পাঁচ বছরে নির্যাতনের শিকার সাড়ে ১২ হাজার নারী-শিশু
* হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির প্রতিবেদন
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দশ মাসে দেশব্যাপী কমপক্ষে ১ হাজার ৩০৩ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫০৫ জন। যাদের মধ্যে ২৬১ জনই ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু। এছাড়া, বিগত ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১২ হাজার ৫৮৩ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
সোমবার (২৫ শে নভেম্বর) প্রকাশিত মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশব্যাপী নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতা বিষয়ক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংগঠনটি।
এইচআরএসএসের প্রতিবেদন বলছে, শুধুমাত্র ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কমপক্ষে ১৩০৩ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫০৫ জন, যাদের মধ্যে ২৬১ জন ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু। ১১৮ জন নারী ও কন্যা শিশু গণধর্ষনের শিকার হয়েছেন এবং ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩৪ জনকে, ও আত্মহত্যা করেছেন ১১ জন নারী। ২৮১ জন নারী ও কন্যা শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তন্মধ্যে শিশু ১১৫ জন। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫০ জন ও আহত হয়েছেন ২৯ জন। পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন ২৬৫ জন, আহত হয়েছেন ৬৭ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ৯৯ জন নারী। এসিড সহিংসতার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ৮ জন নারী।
গত পাঁচ বছরের তথ্য উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ১২৫৮৩ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭১৭৬ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২২৫ জনকে ও আত্মহত্যা করেছেন ৫১ জন নারী। ২৬৩৯ জন নারী ও কন্যা শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৯৬ জন, আহত হয়েছেন ৩৭৫ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ২০ জন নারী।। পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন ১০৬৩ জন, আহত হয়েছেন ৩৬৫ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ২৭৪ জন নারী। এসিড সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন ৯ জন ও গুরুতর আহত হয়েছেনে ১১ জন নারী।
এ ধরনের নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম বলেন, এইচআরএসএস বিশ্বাস করে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের সমান অংশীদারিত্ব থাকা অপরিহার্য। এমতাবস্থায় নারী ও পুরুষের সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান এবং সহিংস মনোভাব পরিহার করা অবশ্য কর্তব্য। তাই নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সকলের নিজ নিজ অবস্থান হতে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছে। এইচআরএসএস আশা করে, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে গৃহীত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হলে অদুর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বহুলাংশে হ্রাস পাবে।
নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকায় নারীদের এক সম্মেলনে ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালনের ঘোষনা দেয়া হয়। ১৯৯৩ সালে ভিয়েনায় বিশ্ব মানবাধিকার সম্মেলনে দিবসটিকে স্বীকৃতি দেয়। জাতিসংঘ দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর। বাংলাদেশেও ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতিবছর এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
পাঁচ বছরে নির্যাতনের শিকার সাড়ে ১২ হাজার নারী-শিশু
* হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির প্রতিবেদন
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দশ মাসে দেশব্যাপী কমপক্ষে ১ হাজার ৩০৩ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫০৫ জন। যাদের মধ্যে ২৬১ জনই ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু। এছাড়া, বিগত ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১২ হাজার ৫৮৩ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
সোমবার (২৫ শে নভেম্বর) প্রকাশিত মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশব্যাপী নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতা বিষয়ক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংগঠনটি।
এইচআরএসএসের প্রতিবেদন বলছে, শুধুমাত্র ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কমপক্ষে ১৩০৩ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫০৫ জন, যাদের মধ্যে ২৬১ জন ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু। ১১৮ জন নারী ও কন্যা শিশু গণধর্ষনের শিকার হয়েছেন এবং ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩৪ জনকে, ও আত্মহত্যা করেছেন ১১ জন নারী। ২৮১ জন নারী ও কন্যা শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তন্মধ্যে শিশু ১১৫ জন। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫০ জন ও আহত হয়েছেন ২৯ জন। পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন ২৬৫ জন, আহত হয়েছেন ৬৭ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ৯৯ জন নারী। এসিড সহিংসতার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ৮ জন নারী।
গত পাঁচ বছরের তথ্য উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ১২৫৮৩ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭১৭৬ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২২৫ জনকে ও আত্মহত্যা করেছেন ৫১ জন নারী। ২৬৩৯ জন নারী ও কন্যা শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৯৬ জন, আহত হয়েছেন ৩৭৫ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ২০ জন নারী।। পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন ১০৬৩ জন, আহত হয়েছেন ৩৬৫ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ২৭৪ জন নারী। এসিড সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন ৯ জন ও গুরুতর আহত হয়েছেনে ১১ জন নারী।
এ ধরনের নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম বলেন, এইচআরএসএস বিশ্বাস করে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের সমান অংশীদারিত্ব থাকা অপরিহার্য। এমতাবস্থায় নারী ও পুরুষের সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান এবং সহিংস মনোভাব পরিহার করা অবশ্য কর্তব্য। তাই নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সকলের নিজ নিজ অবস্থান হতে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছে। এইচআরএসএস আশা করে, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে গৃহীত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হলে অদুর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বহুলাংশে হ্রাস পাবে।
নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকায় নারীদের এক সম্মেলনে ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালনের ঘোষনা দেয়া হয়। ১৯৯৩ সালে ভিয়েনায় বিশ্ব মানবাধিকার সম্মেলনে দিবসটিকে স্বীকৃতি দেয়। জাতিসংঘ দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর। বাংলাদেশেও ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতিবছর এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।