বাংলাদেশে শ্রম আইন সংশোধনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নতুন দাবি এসেছে। বর্তমানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের জন্য কারখানার ২০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থনের প্রয়োজন হলেও, যুক্তরাষ্ট্র তা ১০ শতাংশে নামানোর প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার আপাতত ১৫ শতাংশে সমর্থন জানিয়ে ভবিষ্যতে এই হার আরও কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সোমবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক মার্কিন প্রতিনিধি কেলি এম ফে রদ্রিগেজের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এসব কথা জানান। মার্কিন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে ঢাকা সফর করছে এবং শ্রম অধিকার নিয়ে আগেই প্রদত্ত ১১ দফা কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ১১ দফার মধ্যে অন্যতম প্রধান দাবি হলো শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। এছাড়া, শ্রম আইন ও বিদ্যমান শ্রমবিধির আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়ন, এবং ইপিজেডসহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিয়ে শ্রমিকদের অসন্তোষের বিষয়ে শ্রমসচিব স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে এবং তা প্রতিহত করতে সরকার একটি নতুন অনলাইন সফটওয়্যার তৈরি করছে। এর ফলে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন আরও স্বচ্ছ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলও এই উদ্যোগ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন দেখতে চায়।
ইপিজেডের জন্য পৃথক শ্রম আইন থাকার বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশ্ন উঠেছে। শ্রমসচিব জানান, ইপিজেডের শ্রমিকরা সাধারণ শ্রমিকদের তুলনায় অধিক সুবিধা পান এবং একক শ্রম আইন বাস্তবায়নের আগে একটি সমীক্ষা প্রয়োজন হবে।
শ্রমসচিব আশা প্রকাশ করেন, আগামী তিন মাসে ১১ দফার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে। শ্রম সংস্কার কমিশন এ কাজে সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন।
এই পদক্ষেপগুলোর উদ্দেশ্য শ্রম অধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন করা, যাতে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা বাংলাদেশে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষিত বলে আশ্বস্ত হতে পারেন।
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশে শ্রম আইন সংশোধনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নতুন দাবি এসেছে। বর্তমানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের জন্য কারখানার ২০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থনের প্রয়োজন হলেও, যুক্তরাষ্ট্র তা ১০ শতাংশে নামানোর প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার আপাতত ১৫ শতাংশে সমর্থন জানিয়ে ভবিষ্যতে এই হার আরও কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সোমবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক মার্কিন প্রতিনিধি কেলি এম ফে রদ্রিগেজের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এসব কথা জানান। মার্কিন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে ঢাকা সফর করছে এবং শ্রম অধিকার নিয়ে আগেই প্রদত্ত ১১ দফা কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ১১ দফার মধ্যে অন্যতম প্রধান দাবি হলো শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। এছাড়া, শ্রম আইন ও বিদ্যমান শ্রমবিধির আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়ন, এবং ইপিজেডসহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিয়ে শ্রমিকদের অসন্তোষের বিষয়ে শ্রমসচিব স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে এবং তা প্রতিহত করতে সরকার একটি নতুন অনলাইন সফটওয়্যার তৈরি করছে। এর ফলে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন আরও স্বচ্ছ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলও এই উদ্যোগ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন দেখতে চায়।
ইপিজেডের জন্য পৃথক শ্রম আইন থাকার বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশ্ন উঠেছে। শ্রমসচিব জানান, ইপিজেডের শ্রমিকরা সাধারণ শ্রমিকদের তুলনায় অধিক সুবিধা পান এবং একক শ্রম আইন বাস্তবায়নের আগে একটি সমীক্ষা প্রয়োজন হবে।
শ্রমসচিব আশা প্রকাশ করেন, আগামী তিন মাসে ১১ দফার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে। শ্রম সংস্কার কমিশন এ কাজে সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন।
এই পদক্ষেপগুলোর উদ্দেশ্য শ্রম অধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন করা, যাতে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা বাংলাদেশে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষিত বলে আশ্বস্ত হতে পারেন।