# সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ, ঐক্যের কোন বিকল্প নেই
# পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের মতো ইউনিয়ন পরিষদও ভেঙে দিতে হবে
# কৃষিতে সার বিতরণে এখনো ফ্যাসিস্টদের দোসররা নিয়ন্ত্রণ করছে
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে দেখা করে দেশের চলমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ, এখন ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।’ দেশে যাতে বিভাজনের সৃষ্টি না হয় সেদিকে সজাগ থাকতে মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। চলমান সংকট নিরসনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। আর চট্টগ্রামের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছেন বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। মির্জা ফখরুলের নের্তৃত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
‘বিগত সময়ের সকল নির্বাচনে ফ্যাসিবাদের দোসররা জোর করে ক্ষমতায় এসেছে’ অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের মতো ইউনিয়ন পরিষদও ভেঙে দিতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আবারও আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত কয়েকদিনের কর্মকা- নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। আমরা আশা করি প্রধান উপদেষ্টা এই বিষয়গুলো দ্রুত ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের ব্যবস্থা করবেন। দেশে যেন এমন কোন অবস্থার সৃষ্টি না হয় যাতে বিভাজন সৃষ্টি হয়।’
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটা জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা। আমাদের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য আমাদের অবশ্যই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলেতে হবে।’
দ্রব্যমূল্য নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে, এই বিষয়ে তাদের সামনে তুলে ধরেছি। টিসিবির ট্রাকগুলো বাড়ানোর কথা বলেছি। এলাকাভিত্তিক এই সেবা বাড়ানোর কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘পণ্যবাহী যান চলাচল যাতে নির্বিঘেœ করতে পারে সেজন্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে কৃষিতে বিশেষ করে সার বিতরণের ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলো আছে সেই সমস্যাগুলো এখনো ফ্যাসিস্টদের দোসররা নিয়ন্ত্রণ করছে। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শিল্প উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমরা বলেছি নরমাল এক্টিভিটিস চালু যেন থাকে। বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের বেতনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি না হয়। তারা যেন নিয়মিত বেতন পান সেজন্য সরকারকে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।’
নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘সবগুলো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে জাতীয় ঐক্য তৈরির বিষয়ে আমরা বলে এসেছি। নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে যত দ্রুত রোডম্যাপ দিতে বলে এসেছি।
বিএনপি নেতাদের নামে সারা দেশে যে মামলাগুলো রয়েছে তা প্রত্যাহারের জন্য ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান দলটির মহাসচিব।
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যের কথা বলা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন জাতির একতা চান। ছাত্র-জনতা, হিন্দু-মুসলিম সবার মধ্যে জাতীয় ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামের বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলাপ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছেন।
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
# সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ, ঐক্যের কোন বিকল্প নেই
# পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের মতো ইউনিয়ন পরিষদও ভেঙে দিতে হবে
# কৃষিতে সার বিতরণে এখনো ফ্যাসিস্টদের দোসররা নিয়ন্ত্রণ করছে
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে দেখা করে দেশের চলমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ, এখন ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।’ দেশে যাতে বিভাজনের সৃষ্টি না হয় সেদিকে সজাগ থাকতে মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। চলমান সংকট নিরসনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। আর চট্টগ্রামের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছেন বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। মির্জা ফখরুলের নের্তৃত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
‘বিগত সময়ের সকল নির্বাচনে ফ্যাসিবাদের দোসররা জোর করে ক্ষমতায় এসেছে’ অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের মতো ইউনিয়ন পরিষদও ভেঙে দিতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আবারও আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত কয়েকদিনের কর্মকা- নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। আমরা আশা করি প্রধান উপদেষ্টা এই বিষয়গুলো দ্রুত ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের ব্যবস্থা করবেন। দেশে যেন এমন কোন অবস্থার সৃষ্টি না হয় যাতে বিভাজন সৃষ্টি হয়।’
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটা জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা। আমাদের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য আমাদের অবশ্যই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলেতে হবে।’
দ্রব্যমূল্য নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে, এই বিষয়ে তাদের সামনে তুলে ধরেছি। টিসিবির ট্রাকগুলো বাড়ানোর কথা বলেছি। এলাকাভিত্তিক এই সেবা বাড়ানোর কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘পণ্যবাহী যান চলাচল যাতে নির্বিঘেœ করতে পারে সেজন্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে কৃষিতে বিশেষ করে সার বিতরণের ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলো আছে সেই সমস্যাগুলো এখনো ফ্যাসিস্টদের দোসররা নিয়ন্ত্রণ করছে। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শিল্প উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমরা বলেছি নরমাল এক্টিভিটিস চালু যেন থাকে। বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের বেতনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি না হয়। তারা যেন নিয়মিত বেতন পান সেজন্য সরকারকে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।’
নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘সবগুলো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে জাতীয় ঐক্য তৈরির বিষয়ে আমরা বলে এসেছি। নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে যত দ্রুত রোডম্যাপ দিতে বলে এসেছি।
বিএনপি নেতাদের নামে সারা দেশে যে মামলাগুলো রয়েছে তা প্রত্যাহারের জন্য ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান দলটির মহাসচিব।
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যের কথা বলা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন জাতির একতা চান। ছাত্র-জনতা, হিন্দু-মুসলিম সবার মধ্যে জাতীয় ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামের বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলাপ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছেন।