ইরান বাংলাদেশকে সমর্থন করে জানিয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশি বলেছেন, বাংলাদেশের নতন সরকারকে ইরান সমর্থন করে এবং শুরু থেকেই বাংলাদেশ-ইরান ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘ইরানি চলচ্চিত্র উৎসব-২০২৪’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
ঢাকার ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগ ও ফিল্ম ক্লাব এই চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশি বলেন, এই চলচ্চিত্র একটি বড় সুযোগ বাংলাদেশ -ইরান সম্পর্ক বড় করার ক্ষেত্রে।
তিনি বলেন, চলচ্চিত্র এমন একটি শিল্প যেটি বিশ্বের মানুষকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে। মানুষের দুঃখ কষ্টের কথা তুলে ধরা যায়, ভবিষ্যতের আশা আকাঙ্খা তুলে ধরা যায়।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত জানান, বর্তমান সময়ে ইরানের চলচ্চিত্র শিল্প বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করছে।
ইরান-বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে তুলে ধরে তিনি বলেন, ইরানের কবি সাহিত্যিকদের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আজকের এই উৎসব আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক, বন্ধৃত্বকে সুদৃঢ় করবে। ইরানের সংস্কৃতিকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পরিচিত করে তুলবে।
ফিল্ম যারা তৈরি করে তারা পৃথিবীর দ্বিতীয় কষ্টকর চাকরি করে বলে তিনি মনে করেন জানিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী-শিক্ষক এবং দেশবাসীকে ইরানি চলচ্চিত্র দেখার আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রদূত।
ঢাকার ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মির মুহাম্মদী বলেন, আমাদের দেশের চলচ্চিত্র শুধু আনন্দই দেয় না, এর গুণগত মান আছে। ফিলিস্তিনিদের নিয়ে অনেক ইরানি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। সেখানে ফিলিস্তিনিরা কীভাবে নির্যাতিত-নিপীড়িত হচ্ছে এবং তারা কীভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে তা চলচ্চিত্র শিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি এই চলচ্চিত্র উৎসব ইরান ও বাংলাদেশ সম্পর্ক ও যোগাযোগ উন্নয়নে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে।
ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ নিস্তার খান কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শারমিন এবং চলচ্চিত্রবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্য ও চলচ্চিত্র সমালোচক সাদিয়া খালিদ ঋতি।
আজ উদ্বোধনী দেখানো হচ্ছে ইব্রাহিম হাতামি কিয়া পরিচালিত ‘বডিগার্ড’ সিনেমা। অন্যান্য দিনে ইরানের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মাজিদ মাজিদি পরিচালিত ‘দি চিল্ড্রেন অব হ্যাভেন’, ‘দি সংস অব স্প্যারো’, ‘দি কালার অব প্যারাডাইস’ সিনেমা এবং আব্বাস কিয়ারোস্তামি পরিচালিত ‘টেস্ট অব চেরি’ এবং সাইফুল্লাহ দাদ পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘দি সারভাইভার’ সিনেমা দেখানো হবে।
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ইরান বাংলাদেশকে সমর্থন করে জানিয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশি বলেছেন, বাংলাদেশের নতন সরকারকে ইরান সমর্থন করে এবং শুরু থেকেই বাংলাদেশ-ইরান ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘ইরানি চলচ্চিত্র উৎসব-২০২৪’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
ঢাকার ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগ ও ফিল্ম ক্লাব এই চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশি বলেন, এই চলচ্চিত্র একটি বড় সুযোগ বাংলাদেশ -ইরান সম্পর্ক বড় করার ক্ষেত্রে।
তিনি বলেন, চলচ্চিত্র এমন একটি শিল্প যেটি বিশ্বের মানুষকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে। মানুষের দুঃখ কষ্টের কথা তুলে ধরা যায়, ভবিষ্যতের আশা আকাঙ্খা তুলে ধরা যায়।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত জানান, বর্তমান সময়ে ইরানের চলচ্চিত্র শিল্প বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করছে।
ইরান-বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে তুলে ধরে তিনি বলেন, ইরানের কবি সাহিত্যিকদের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আজকের এই উৎসব আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক, বন্ধৃত্বকে সুদৃঢ় করবে। ইরানের সংস্কৃতিকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পরিচিত করে তুলবে।
ফিল্ম যারা তৈরি করে তারা পৃথিবীর দ্বিতীয় কষ্টকর চাকরি করে বলে তিনি মনে করেন জানিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী-শিক্ষক এবং দেশবাসীকে ইরানি চলচ্চিত্র দেখার আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রদূত।
ঢাকার ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মির মুহাম্মদী বলেন, আমাদের দেশের চলচ্চিত্র শুধু আনন্দই দেয় না, এর গুণগত মান আছে। ফিলিস্তিনিদের নিয়ে অনেক ইরানি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। সেখানে ফিলিস্তিনিরা কীভাবে নির্যাতিত-নিপীড়িত হচ্ছে এবং তারা কীভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে তা চলচ্চিত্র শিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি এই চলচ্চিত্র উৎসব ইরান ও বাংলাদেশ সম্পর্ক ও যোগাযোগ উন্নয়নে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে।
ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ নিস্তার খান কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শারমিন এবং চলচ্চিত্রবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্য ও চলচ্চিত্র সমালোচক সাদিয়া খালিদ ঋতি।
আজ উদ্বোধনী দেখানো হচ্ছে ইব্রাহিম হাতামি কিয়া পরিচালিত ‘বডিগার্ড’ সিনেমা। অন্যান্য দিনে ইরানের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মাজিদ মাজিদি পরিচালিত ‘দি চিল্ড্রেন অব হ্যাভেন’, ‘দি সংস অব স্প্যারো’, ‘দি কালার অব প্যারাডাইস’ সিনেমা এবং আব্বাস কিয়ারোস্তামি পরিচালিত ‘টেস্ট অব চেরি’ এবং সাইফুল্লাহ দাদ পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘দি সারভাইভার’ সিনেমা দেখানো হবে।