ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের হোটেল-মালিকদের সংগঠন অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশি নাগরিকদের সেবা দেওয়া বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার সংগঠনের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন এবং ভারতের জাতীয় পতাকার অসম্মানের প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা ধর্মনিরপেক্ষ একটি দেশের নাগরিক। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”
এর আগে ত্রিপুরার আইএলএস হাসপাতাল এবং কলকাতার জেএন রায় হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসাসেবা বন্ধের ঘোষণা দেয়। আইএলএস হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার গৌতম হাজারিকা বলেন, “আমাদের হাসপাতালে বাংলাদেশিদের চিকিৎসা বন্ধের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে সব হেল্প ডেস্ক বন্ধ করা হয়েছে।”
জেএন রায় হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, “ভারতের জাতীয় পতাকা ও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত।”
সম্প্রতি ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালানো হয়। বিক্ষোভকারীরা হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে ‘গভীর দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছে।
এই ঘটনার পর ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় মিশনগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। একইসঙ্গে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ভিসা ও কনস্যুলার সেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আগরতলার ঘটনায় বাংলাদেশে রাজনৈতিক অঙ্গনে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান জানানোর পর এই উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়।
বাংলাদেশের সীমান্তে ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ এবং ভারতের সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে।
বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের হোটেল-মালিকদের সংগঠন অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশি নাগরিকদের সেবা দেওয়া বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার সংগঠনের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন এবং ভারতের জাতীয় পতাকার অসম্মানের প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা ধর্মনিরপেক্ষ একটি দেশের নাগরিক। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”
এর আগে ত্রিপুরার আইএলএস হাসপাতাল এবং কলকাতার জেএন রায় হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসাসেবা বন্ধের ঘোষণা দেয়। আইএলএস হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার গৌতম হাজারিকা বলেন, “আমাদের হাসপাতালে বাংলাদেশিদের চিকিৎসা বন্ধের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে সব হেল্প ডেস্ক বন্ধ করা হয়েছে।”
জেএন রায় হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, “ভারতের জাতীয় পতাকা ও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত।”
সম্প্রতি ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালানো হয়। বিক্ষোভকারীরা হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে ‘গভীর দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছে।
এই ঘটনার পর ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় মিশনগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। একইসঙ্গে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ভিসা ও কনস্যুলার সেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আগরতলার ঘটনায় বাংলাদেশে রাজনৈতিক অঙ্গনে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান জানানোর পর এই উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়।
বাংলাদেশের সীমান্তে ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ এবং ভারতের সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে।