে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও আসিফ নজরুল, লে. জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার (অব) শাখাওয়াত হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদসহ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাম-লীর সব সদস্য, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম; বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, আব্দুল হান্নান, হাসিব আল ইসলাম, আবু বকর মজুমদার, জাতীয় নাগরিক কমিটির নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী, আক্তার হোসেন, সামান্তা শারমীন, মাহিন সরকারসহ ৬২ জনের নাম রয়েছে।
ভিডিওতে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমি একজন ভিকটিম (ক্ষতিগ্রস্ত)। আমার বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। আমি একজন নির্বাচিত মেয়র, কিন্তু আমাকে জোর করে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এবং আমিসহ আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীর ওপর তারা আক্রমণ করেছে, নির্যাতন করেছে। এ জন্য আমরা আন্তর্জাতিক মামলা করলাম।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমিই প্রথম (অভিযোগ) শুরু করলাম।’ তার মতো আরও প্রায় ১৫ হাজার ভিক্টিম আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অভিযোগ করবেন বলেও দাবি করেন আনোয়ারুজ্জামান।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান নৌকার টিকিটে মেয়র হওয়া যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। পরে জানা যায় তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন।
রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত ‘বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের নামে’ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী, বাংলাদেশে বসবাসরত হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং বাংলাদেশ পুলিশের ওপর ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংগঠিত হয়েছে। অভিযোগে প্রায় ৮০০ পৃষ্ঠার তথ্য ও নথিপত্র প্রমাণস্বরূপ যুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
৮ নভেম্বর শুক্রবার এই অভিযোগ দায়ের করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। শনিবার (৯ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি এ কথা জানান। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও শনিবার আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেইসবুকেও পোস্ট করা হয়।
ভিডিওতে ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদার, ব্যারিস্টার মনিরুল ইসলাম মঞ্জু আইসিসতে অভিযোগ দাখিলের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য দেন। কেন অভিযোগ করা হলো, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইসিসি কী করবে, কীভাবে ব্যবস্থা নেবে এসব বিষয়ে কথা বলেন তারা। এ সময় গভ ওয়াইজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস শাকির উদ্দিনকেও তাদের পাশে দেখা যায়।
নিঝুম মজুমদার জানান, অভিযোগে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও আসিফ নজরুল, লে. জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার (অব) শাখাওয়াত হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদসহ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাম-লীর সব সদস্য, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম; বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, আব্দুল হান্নান, হাসিব আল ইসলাম, আবু বকর মজুমদার, জাতীয় নাগরিক কমিটির নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী, আক্তার হোসেন, সামান্তা শারমীন, মাহিন সরকারসহ ৬২ জনের নাম রয়েছে।
ভিডিওতে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমি একজন ভিকটিম (ক্ষতিগ্রস্ত)। আমার বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। আমি একজন নির্বাচিত মেয়র, কিন্তু আমাকে জোর করে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এবং আমিসহ আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীর ওপর তারা আক্রমণ করেছে, নির্যাতন করেছে। এ জন্য আমরা আন্তর্জাতিক মামলা করলাম।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমিই প্রথম (অভিযোগ) শুরু করলাম।’ তার মতো আরও প্রায় ১৫ হাজার ভিক্টিম আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অভিযোগ করবেন বলেও দাবি করেন আনোয়ারুজ্জামান।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান নৌকার টিকিটে মেয়র হওয়া যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। পরে জানা যায় তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন।