বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ‘আয়নাঘর’ বা গুম-খুনের মতো অভিযোগের চর্চা নেই বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, “খুন, গুম, আয়নাঘর—এই সংস্কৃতি এখন আর নেই। বর্তমান সরকার স্বচ্ছতার ওপর জোর দিচ্ছে। তথ্য চেপে রাখার মতো কোনো দুর্বলতা নেই। আগের মতো এখন আর কোনো কিছু আড়াল করা হয় না।”
তথ্য প্রকাশে পুলিশের সদর দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, “আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে খোলামেলা থাকতে চাই। যেকোনো বিষয় জানতে চাইলে তথ্য গোপন করব না। পূর্বে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তবে এখন আমরা স্বচ্ছ থাকার চেষ্টা করছি।”
যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক ভ্রমণ সতর্কতা প্রসঙ্গে আইজিপি জানান, “আমরা কোনো সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা দেখছি না। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে যে ধারণা তৈরি হয়েছে, তা ভিত্তিহীন।”
গণআন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশের অনেক কর্মকর্তার দায় রয়েছে। তবে অভিযোগ প্রমাণে আইনগত প্রক্রিয়া শেষ না হলে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। এ ধরনের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের জনবান্ধব হতে হবে।”
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পুলিশের প্রস্তুতি নিয়ে আইজিপি বলেন, “আমরা এখনও জনগণের আস্থা ফেরাতে কাজ করছি। নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে পুলিশি সাহায্য দিতে প্রস্তুত থাকলেও এখনই সে পর্যায়ে যাওয়া হয়নি। প্রথমে বাহিনীর মনোবল পুনরুদ্ধারে গুরুত্ব দিচ্ছি।”
দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত একটি পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ চলছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, “পুলিশ সংস্কার কমিশন সুপারিশ দেবে, যা এই সরকার বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।”
তিনি আরও জানান, “আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষকে সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।”
শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ‘আয়নাঘর’ বা গুম-খুনের মতো অভিযোগের চর্চা নেই বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, “খুন, গুম, আয়নাঘর—এই সংস্কৃতি এখন আর নেই। বর্তমান সরকার স্বচ্ছতার ওপর জোর দিচ্ছে। তথ্য চেপে রাখার মতো কোনো দুর্বলতা নেই। আগের মতো এখন আর কোনো কিছু আড়াল করা হয় না।”
তথ্য প্রকাশে পুলিশের সদর দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, “আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে খোলামেলা থাকতে চাই। যেকোনো বিষয় জানতে চাইলে তথ্য গোপন করব না। পূর্বে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তবে এখন আমরা স্বচ্ছ থাকার চেষ্টা করছি।”
যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক ভ্রমণ সতর্কতা প্রসঙ্গে আইজিপি জানান, “আমরা কোনো সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা দেখছি না। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে যে ধারণা তৈরি হয়েছে, তা ভিত্তিহীন।”
গণআন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশের অনেক কর্মকর্তার দায় রয়েছে। তবে অভিযোগ প্রমাণে আইনগত প্রক্রিয়া শেষ না হলে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। এ ধরনের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের জনবান্ধব হতে হবে।”
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পুলিশের প্রস্তুতি নিয়ে আইজিপি বলেন, “আমরা এখনও জনগণের আস্থা ফেরাতে কাজ করছি। নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে পুলিশি সাহায্য দিতে প্রস্তুত থাকলেও এখনই সে পর্যায়ে যাওয়া হয়নি। প্রথমে বাহিনীর মনোবল পুনরুদ্ধারে গুরুত্ব দিচ্ছি।”
দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত একটি পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ চলছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, “পুলিশ সংস্কার কমিশন সুপারিশ দেবে, যা এই সরকার বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।”
তিনি আরও জানান, “আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষকে সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।”