alt

জাতীয়

শ্রমিক অধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, শ্রম আইন সংশোধনে বাংলাদেশের উদ্যোগ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে শ্রম আইন সংশোধনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নতুন দাবি এসেছে। বর্তমানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের জন্য কারখানার ২০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থনের প্রয়োজন হলেও, যুক্তরাষ্ট্র তা ১০ শতাংশে নামানোর প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার আপাতত ১৫ শতাংশে সমর্থন জানিয়ে ভবিষ্যতে এই হার আরও কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

সোমবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক মার্কিন প্রতিনিধি কেলি এম ফে রদ্রিগেজের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এসব কথা জানান। মার্কিন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে ঢাকা সফর করছে এবং শ্রম অধিকার নিয়ে আগেই প্রদত্ত ১১ দফা কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ১১ দফার মধ্যে অন্যতম প্রধান দাবি হলো শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। এছাড়া, শ্রম আইন ও বিদ্যমান শ্রমবিধির আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়ন, এবং ইপিজেডসহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিয়ে শ্রমিকদের অসন্তোষের বিষয়ে শ্রমসচিব স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে এবং তা প্রতিহত করতে সরকার একটি নতুন অনলাইন সফটওয়্যার তৈরি করছে। এর ফলে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন আরও স্বচ্ছ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলও এই উদ্যোগ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন দেখতে চায়।

ইপিজেডের জন্য পৃথক শ্রম আইন থাকার বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশ্ন উঠেছে। শ্রমসচিব জানান, ইপিজেডের শ্রমিকরা সাধারণ শ্রমিকদের তুলনায় অধিক সুবিধা পান এবং একক শ্রম আইন বাস্তবায়নের আগে একটি সমীক্ষা প্রয়োজন হবে।

শ্রমসচিব আশা প্রকাশ করেন, আগামী তিন মাসে ১১ দফার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে। শ্রম সংস্কার কমিশন এ কাজে সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন।

এই পদক্ষেপগুলোর উদ্দেশ্য শ্রম অধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন করা, যাতে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা বাংলাদেশে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষিত বলে আশ্বস্ত হতে পারেন।

ছবি

ঢাকায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ: সরকার বলছে পরিকল্পিত অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা

ছবি

রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের সংঘাত ও লুটপাট, দায় মিত্রদের: উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

ছবি

মাতারবাড়ী প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ, প্রকল্প পরিচালকের পলায়ন

ছবি

সারাদেশে দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসজনিত রোগে ভুগছে ৬৫ লাখ মানুষ

‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান’-এর আহ্বায়ক মোস্তফা পুলিশ হেফাজতে

দশ মাসে নির্যাতনের শিকার ১৩০০ নারী-শিশু

কপ২৯ এর প্রেক্ষাপট : সামগ্রিক মূল্যায়ন এবং জলবায়ু অর্থায়ন

ছবি

পত্রিকা বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ সহ্য করা হবে না : নাহিদ

ছবি

ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত আইনে যুদ্ধাপরাধের বিচারও চলবে

ছবি

ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা আপাতত চলাচল করতে পারবে

ছবি

মানুষের হৃদয় স্পর্শ করার ট্রেনিং কতটুকু পাচ্ছি : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

ছবি

ফের আগারগাঁওয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ

ছবি

ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে অটোরিকশাচালকরা

ছবি

আহমদুল কবির ছিলেন মেহনতি মানুষের জন্য নিবেদিত আদর্শবান মানুষ

ছবি

নির্বাচনের ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত: প্রেস উইং

ছবি

জোড়া লাগানো নূহা ও নাবা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে

সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিখোঁজ ইসরায়েলি নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার, ইসরায়েলের নিন্দা

ছবি

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ১১ মৃত্যু, চলতি বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড

ছবি

পাঁচ বিসিএসে নিয়োগ হবে ১৮ হাজারের বেশি কর্মকর্তা

ছবি

সিইসি ও চার কমিশনার শপথ নিলেন

ছবি

নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় তদন্ত শুরু

ছবি

প্রেস ক্লাবে হাজারো ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক, যান চলাচল বন্ধ

ছবি

অবশেষে দরিদ্র দেশগুলোকে ৩০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি

ছবি

নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ইসিদের শপথ দুপুরে

ছবি

বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ: তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ছবি

বিদেশে স্বাস্থ্য সেবা নিতে প্রতিবছর ব্যয় হচ্ছে ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি: ডিসিসিআই সেমিনারে বক্তারা

ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের আত্নমর্যাদা নিয়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছে: নাহিদ ইসলাম

ছবি

ডেঙ্গুতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

ছবি

ভারতের কোনও যুক্তিই নেই আমাদের পানি না দেওয়ার: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

দুর্ঘটনায় অক্টোবর মাসে ৫৭৫ জন হারিয়েছে প্রাণ

ছবি

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত: তোফায়েল আহমেদ

ছবি

সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তাব, বিবেচনার আশ্বাস বদিউলের

ছবি

বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরির ফাঁদে পড়ে বাংলাদেশিদের জিম্মি হওয়ার ঘটনা, সতর্কতা জারি করেছে দূতাবাস

ছবি

আসন সংরক্ষণ ও আলাদা নির্বাচনব্যবস্থার দাবি হিন্দু মহাজোটের

ছবি

নতুন সিইসি-ইসিদের শপথ রোববার

ছবি

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ

tab

জাতীয়

শ্রমিক অধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, শ্রম আইন সংশোধনে বাংলাদেশের উদ্যোগ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে শ্রম আইন সংশোধনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নতুন দাবি এসেছে। বর্তমানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের জন্য কারখানার ২০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থনের প্রয়োজন হলেও, যুক্তরাষ্ট্র তা ১০ শতাংশে নামানোর প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার আপাতত ১৫ শতাংশে সমর্থন জানিয়ে ভবিষ্যতে এই হার আরও কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

সোমবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক মার্কিন প্রতিনিধি কেলি এম ফে রদ্রিগেজের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এসব কথা জানান। মার্কিন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে ঢাকা সফর করছে এবং শ্রম অধিকার নিয়ে আগেই প্রদত্ত ১১ দফা কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ১১ দফার মধ্যে অন্যতম প্রধান দাবি হলো শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। এছাড়া, শ্রম আইন ও বিদ্যমান শ্রমবিধির আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়ন, এবং ইপিজেডসহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিয়ে শ্রমিকদের অসন্তোষের বিষয়ে শ্রমসচিব স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে এবং তা প্রতিহত করতে সরকার একটি নতুন অনলাইন সফটওয়্যার তৈরি করছে। এর ফলে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন আরও স্বচ্ছ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলও এই উদ্যোগ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন দেখতে চায়।

ইপিজেডের জন্য পৃথক শ্রম আইন থাকার বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশ্ন উঠেছে। শ্রমসচিব জানান, ইপিজেডের শ্রমিকরা সাধারণ শ্রমিকদের তুলনায় অধিক সুবিধা পান এবং একক শ্রম আইন বাস্তবায়নের আগে একটি সমীক্ষা প্রয়োজন হবে।

শ্রমসচিব আশা প্রকাশ করেন, আগামী তিন মাসে ১১ দফার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে। শ্রম সংস্কার কমিশন এ কাজে সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন।

এই পদক্ষেপগুলোর উদ্দেশ্য শ্রম অধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন করা, যাতে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা বাংলাদেশে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষিত বলে আশ্বস্ত হতে পারেন।

back to top