বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হওয়া মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ বাহিনী। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
দায়িত্ব গ্রহণের ১৫ দিনের মাথায় আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি জানান, আন্দোলনের সময়কার মামলাগুলোর তদন্তে আটটি রেঞ্জে পৃথক মনিটরিং ও মেন্টরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটিতে অভিজ্ঞ তদন্তকারীদের পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও যুক্ত থাকবেন। তিনি বলেন, “এতে তদন্তের মান উন্নত হবে এবং সঠিক বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”
আইজিপি আশ্বস্ত করেন, কোনো নিরীহ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না। তিনি বলেন, “সরকার এ বিষয়ে বারবার নির্দেশনা দিয়েছে। নিরীহদের হয়রানি ঠেকাতে আমরা সচেষ্ট। কোনো ব্যক্তির সরাসরি সম্পৃক্ততা না থাকলে বিনা তদন্তে বা যুক্তি ছাড়াই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে না।”
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের সময় পুলিশের কিছু কর্মকর্তার আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কথা স্বীকার করে বাহারুল আলম দুঃখ প্রকাশ করেন এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন। একইসঙ্গে আন্দোলনে আহত বা নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানান তিনি।
তদন্তের মান বৃদ্ধির জন্য থানাগুলোতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মেন্টরিং করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন আইজিপি। তিনি বলেন, “কিছু কর্মকর্তার দক্ষতা আশানুরূপ নয়। তাই অভিজ্ঞদের সহায়তায় মেন্টরিং টিম গঠন করেছি।”
মামলাগুলো ঘিরে প্রতারণার বিষয়ে জনগণকে সতর্ক করে আইজিপি বলেন, “কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি মামলাগুলো নিয়ে বাণিজ্য করছেন। মানুষকে প্রতারিত করা হচ্ছে। এ ধরনের প্রতারণার শিকার না হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
আইজিপি আরও বলেন, “যদি কোনো মিথ্যা মামলা করা হয়ে থাকে, তা সংশোধনের আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। তবে ইচ্ছাকৃত মিথ্যা মামলা দায়ের করলে সংশ্লিষ্ট বাদীকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে।”
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ এবং জনবান্ধব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাহারুল আলম।
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হওয়া মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ বাহিনী। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
দায়িত্ব গ্রহণের ১৫ দিনের মাথায় আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি জানান, আন্দোলনের সময়কার মামলাগুলোর তদন্তে আটটি রেঞ্জে পৃথক মনিটরিং ও মেন্টরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটিতে অভিজ্ঞ তদন্তকারীদের পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও যুক্ত থাকবেন। তিনি বলেন, “এতে তদন্তের মান উন্নত হবে এবং সঠিক বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”
আইজিপি আশ্বস্ত করেন, কোনো নিরীহ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না। তিনি বলেন, “সরকার এ বিষয়ে বারবার নির্দেশনা দিয়েছে। নিরীহদের হয়রানি ঠেকাতে আমরা সচেষ্ট। কোনো ব্যক্তির সরাসরি সম্পৃক্ততা না থাকলে বিনা তদন্তে বা যুক্তি ছাড়াই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে না।”
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের সময় পুলিশের কিছু কর্মকর্তার আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কথা স্বীকার করে বাহারুল আলম দুঃখ প্রকাশ করেন এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন। একইসঙ্গে আন্দোলনে আহত বা নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানান তিনি।
তদন্তের মান বৃদ্ধির জন্য থানাগুলোতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মেন্টরিং করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন আইজিপি। তিনি বলেন, “কিছু কর্মকর্তার দক্ষতা আশানুরূপ নয়। তাই অভিজ্ঞদের সহায়তায় মেন্টরিং টিম গঠন করেছি।”
মামলাগুলো ঘিরে প্রতারণার বিষয়ে জনগণকে সতর্ক করে আইজিপি বলেন, “কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি মামলাগুলো নিয়ে বাণিজ্য করছেন। মানুষকে প্রতারিত করা হচ্ছে। এ ধরনের প্রতারণার শিকার না হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
আইজিপি আরও বলেন, “যদি কোনো মিথ্যা মামলা করা হয়ে থাকে, তা সংশোধনের আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। তবে ইচ্ছাকৃত মিথ্যা মামলা দায়ের করলে সংশ্লিষ্ট বাদীকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে।”
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ এবং জনবান্ধব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাহারুল আলম।