জলবায়ু পরিবর্তনসহ মানুষের নানা কর্মকান্ডের কারণে আমাদের পরিচিত ফুলগাছের মধ্যে ৪৫ শতাংশ বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, বর্তমানে বিভিন্ন প্রজাতির অর্কিড থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ ফসলের প্রজাতি বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে। বাংলাদেশেও বৃক্ষসহ বিভিন্ন ধরনের বন্য প্রাণী বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। পুরোনো গাছকে অনেক দেশে স্মারকবৃক্ষ হিসেবে সংরক্ষণ করার চল রয়েছে। বাংলাদেশে স্মারকবৃক্ষ করার নজির নেই। বাংলাদেশের একটি গাছকে স্মারকবৃক্ষ করার প্রস্তাব দিয়েছেন বন, জলবায়ু, পরিবেশ ও পানিসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল প্রাঙ্গণের ৭৩ বছর বয়সী একটি কড়ই গাছকে স্মারকবৃক্ষ বা মেমোরিয়াল করার প্রস্তাব দেন তিনি। গত ৯ নভেম্বর ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ওয়াইল্ড লাইফ অলিম্পিয়াড-২০২৪ প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রস্তাব দেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন থেকে পৃথিবীকে রক্ষায় তরুণদের কাজে যুক্ত করা প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করতে না পারলে ২০৫০ সালের মধ্যে ৫০ ভাগ জীববৈচিত্র্য পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবে। এ কারণে সবার চেনা অনেক মাছ, পাখি ও হরিণ হারিয়ে যাবে। এটা হতে দেওয়া যাবে না। নতুন বাংলাদেশ গঠনে পরিবেশ রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বর্তমান সরকার। বন সংরক্ষণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণসহ প্রয়োজনীয় সব ভালো উদ্যোগ শুরু করে রেখে যেতে চাই।’
বন্য প্রাণী ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা এবং বন্য প্রাণী সংরক্ষণে দেশের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্য প্রাণী বা ওয়াইল্ডলাইফ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও বত্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী ও ভিকারুনিসা নূন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্য প্রাণী নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রথমবারের মতো বন অধিদপ্তর এই অলিম্পিয়াডের আয়োজন করে। নিবন্ধনের মাধ্যমে সারাদেশ থেকে ১ লাখ ৫ হাজার ৩৫৮ শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়। কয়েক ধাপে দেশের সব জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে জেলা অলিম্পিয়াড পর্ব। ৬৪ জেলার চ্যাম্পিয়নদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্ব।
জাতীয় পর্বে প্রতি ক্যাটাগরিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের যথাক্রমে ৫০, ৩০ ও ২০ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করা হয়। সেরাদের মধ্যে স্কুল ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করে চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়নস হয়েছে কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের তাবশির রহমান। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে যথাক্রমে গোপালগঞ্জের এস এম মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ফারহান মনির এবং বরিশাল ক্যাডেট কলেজের মো. মাশরাফি বিন হাসান।
কলেজ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়নস হয়েছে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের জেরিন সুলতানা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে যথাক্রমে বরিশাল ক্যাডেট কলেজের তানজিম আহসান ও ইয়াসিন খান। এর পাশাপাশি স্কুল ও কলেজ ক্যাটাগরি থেকে মোট ৪০ শিক্ষার্থীকে রানার আপ হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।
সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
জলবায়ু পরিবর্তনসহ মানুষের নানা কর্মকান্ডের কারণে আমাদের পরিচিত ফুলগাছের মধ্যে ৪৫ শতাংশ বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, বর্তমানে বিভিন্ন প্রজাতির অর্কিড থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ ফসলের প্রজাতি বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে। বাংলাদেশেও বৃক্ষসহ বিভিন্ন ধরনের বন্য প্রাণী বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। পুরোনো গাছকে অনেক দেশে স্মারকবৃক্ষ হিসেবে সংরক্ষণ করার চল রয়েছে। বাংলাদেশে স্মারকবৃক্ষ করার নজির নেই। বাংলাদেশের একটি গাছকে স্মারকবৃক্ষ করার প্রস্তাব দিয়েছেন বন, জলবায়ু, পরিবেশ ও পানিসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল প্রাঙ্গণের ৭৩ বছর বয়সী একটি কড়ই গাছকে স্মারকবৃক্ষ বা মেমোরিয়াল করার প্রস্তাব দেন তিনি। গত ৯ নভেম্বর ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ওয়াইল্ড লাইফ অলিম্পিয়াড-২০২৪ প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রস্তাব দেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন থেকে পৃথিবীকে রক্ষায় তরুণদের কাজে যুক্ত করা প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করতে না পারলে ২০৫০ সালের মধ্যে ৫০ ভাগ জীববৈচিত্র্য পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবে। এ কারণে সবার চেনা অনেক মাছ, পাখি ও হরিণ হারিয়ে যাবে। এটা হতে দেওয়া যাবে না। নতুন বাংলাদেশ গঠনে পরিবেশ রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বর্তমান সরকার। বন সংরক্ষণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণসহ প্রয়োজনীয় সব ভালো উদ্যোগ শুরু করে রেখে যেতে চাই।’
বন্য প্রাণী ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা এবং বন্য প্রাণী সংরক্ষণে দেশের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্য প্রাণী বা ওয়াইল্ডলাইফ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও বত্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী ও ভিকারুনিসা নূন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্য প্রাণী নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রথমবারের মতো বন অধিদপ্তর এই অলিম্পিয়াডের আয়োজন করে। নিবন্ধনের মাধ্যমে সারাদেশ থেকে ১ লাখ ৫ হাজার ৩৫৮ শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়। কয়েক ধাপে দেশের সব জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে জেলা অলিম্পিয়াড পর্ব। ৬৪ জেলার চ্যাম্পিয়নদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্ব।
জাতীয় পর্বে প্রতি ক্যাটাগরিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের যথাক্রমে ৫০, ৩০ ও ২০ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করা হয়। সেরাদের মধ্যে স্কুল ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করে চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়নস হয়েছে কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের তাবশির রহমান। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে যথাক্রমে গোপালগঞ্জের এস এম মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ফারহান মনির এবং বরিশাল ক্যাডেট কলেজের মো. মাশরাফি বিন হাসান।
কলেজ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়নস হয়েছে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের জেরিন সুলতানা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে যথাক্রমে বরিশাল ক্যাডেট কলেজের তানজিম আহসান ও ইয়াসিন খান। এর পাশাপাশি স্কুল ও কলেজ ক্যাটাগরি থেকে মোট ৪০ শিক্ষার্থীকে রানার আপ হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।