আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের ভূমিকা নেওয়ার সময় এখনো আসেনি।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, “শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একমাত্র ‘অংশীজন’ নয়। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও এ প্রক্রিয়ায় জড়িত। আমাদের রোল প্লে করার সময় এলে তখন আমরা পদক্ষেপ নেব।”
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর থেকে শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে জুলাই-অগাস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় ‘নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের’ অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
১৮ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল এক আদেশে এক মাসের মধ্যে শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের হাজির করার নির্দেশ দেয়। তবে এই সময়সীমা পার হলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো নির্দেশনা আসেনি।
মুখপাত্র জানান, “আমার জানা মতে, শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে কোনো নির্দেশনা মন্ত্রণালয়ে আসেনি। সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলে আসছে, তিনি যেন কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য না দেন যা দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে। এ বিষয়ে ভারতকে কূটনৈতিকপত্র পাঠানো হলেও এর কোনো আনুষ্ঠানিক জবাব মেলেনি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে চলমান টানাপোড়েনের মধ্যে ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকে বাণিজ্য, সীমান্ত, পানি বণ্টনসহ সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান এবং তাকে ভার্চুয়ালি যুক্ত করার বিষয়ে প্রকাশিত খবর নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মুখপাত্র জানান, “এ বিষয়ে আমাদের জানা পত্রিকার মাধ্যমেই এসেছে। কীভাবে এটি ফ্যাসিলিটেড হচ্ছে, তা ভারত সরকারের বিষয়।”
এই পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন ও তার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের ভূমিকা নেওয়ার সময় এখনো আসেনি।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, “শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একমাত্র ‘অংশীজন’ নয়। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও এ প্রক্রিয়ায় জড়িত। আমাদের রোল প্লে করার সময় এলে তখন আমরা পদক্ষেপ নেব।”
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর থেকে শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে জুলাই-অগাস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় ‘নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের’ অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
১৮ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল এক আদেশে এক মাসের মধ্যে শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের হাজির করার নির্দেশ দেয়। তবে এই সময়সীমা পার হলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো নির্দেশনা আসেনি।
মুখপাত্র জানান, “আমার জানা মতে, শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে কোনো নির্দেশনা মন্ত্রণালয়ে আসেনি। সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলে আসছে, তিনি যেন কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য না দেন যা দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে। এ বিষয়ে ভারতকে কূটনৈতিকপত্র পাঠানো হলেও এর কোনো আনুষ্ঠানিক জবাব মেলেনি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে চলমান টানাপোড়েনের মধ্যে ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকে বাণিজ্য, সীমান্ত, পানি বণ্টনসহ সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান এবং তাকে ভার্চুয়ালি যুক্ত করার বিষয়ে প্রকাশিত খবর নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মুখপাত্র জানান, “এ বিষয়ে আমাদের জানা পত্রিকার মাধ্যমেই এসেছে। কীভাবে এটি ফ্যাসিলিটেড হচ্ছে, তা ভারত সরকারের বিষয়।”
এই পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন ও তার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।